এইচএসসি (HSC) রসায়ন ২য় পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. বায়ুমণ্ডল কাকে বলে?

 

উত্তর : যে গ্যাসীয় মণ্ডল পৃথিবীকে আবৃত করে রেখেছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে।

 

প্রশ্ন-২. বয়েলের সূত্রটি লিখ।

 

উত্তর : “স্থির তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ভরের যে কোন গ্যাসের আয়তন তার উপর প্রযুক্ত চাপের বিপরীত অনুপাতে পরিবর্তিত হয়”।

 

প্রশ্ন-৩. চার্লসের সূত্র কি?

 

উত্তর : “স্থির চাপে কোন নির্দিষ্ট ভরের গ্যাসের আয়তন তার পরম তাপমাত্রার সমানুপাতিক।”

 

প্রশ্ন-৪. পরমশূন্য তাপমাত্রা কাকে বলে?

 

উত্তর : যে তাপমাত্রায় কোন গ্যাসের আয়তন তাত্ত্বিকভাবে শূন্য হয় তাকে পরমশূন্য তাপমাত্রা বলে।

 

প্রশ্ন-৫. প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ কাকে বলে?

 

উত্তর : 0°C তাপমাত্রা ও 1 বায়ুচাপকে প্রমাণ তাপমাত্রা ও চাপ বলে।

 

প্রশ্ন-৬. ডাল্টনের আংশিক চাপসূত্র কি?

 

উত্তর : কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পরস্পর বিক্রিয়াহীন কোন গ্যাস মিশ্রণের মোট চাপ ঐ তাপমাত্রায় উপাদান গ্যাসসমূহের আংশিক চাপসমূহের যোগফলের সমান।

 

প্রশ্ন-৭. গ্রাহামের ব্যাপন সূত্র কী?

 

উত্তর : নির্দিষ্ট চাপ ও তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের ব্যাপন হার তার ঘনত্বের বর্গমূলের সমানুপাতিক।

 

প্রশ্ন-৮. আদর্শ গ্যাস কাকে বলে?

 

উত্তর : যে সকল গ্যাস সকল তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাস সূত্রসমূহ অর্থাৎ বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র, অ্যাভোগেড্রোর সূত্র প্রভৃতি সঠিকভাবে মেনে চলে তাদেরকে আদর্শ গ্যাস বলে।

 

প্রশ্ন-৯. বাস্তব গ্যাস কাকে বলে?

 

উত্তর : যে সকল গ্যাসসমূহ আদর্শ গ্যাসের আচরণ থেকে বিচ্যুতি প্রদর্শন করে তাদেরকে বাস্তব গ্যাস বলে।

 

প্রশ্ন-১০. এসিড বৃষ্টি কাকে বলে?

 

উত্তর : বৃষ্টির পানিতে যদি অধিক পরিমাণ এসিড মিশ্রিত থাকে, তবে সেই বৃষ্টিকে এসিড বৃষ্টি বলে।

 

প্রশ্ন-১১. অনুবন্ধী অম্ল কাকে বলে?

 

উত্তর : কোনো ক্ষারকের সাথে একটি প্রোটন (H+) সংযোগের ফলে যে এসিডের সৃষ্টি হয়, তাকে সে ক্ষারকের অনুবন্ধী অম্ল বলে।

 

প্রশ্ন-১২. অনুবন্ধী ক্ষারক কাকে বলে?

 

উত্তর : কোনো এসিড থেকে একটি প্রোটন (H+) অপসারণের ফলে যে ক্ষারক সৃষ্টি হয়, তাকে সে এসিডের অনুবন্ধী ক্ষারক বলে।

 

প্রশ্ন-১৩. লুইস এসিড কাকে বলে?

 

উত্তর : যে সব পদার্থ মুক্তজোড় ইলেকট্রন গ্রহণ করতে পারে তাদেরকে লুইস এসিড বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. লুইস ক্ষারক কাকে বলে?

 

উত্তর : যে সব পদার্থ মুক্তজোড় ইলেকট্রন দান করতে পারে তাদেরকে লুইস ক্ষারক বলে।

 

প্রশ্ন-১৫. খর পানি কাকে বলে?

 

উত্তর : যে পানিতে সাধারণত Ca2+, Mg2+ এর বিভিন্ন লবণ দ্রবীভূত থাকে সেই পানিকে খর পানি বলে।

 

প্রশ্ন-১৬. বাস্তব গ্যাসগুলো ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র মেনে চলে না কেন?

 

উত্তরঃ গ্যাস মিশ্রণের মধ্যে একটি গ্যাসীয় উপাদানের চাপের উপর অপর উপাদানের চাপ প্রভাবিত হলে ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র কার্যকরী হয় না। এটি তখনই সম্ভব হয় যখন গ্যাস অণুগুলোর মধ্যে কোনো আকর্ষণ বল থাকে না। বাস্তবে দেখা যায় সাধারণ অবস্থায় সমস্ত বাস্তব গ্যাস অণুগুলোর মধ্যেই পারস্পারিক আকর্ষণ বল বিদ্যমান। তাই বাস্তব গ্যাসগুলো ডাল্টনের আংশিক চাপ সূত্র মেনে চলে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৭। চারটি বিষাক্ত ভারী ধাতুর নাম লিখ।

উত্তরঃ চারটি বিষাক্ত ভারী ধাতু হলো আর্সেনিক (As), ক্যাডমিয়াম (Cd), লেড (Pd) ও ক্রোমিয়াম (Cr)।

প্রশ্ন-১৮। প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম কি?

উত্তরঃ প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম হলো- কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2)।

প্রশ্ন-১৯। কোন মৌলকে প্রোটোপ্লাজমিক বিষ বলে?

উত্তরঃ আর্সেনিক (As) সাধারণত প্রোটোপ্লাজমিক বিষ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন-২০। আদর্শ গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় না কেন?

উত্তরঃ আদর্শ গ্যাসকে তরলে পরিণত করা যায় না। কারণ আদর্শ গ্যাসের কণাগুলোর মধ্যে কোনো পারস্পরিক আকর্ষণ বল কাজ করে না।

প্রশ্ন-২১। দূষক কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব ক্ষতিকর কঠিন, তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থ পরিবেশে যে মাত্রায় উপস্থিত থাকলে তা সমগ্র জীবজগৎকে বিপদাপন্ন করে তোলতে পারে, তাদেরকে দূষক বলে।

প্রশ্ন-২২। গৌণ বায়ুদূষক কি?

উত্তরঃ প্রাথমিক বায়ু দূষক বাতাসে মিশে যে-বায়ু দূষক পদার্থ সৃষ্টি করে, তাদের গৌণ বায়ুদূষক বলে। যেমন—PAN, অ্যালডিহাইড ইত্যাদি।

প্রশ্ন-২৩। সারফেস ওয়াটার বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সারফেস ওয়াটার (Surface water) বলতে পৃথিবীর উপরিভাগের নদ-নদী, খাল-বিল, পুকুর হ্রদ প্রভৃতিতে বিদ্যমান পানির ভাণ্ডারকে বোঝায়।

প্রশ্ন-২৪। গ্রিন হাউস প্রভাব কাকে বলে?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলের কিছু কিছু গ্যাস সূর্যের আলোকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়। সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পতিত হওয়ার পর প্রতিফলিত হলে বায়ুতে উপস্থিত কিছু কিছু গ্যাস তা শোষণ করে এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা বিকিরিত করে। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি হবে। ফলে আবহাওয়ার প্রকৃতি পরিবর্তন হবে। এর প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাবে, সমুদ্রের জলরাশির উচ্চতা বেড়ে যাবে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়ে যাবে ও দীপাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাবে। পৃথিবীর উপর এ ধরনের প্রভাবকে গ্রিন হাউস প্রভাব বলে।

প্রশ্ন-২৫। ঘূর্ণিঝড়ের প্রধান কারণ কি?

উত্তরঃ বাতাস উপরে উঠে যাওয়ার ফলে সৃষ্টি হওয়া শূন্যস্থান পূরণের জন্য দ্রুত বেগে পার্শ্ববর্তী এলাকার বাতাস সেখানে ছুটে যায়। চারদিক থেকে বাতাস একটি নির্দিষ্ট দিকে ছুটে আসার ফলেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-২৬। পদার্থের গ্যাসীয় অবস্থার তিনটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থায় নিম্নরূপ সাধারণ বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে—

১. গ্যাস পদার্থের একটি সমসত্ত্ব ভৌত অবস্থা।

২. একাধিক গ্যাস পরস্পর যে কোনো অনুপাতে মিশ্রিত হয়ে সমসত্ত্ব মিশ্রণ তৈরি করে।

৩. গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের নির্দিষ্ট কোনো চাপ নেই।

প্রশ্ন-২৭। ব্যাপন ও অণুব্যাপনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লিখ।

উত্তর : ব্যাপন ও অণুব্যাপনের মধ্যে দুটি পার্থক্য নিম্নরূপ :

১. ব্যাপন সাধারণত সমবায়ুচাপে অণুসমূহের স্বতঃস্ফূর্ত মন্থর প্রক্রিয়া। অন্যদিকে অণুব্যাপন উচ্চ চাপের প্রভাবে গ্যাসীয় দ্রুত প্রক্রিয়া।

২. অণুব্যাপন শুধু সরু ছিদ্র পথে অর্থাৎ নিয়ন্ত্রিত পথে ঘটে কিন্তু ব্যাপন সরু বা বিস্তৃত উভয় পথেই ঘটে।