ডেভেলপ করা এ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। দ্রুত এবং সহজে প্রোগ্রাম উন্নয়নের জন্য ভিজুয়াল বেসিক অতুলনীয় হয়ে উঠে। বিশেষত নতুন বা অদক্ষ প্রোগ্রামারদের কাছে এ ভাষা জনপ্রিয়। মাইক্রোসফট বেসিক ল্যাংগুয়েজ কিনে সেটাকে ডেভেলপ করে এবং ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট (IDE) সহ ১৯৯১ সালে ভিজুয়াল বেসিক নামে বাজারে ছাড়ে। ড্রাগ অ্যান্ড ড্রপ, অ্যাকটিভ এক্স কন্ট্রোল, সরাসরি এক্সিকিউটিকল ও ডায়নামিক লাইব্রেরি লিংক (DLL) তৈরির সুবিধার কারণে ভিবির কদর অনেকের কাছেই বেশি ছিল। ভিজুয়াল বেসিকে খুব সহজে বিভিন্ন ডেটাবেজ বিষয়ক সফটওয়্যারের সাথে সংযোগ করা যায়। তাছাড়া ভিজুয়াল বেসিক স্ক্রিপ্ট সহজে ওয়েবপেজ উন্নয়নে সুবিধা প্রদান করে। ভিবিকে ডটনেটে যুক্ত করে ছাড়া হয় ভিজুয়াল বেসিক ডটনেট হিসেবে। মাইক্রোসফটের ডটনেট তৈরিতে ভিবির অনেক আইডিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। ডটনেট হলো মাইক্রোসফটের ফ্রেমওয়ার্ক, যাতে আছে ওয়েব ও ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরির নানারকম এপিআই। উইন্ডোজের অনেক অ্যাপ ভিবি ডটনেটে তৈরি হচ্ছে।
এলগল অ্যালগরিদমিক ম্যাংগুয়েজ এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ১৯৫৮ সালে সব কম্পিউটারে ব্যবহারযোগ্য সর্বজনীন ভাষা উদ্ভাবনের চেষ্টার ফলে ইউরোপে এ ভাষার উদ্ভব হয়। এটি মূলত ফোরট্রান ল্যাংগুয়েজের বিভিন্ন সমস্যা উত্তরণের জন্য তৈরি হয়। ইউরোপিয়ান এবং আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের একটি কমিটি সমন্বিতভাবে এটি তৈরি করে। এতে তিনটি সুনির্দিষ্ট সিনট্যাক্স ছিল। যথা: রেফারেন্স সিনট্যাক্স, পাবলিকেশন্স সিনট্যাক্স এবং ইমপ্লিমেন্টেশন সিনট্যাক্স। প্রধানত বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত সমস্যা সমাধানের জন্য এটি আমেরিকা এবং ইউরোপের গবেষক কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করতো।