ফাস্ট এইড বক্স কাকে বলে? (What is called First Aid Box?)
উত্তর : নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে ছোটখাটো দুর্ঘটনায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসহ যে বক্স ব্যবহার করা হয় তাকে ফাস্ট এইড বক্স (First Aid Box) বলে।
রাইডার ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ পল-বুঙ্গি ব্যালেন্সে ব্যালেন্স বিমের উপরিপৃষ্ঠে বাম থেকে ডানে 0-100 পর্যন্ত যে 100 টি দাগ আছে রাইডারকে সেই দাগের একঘর বাম থেকে ডানে সরালে যে ফলপ্রসূ ওজন পাওয়া যায় তাকেই রাইডার ধ্রুবক বলে।
সেমিমাইক্রো অ্যানালাইসিস কী?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরির যে অ্যানালিসিস পদ্ধতিতে পরীক্ষণের জন্য পরীক্ষণীয় বস্তু বা দ্রবণের 50 mg বা 1 ml নিয়ে কাজ করা হয় তাকে সেমি মাইক্রো অ্যানালাইসিস বলে।
রিসাইক্লিং কাকে বলে?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থকে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলার প্রক্রিয়াকে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার বলে।
ওয়াশ বোতল কাকে বলে?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে আয়তনিক বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে প্রমাণ দ্রবণ তৈরি করতে বা যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করতে পাতিত পানি ব্যবহার করা হয়। এই পাতিত পানি রাখার জন্য যে বোতল ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়াশ বোতল (Wash bottle) বলে।
রাসায়নিক দ্রব্যের সংরক্ষণ ও সতর্ক ব্যবহারে MSDS কী কাজে লাগে?
উত্তরঃ MSDS হলো Material Safety and Data Sheets, অর্থাৎ, এটি এমন একটি তালিকা যাতে, রাসায়নিক পরীক্ষণে ব্যবহৃত কেমিক্যালগুলোর নাম, তাদের সতর্ক ব্যবহার ও সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে নির্দেশিকা দেয়া থাকে। তাই যেকোন ধরনের পরীক্ষণে অথবা রাসায়নিক দ্রব্যের সতর্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে MSDS এর ধারণা অনুশীলন আবশ্যক ও গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যুরেটের ব্যবহার কৌশল লিখ
উত্তরঃ ব্যুরেটের ব্যবহার কৌশল
- ব্যুরেটে দ্রবণ নেওয়ার সময় স্টপকর্কটি বন্ধ রাখতে হবে। পরে কর্ক খুলে শূন্য দাগ পর্যন্ত দ্রবণ নিতে হবে।
- দ্রবণ ভর্তি ব্যুরেটকে ক্লাম্পের সাহায্যে স্ট্যান্ডের সাথে খাড়াভাবে সেট করতে হবে।
- আয়তনমিতিক বিশ্লেষণের সময় বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনী ব্যবহার করে ব্যুরেটের স্টপকর্ক খুলতে হবে বা বন্ধ করতে হবে।
- ব্যুরেট ব্যবহারের পর পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে।
- স্টপকর্কটি ঠিকমতো কাজ না করলে ব্যুরেট থেকে আলাদা করে শুকিয়ে উভয় পাশে গ্রিজ লাগাতে হবে।
পরীক্ষাগারে পাইরেক্সের তৈরি গ্লাস সামগ্রী ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে সাধারণত পাইরেক্সের তৈরি করা গ্লাস সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। কারণ, এ জাতীয় গ্লাস সর্বোচ্চ তাপসহতা, ঘাতসহনক্ষমতা ও উচ্চ বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন হয়। তাই কোন পরীক্ষাকার্য সম্পাদনের যদি উচ্চ তাপ প্রয়োগ বা দ্রুত তাপ বৃদ্ধি এবং দ্রুত ঠান্ডা করার প্রয়োজন হয়, তবে সাধারণ কাঁচের তৈরি জিনিস সহজে ফেটে যায়। এজন্য রাসায়নিক পরীক্ষাগারে সাধারণত পাইরেক্সের তৈরি গ্লাস সামগ্রী ব্যবহার করা হয়।
ডিজিটাল ব্যালেন্সের অসুবিধাগুলি কি কি?
উত্তরঃ পরীক্ষাগারে বস্তুর ওজন সঠিকভাবে পরিমাপ করার জন্য ডিজিটাল ব্যালেন্স ব্যবহার করা হয়। ডিজিটাল ব্যালেন্সের ব্যবহার সুবিধাজনক হলেও এই ব্যালান্সের কিছু অসুবিধা রয়েছে।
- ধারণক্ষমতার থেকে অধিক ভর ব্যালেন্সের প্যানে যুক্ত করলে ব্যালেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
- বস্তুর ওজন পরিমাপ সাধারণ তাপমাত্রায় করতে হবে। তাপমাত্রা অধিক হলে বস্তুর ভর পরিমাপে ত্রুটি হতে পারে।
- ডিজিটাল ব্যালেন্সের চলমান কাচের দেয়াল সঠিকভাবে বন্ধ না করলে, বাতাসের কারণে বস্তুর ভর পরিমাপে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
- ডিজিটাল ব্যালেন্সে বস্তুর ওজন পরিমাপ করার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
- বস্তুর ওজন পরিমাপ করার পূর্বে ব্যালেন্সের টপ লোডিং প্যান ভালো করে পরিষ্কার করে না করলে পরিমাপে ত্রুটি হতে পারে।
ল্যাবরেটরিতে সিনথেটিক কাপড় এবং অলংকার পরিধান করা যাবে না কেন?
উত্তরঃ ল্যাবরেটরিতে ব্যবহৃত কাপড় বা এপ্রনটি সিনথেটিক হওয়া চলবে না। কারণ ল্যাবরেটেরিতে যদি কোনো বিস্ফোরণ হতে বা বার্নার হতে আগুন লাগে, সিনথেটিক কাপড় খুব ভাল দাহ্য পদার্থ হিসেবে কাজ করতে পারে। অন্যদিকে, অলংকার পরিধান করলে তা শিক্ষার্থীর সতর্ক মনোভাব বিচ্ছিন্ন করতে পারে অথবা কোনো যন্ত্রাংশে পেঁচিয়ে বা আটকে গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে।
কাচ সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো কী?
উত্তরঃ কাচ সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো নিম্নরূপ-
১) কাচনল, পিপেট, শীতক, কাচের কলাম প্রভৃতিতে প্লাস্টিক অথবা রাবারের টিউবিং, বাল্ব বা রাবার ছিপি ঢুকানোর সময় জখম সৃষ্টি করে।
২) পরিষ্কার করার সময়, বিশেষ করে সিংক থেকে ভাঙা কাচ অপসারণের সময় হাতের আঙ্গুল কেটে যেতে পারে।
৩) পড়ন্ত কোনো কাচপাত্র থেকে উদ্ভূত জখম।
৪) ঘর্ষণ বা তাপীয় অভিঘাতের কারণে সৃষ্ট ভাঙা কাচ থেকে সৃষ্ট জখম।
৫) বিস্ফোরণজনিত কারণে কাচের টুকরো থেকে সৃষ্ট জখম।
সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্র কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রে কতগুলো স্থির ছিদ্র থাকে। পরীক্ষাণীয় বস্তু সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রের একদিকের ছিদ্রে ও সম পরিমাণের পানি বিপরীত দিকের ছিদ্রে নিয়ে যন্ত্রটিকে চালু করা হয়। এ সময় যন্ত্রের ঘূর্ণন হার নির্দিষ্ট করা হয়। সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রটি অধঃক্ষেপণ মূলনীতির উপরি ভিত্তি করে কাজ করে। যেখানে কেন্দ্রামুখী বল প্রয়োগের মাধ্যমে অধঃক্ষেপকে তার শেষ দ্রব হতে আলাদা করে। সাধারণত তরল ও কঠিন বস্তুর মিশ্রণ পৃথক করার জন্য ইহা ব্যবহার করা হয়।
পরীক্ষাগারে সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্র দ্বারা কেন্দ্রাতিগ বল প্রয়োগ করে এটি দ্বারা সহজেই অধঃক্ষেপকে তার শেষ দ্রবণ হতে আলাদা করা যায়। সেন্ট্রিফিউজ যন্ত্রকে হ্যান্ডেলের সাহায্যে সম্পূর্ণ অধঃক্ষেপই টেস্টটিউবের তলায় জমা হয়। ফিল্টার কাগজের সাহায্যে ছাঁকন প্রণালির পরিবর্তে সেন্ট্রিফিউজ দ্বারা একইভাবে অধঃক্ষেপকে এর শেষ দ্রবণ হতে অতি সহজে এবং খুব অল্প সময়ে আলাদা করা যায়।
রাসায়নিক দ্রব্যের পরিমিত ব্যবহারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ১) ল্যাবে প্রস্তুতকৃত H2S গ্যাসে পঁচা ডিমের ন্যায় গন্ধ থাকে, যা অনেক শিক্ষার্থী সহ্য করতে পারে না। তাই এর পরিমিত ব্যবহার করতে হবে।
২) গবেষণাগারে আয়োডিন যৌগ সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার কারণ এর বাষ্প বিষাক্ত।
৩) লেড, আর্সেনিকের মতো ক্ষতিকর ধাতুর ব্যবহার করতে হবে পরিমিত হওয়া উচিত কারণ এগুলো মাটি ও পানি উভয়কে দূষিত করে।
৪) তেজষ্ক্রিয় পদার্থ (ইউরেনিয়াম, প্লুটোনিয়াম) পরিবেশের প্রাণীর জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর হওয়ার এগুলো ব্যবহারে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।