জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। চরিত্র কী?
উত্তর : মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্য দিয়ে যে আচার-আচরণ ও স্বভাব প্রকাশ পায় তাই আখলাক বা চরিত্র।
প্রশ্ন-২। আখলাক শব্দটি কোন শব্দের বহুবচন?
উত্তর : ‘খুলুকুন’।
প্রশ্ন-৩। ‘খুলুকুন’ শব্দের অর্থ কি?
উত্তর : চরিত্র বা স্বভাব।
প্রশ্ন-৪। আখলাক কয়ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : দুই ভাগে।
প্রশ্ন-৫। আখলাকে হামিদাহ অর্থ কি?
উত্তর : প্রশংসনীয় চরিত্র।
প্রশ্ন-৬। আখলাকে যামিমাহ অর্থ কি?
উত্তর : নিন্দনীয় চরিত্র।
প্রশ্ন-৭। কোন চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি সমাজে নন্দিত ও সম্মানিত হয়?
উত্তর : আখলাকে হামিদাহ বা প্রশংসনীয় চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তি।
আখলাকে হামিদাহ কাকে বলে?
উত্তর : মানবজীবনের উত্তম গুণাবলিকে আখলাকে হামিদাহ বলে।
হাদিসে ধৈর্যের কয়টি বিশেষ দিকের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : হাদিসে ধৈর্যের তিনটি বিশেষ দিকের কথা বলা হয়েছে।
সহিষ্ণুতা কী?
উত্তর : অন্যের মতামতকে অবজ্ঞা না করে যথার্থ গুরুত্ব দেওয়া বা অন্যের মত বা আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাকে সহিষ্ণুতা বলে।
ধৈর্যের মূর্তপ্রতীক কে ছিলেন?
উত্তর : ইবরাহিম (আ.) ছিলেন ধৈর্যের মূর্তপ্রতীক।
ভ্রাতৃত্ববোধ কী?
উত্তর : পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও আন্তরিকতার সম্পর্কই হলো ভ্রাতৃত্ববোধ।
বিশ্বভ্রাতৃত্ব কী?
উত্তর : আদি পিতা-মাতা হযরত আদম (আ.) ও হযরত হাওয়া (আ.) এর জন্মসূত্রে পৃথিবীর সব মানুষ যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তাই বিশ্বভ্রাতৃত্ব।
পরশ্রীকাতরতা কী?
উত্তর : পরশ্রীকাতরতা হলো অন্যের উন্নতি ও সৌভাগ্য দেখে ঈর্ষা প্রকাশ করা।
অহংকার কার ভূষণ?
উত্তর : অহংকার আল্লাহর ভূষণ।
‘অশ্লীলতা’ কী?
উত্তর : নির্লজ্জ ও কুরুচিপূর্ণ কথা ও কাজই অশ্লীলতা।
ঘৃণা কী?
উত্তর : কাউকে তুচ্ছ মনে করে তাকে সহ্য করতে না পারা এবং তার থেকে দূরে সরে থাকাকেই ঘৃণা বলে।
পুণ্যকে ধ্বংস করে কোনটি?
উত্তর : পুণ্যকে ধ্বংস করে পরশ্রীকাতরতা।
অহংকারের ধরন কয়টি?
উত্তর : অহংকারের ধরন তিনটি।
ফিতনার আধুনিক রূপ কোনটি?
উত্তর : ফিতনার আধুনিক রূপ হলো সন্ত্রাস।
সন্ত্রাস কী?
উত্তর : ভয় দেখিয়ে বা জোর খাটিয়ে মানুষের কাছ থেকে কিছু আদায় করা বা আদায়ের পরিবেশ সৃষ্টি করাই হলো সন্ত্রাস।
এইচআইভি ভাইরাস সর্বপ্রথম কত সালে ধরা পড়ে?
উত্তর : ১৯৮১ সালে।
পরমতসহিষ্ণুতা কাকে বলে?
উত্তর : অন্যের মতামতকে অবজ্ঞা না করে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া বা অন্যের মত বা আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাকে পরমতসহিষ্ণুতা বলে। পরমতসহিষ্ণুতা মানবচরিত্রের একটি প্রশংসনীয় গুণ। এর ফলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় থাকে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। আখলাক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আখলাক শব্দটি খুলুকুন এর বহুবচন। এর অর্থ স্বভাব সমষ্টি বা চরিত্র।
আখলাক বলতে সচ্চরিত্র বা দুশ্চরিত্র উভয়ই বোঝায়। সচ্চরিত্র আখলাকে হামিদাহ এবং দুশ্চরিত্র আখলাকে যামিমা। মানুষের স্বভাব যখন সামগ্রিকভাবে সুন্দর, নির্মল ও মার্জিত হয় তখন তাকে আখলাকে হামিদাহ বলে। এমন কতগুলো নৈতিক অবক্ষয়মূলক আচরণ আছে যা মানুষকে হীন, নীচ, ইতর শ্রেণিভুক্ত ও নিন্দনীয় করে এগুলোকে আখলাকে যামিমা বলে। অর্থাৎ মিথ্যাচার, গিবত বা পরনিন্দা, গালি দেওয়া ইত্যাদি আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় আচরণ।
নৈতিক মূল্যবোধ বলতে কি বুঝায়?
উত্তর : নৈতিক মূল্যবোধ বলতে নৈতিক শিক্ষা থেকে জাগ্রত মূলবোধকে বোঝায়। ব্যক্তি, সমাজ বা জাতি ও বৈশ্বিক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি বা জাতির আচরণ অন্য ব্যক্তি ও সমাজ বা জাতির প্রতি কেমন হবে, তা নির্ধারণের মাপকাঠি হচ্ছে মূল্যবোধ। এই মূল্যবোধ কতিপয় গুণের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। যেমন- মানবতাবোধ, ন্যায়বিচার, সৎসাহস, সৎসঙ্গ, সংযম, অহিংসা প্রভৃতি।
প্রশ্ন-২। মানবজীবনে হারামের প্রভাব ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : মানবজীবনে হারামের প্রভাব অত্যন্ত ভয়াবহ।
হারাম খাদ্য ও বস্তু মানুষের শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। কোনো কোনো হারাম দ্রব্যের মধ্যে এমন উপাদান বিদ্যমান থাকে যা মানুষের মস্তিষ্ক বিকৃত করে দেয়। অনেক মারাত্মক ও প্রাণনাশক রোগ সৃষ্টি করে। হারাম কাজ মানবসমাজেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেমন— সুদ, ঘুষ, জুয়া, লটারি ইত্যাদি। এতে সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হয়, নৈতিক মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যায়। মানুষ ইবাদতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তার ইবাদত ও দোয়া কবুল হয় না। সর্বোপরি হারামের প্রভাবে মানুষের সার্বিক অকল্যাণ হয় এবং মানুষ ধ্বংস হয়ে যায়।