পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। পরিবেশ দূষণ কী?

 

উত্তর : আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করি। যার ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তন যখন আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।

 

প্রশ্ন-২। বায়ুদূষণ কাকে বলে?

 

উত্তর : বায়ুর স্বাভাবিক উপাদানের পরিবর্তন হলে আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে বায়ুদূষণ বলে।

 

প্রশ্ন-৩। আমরা কিভাবে শব্দদূষণ রোধ করতে পারি?

 

উত্তর : শব্দদূষণ রোধে আমাদের করণীয়—

 

(ক) উচ্চ স্বরে গান বাজানো যাবে না।

 

(খ) বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো।

 

(গ) মাইক বা লাউডস্পিকার না বাজানো।

 

(ঘ) হাসপাতাল বা বিদ্যালয়ের পাশে উচ্চ শব্দে কোনো কিছু না বাজানো।

 

(ঙ) জেনারেটরের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করা।

 

প্রশ্ন-৪। পরিবেশ সংরক্ষণ কী?

 

উত্তর : প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার ও সুরক্ষাই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।

 

প্রশ্ন-৫। আমরা কীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?

 

উত্তর : আমরা যেভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি তা হলোঃ

 

(ক) বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখতে পারি।

 

(খ) কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে রেখে বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করতে পারি।

 

(গ) গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।

 

ঘ) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনর্ব্যবহার করে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি।

 

(ঙ) ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে এবং গাছ লাগিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি।

 

পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

 

প্রশ্ন-৬। মাটিদূষণ কেন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

উত্তর : বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর জিনিস মাটিতে মিশে মাটি দূষিত হয়। রাসায়নিক সার, কীটনাশক, বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ মাটিকে দূষিত করছে। ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। দূষিত মাটিতে উত্পন্ন খাদ্যদ্রব্য খেয়ে মানুষের বিভিন্ন ধরনের রোগ হচ্ছে। এ কারণেই মাটিদূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৭। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?

উত্তর : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান, রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হচ্ছে। এতে গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অধিক মাত্রায় খাদ্যশস্য ও ফসল ফলানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে এবং জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে।

যানবাহনের বিষাক্ত ধোয়া বায়ুমণ্ডল দূষিত করছে; জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটছে। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।

প্রশ্ন-৮। পরিবেশ সংরক্ষণের ৪টি উপায় লেখো।

উত্তর : পরিবেশ সংক্ষণের ৪টি উপায় হলো—

(ক) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো।

(খ) গাড়ির ধোয়া নিয়ন্ত্রণ করা, গাড়ি কম ব্যবহার করে পায়ে হাঁটার অভ্যাস করা।

(গ) কলকারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি পরিশোধন করে বাইরে ফেলা।

(ঘ) ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা।

প্রশ্ন-৯। পরিবেশ দূষিত হয় কিভাবে?

উত্তর : বিভিন্ন ক্ষতিকর ও বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত হয়।

প্রশ্ন-১০। বায়ুদূষণের প্রধান কারণ কী?

উত্তর : যানবাহন ও কলকারখানার ধোয়া বায়ুদূষণের প্রধান কারণ।

প্রশ্ন-১১। পানি কিভাবে দূষিত হচ্ছে?

উত্তর : কলকারখানার বর্জ্য, পয়োবর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা ও মৃত জীবজন্তু, রাসায়নিক সার পানিতে মিশে পানি দূষিত হয়।