ষষ্ঠ অধ্যায় : পদার্থের গঠন
প্রশ্ন-১। পদার্থ কী?
উত্তর : যার ওজন আছে, জাযগা দখল করে এবং বল প্রয়োগে বাধা দেয় তাই পদার্থ।
প্রশ্ন-২। মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থ একটি মাত্র উপাদান দিয়ে তৈরি তাদেরকে মৌলিক পদার্থ বলে। যেমন- তামা, লোহা, অক্সিজেন ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৩। যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যেসব পদার্থকে ভাঙলে দুই বা ততোধিক ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক পদার্থের উপাদান পাওয়া যায়, তাদের যৌগিক পদার্থ বলে। যেমন- লবণ, চিনি, পানি, ক্যালসিয়াম কার্বনেট ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৪। পরমাণু কাকে বলে?
উত্তর : মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না, তাকে পরমাণু বলে।
প্রশ্ন-৫। কয়লা কেন মৌলিক পদার্থ? বর্ণনা কর।
উত্তর : কয়লা কার্বনের একটি রূপভেদ। আর কার্বন একটি মৌলিক পদার্থ। কারণ কয়লাকে ভাঙলে শুধু কার্বনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা পাওয়া যায় অর্থাৎ কয়লাতে একটি মাত্র উপাদান বিদ্যমান। তাই কয়লা একটি মৌলিক পদার্থ।
প্রশ্ন-৬। O এবং O2 এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর : O এবং O2 এর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ–
(১) O অক্সিজেনের ১টি পরমাণু নির্দেশ করে। অন্যদিকে, O2 অক্সিজেনের একটি অণু নির্দেশ করে।
(২) O স্বাধীনভাবে থাকতে পারে না। অন্যদিকে, O2 স্বাধীনভাবে থাকতে পারে।
প্রশ্ন-৭। বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলে কেন?
উত্তর : বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ। কারণ, বায়ুতে নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, জলীয় বাষ্পসহ বিভিন্ন ধরনের মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ থাকে। তাই বায়ুকে মিশ্র পদার্থ বলা হয়।
প্রশ্ন-৮। “কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে”— বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : কঠিন পদার্থের মধ্যে অণুগুলো পরস্পরের প্রচন্ড আকর্ষণে একটা পিন্ডের মধ্যে অত্যন্ত কাছাকাছি নিবিড়ভাবে থাকে। এই অণুগুলোর মধ্যে বিশেষ কোনো ফাঁক থাকে না। কাজেই কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক দূরত্ব খুবই কম, ফলে আন্তঃআণবিক শক্তি বেশি। এজন্য কঠিন পদার্থের ওপর প্রচন্ড চাপ দিয়েও তার আকার বা আয়তনের পরিবর্তন করা যায় না। অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন উভয়ই আছে।
প্রশ্ন-৯। মরিচা কাকে বলে?
উত্তর : লোহার তৈরি জিনিসপত্র কিছুদিন বাইরে রেখে দিলে এর ওপর লালচে বাদামি একটি আস্তরণ পড়ে, একে মরিচা বলে। এর রাসায়নিক নাম হাইড্রেটেড আয়রন অক্সাইড। লোহার সঙ্গে বাতাসের অক্সিজেন ও পানির বিক্রিয়ায় এটি তৈরি হয়।
প্রশ্ন-১০। ডাল্টনের পরমাণুবাদ কী?
উত্তর : পদার্থ অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরমাণু দ্বারা গঠিত। একে আবার বিভাজন সম্ভব নয়। এ মতবাদই ডাল্টনের পরমাণুবাদ।