রোধ কী?
উত্তর : পরিবাহকের যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎপ্রবাহ বাঁধাপ্রাপ্ত হয় তাকে রোধ বলে।
তুল্য রোধ কাকে বলে?
উত্তর : রোধের কোনো সন্নিবেশে রোধগুলোর পরিবর্তে সমমানের যে একটিমাত্র রোধ ব্যবহার করলে বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ ও বিভব পার্থক্যের কোনো পরিবর্তন হয় না সেই রোধকে ঐ সন্নিবেশের তুল্য রোধ বলে।
আপেক্ষিক রোধ কাকে বলে?
উত্তর : কোনো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোনো পরিবাহীর রোধকে ঐ তাপমাত্রায় এর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ বলে।
রোধের সন্নিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : একাধিক রোধকে একত্রে সংযোগ করাকেই রোধের সন্নিবেশ বলে। রোধের সন্নিবেশ দুই ধরনের হতে পারে, যথা– শ্রেণী সন্নিবেশ ও সমান্তরাল সন্নিবেশ।
শেণি সমবায়ে কতগুলো ধারকের তুল্য ধারকত্ব কমে যায় না কেন?
উত্তর : ধারকত্ব প্রকৃতপক্ষে চার্জ ধারণ ক্ষমতা নির্দেশ করে। একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ধারকের ভোল্টেজ যত বাড়ানো হবে এতে সঞ্চিত তড়িৎ শক্তি তত বৃদ্ধি পাবে। অথচ কতগুলো ধারকের শ্রেণি সমবায়কে সরবরাহকৃত ভোল্টেজের দু’প্রান্তে সংযুক্ত করলে ধারকগুলো পূর্ণ বিভব পার্থক্যে চার্জিত হবার সুযোগ পায় না। তাই মোট সঞ্চিত তড়িৎ শক্তি তথা তুল্য ধারকত্ব স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়।