কোনাে কাজ করার পূর্বে আমরা কাজটির পরিকল্পনা করে থাকি। পরিকল্পনামাফিক কাজে অগ্রসর হলে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। অ্যালগরিদম অর্থ ধাপে ধাপে সমস্যা সমাধান। অর্থাৎ একটি সমস্যাকে কয়েকটি ধাপে ভেঙ্গে প্রত্যেকটি ধাপ পরপর সমাধান করে সমগ্র সমস্যার সমাধান করা। অ্যালগরিদম শব্দটি আরব দেশের গণিতবিদ আল খারিজমী এর নাম থেকে উৎপত্তি হয়েছে। তিনি তার গণিত বইতে অ্যালগরিদম শব্দটির ব্যাখ্যা দেন নিম্নরূপে: “অ্যালগরিদম হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করার জন্য একটা বিশেষ পন্থা।”
অন্যভাবে বলা যায় যে, কম্পিউটারের সাহায্যে কোনাে সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যাটিকে ছােট ছােট ধাপে বিভক্ত করে যুক্তিসম্মতভাবে পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ করাকে অ্যালগরিদম বলে। অর্থাৎ অ্যালগরিদম হচ্ছে প্রােগ্রাম রচনা ও নির্বাহের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপগুলাে পর্যায়ক্রমিকভাবে লিপিবদ্ধ করা। কম্পিউটারের সাহায্যে কোনাে সমস্যা সমাধানে প্রােগ্রামিং এর ক্ষেত্রে অ্যালগরিদমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালগরিদমের ধাপ অনুসরণ করে কম্পিউটার, মানুষ, রোবট ইত্যাদি কাজ সম্পাদন করতে পারে। যখন প্রতিটি ইনপুটের জন্য সঠিক আউটপুট দেখায় তখন তাকে সঠিক অ্যালগরিদম বলে। অ্যালগরিদম বাংলা, ইংরেজির মত মানুষের মুখের ভাষা অথবা সি++, জাভার মত প্রোগামিং ভাষায় বর্ননা করা যায়। এমনকি হার্ডওয়্যার ডিজাইনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
১. অ্যালগরিদমটি সহজবােধ্য হবে।
২. প্রত্যেকটি ধাপ স্পষ্ট হতে হবে যাতে সহজে বুঝা যায়।
৩. সসীম সংখ্যক ধাপে সমস্যার সমাধান হতে হবে।
৪. অ্যালগরিদম ব্যাপকভাবে প্রয়ােগ করার উপযােগী হতে হবে।
অ্যালগরিদমের সুবিধা
১. সহজে প্রােগ্রামের উদ্দেশ্যে বােঝা যায়।
২. সহজে প্রােগ্রামের ভুল নির্ণয় করা যায়।
৩. প্রােগ্রামের প্রবাহের দিক বুঝা যায়।
৪. জটিল প্রােগ্রাম সহজে রচনা করা যায়।
৫. প্রােগ্রাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করে।
উদাহরণ: তিনটি সংখ্যার যােগফল ও গড় নির্ণয়ের অ্যালগরিদম নিম্নে দেয়া হলাে-
ধাপ- ১: কাজ শুরু করতে হবে।
ধাপ- ২: সংখ্যা ৩টি পড়তে হবে।
ধাপ- ৩: সংখ্যা ৩টির যােগফল বের করতে বলা হবে।
ধাপ- ৪: যােগফলকে ৩ দ্বারা ভাগ করে গড় নির্ণয় করতে হবে।
ধাপ- ৫: যােগফল এবং গড় ছাপায়।
ধাপ- ৬: কাজ শেষ করি