পঞ্চম অধ্যায় : শিক্ষা ও দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার, অষ্টম শ্রেণির আইসিটি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. ফেসবুক বলতে কী বুঝ?
উত্তর :
 ফেসবুক হলো একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একজন অন্যজনের সাথে ভাব বিনিময় করে, ছবি, ভিডিও বিনিময় করে, কথাবার্তা বলে কিংবা বিশেষ কোনো একটা বিষয়ক আলোচনা করতে পারে।

প্রশ্ন-২. পিপীলিকা কীসের নাম?
উত্তর :
 পিপীলিকা হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি একটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম।

প্রশ্ন-৩. Create New Account এর ওপর কখন ক্লিক করতে হয়?
উত্তর :
 নতুন ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময় ফর্ম পূরণ শেষে Create New Account এর ওপর ক্লিক করতে হয়।

প্রশ্ন-৪. ই-মেইলে কোনো মেইল আসলে তা কোথায় জমা থাকে?
উত্তর :
 মেইল বক্সে।

প্রশ্ন-৫. ই-মেইল আইডিতে কী কী ব্যবহার করা যায়?
উত্তর :
 ই-মেইল আইডিতে বর্ণ, সংখ্যা, আন্ডার স্কোর (–) এবং একটি ডট (.) ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন-৬. স্মার্টফোনের মাধ্যমে ই-মেইল সংক্রান্ত কী কী করা যায়?
উত্তর :
 ই-মেইল পড়া ও পাঠানো যায়।

প্রশ্ন-৭. সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকাতে কোন কোন ভাষায় তথ্য সার্চ করা যায়?
উত্তর : ইংরেজি ও বাংলায়।

প্রশ্ন-৮. ই-মেইল আইডি কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : সরল ও বোধগম্য হওয়া উচিত।

প্রশ্ন-৯. স্পেস স্টেশন কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মহাকাশে।

প্রশ্ন-১০. একটি বাংলা সার্চ ইঞ্জিনের নাম বলো।
উত্তর : পিপীলিকা।

প্রশ্ন-১১. ইমেইলে নতুন মেসেজ তৈরি করার জন্য New Message উইন্ডোর কোন ট্যাবে ক্লিক করতে হয়?
উত্তর :
 yahoo এর ক্ষেত্রে New এবং gmail এর ক্ষেত্রে compose ট্যাবে ক্লিক করতে হয়।

প্রশ্ন-১২. ইন্টারনেট গেম কী?
উত্তর : যেসব গেম সরাসরি ইন্টারনেটে বসে খেলা হয় সেসব গেমকে ইন্টারনেট গেম বলা হয়।

প্রশ্ন-১৩. ই-বুক কি?

উত্তর : ই-বুক- এর পূর্ণনাম হলো ইলেকট্রনিক বুক। অর্থাৎ কাগজে প্রিন্ট করা বই- এর ডিজিটাল ভার্সন হলো ই-বুক। কম্পিউটার ও ই-বুক রিডারের মাধ্যমে ই-বুক ব্যবহার করা হয়। এটি অত্যন্ত সুবিধাজনক এবং ঝামেলামুক্ত। বাইরের দেশে এটি ব্যাপক আকারে প্রচলিত থাকলেও আমাদের দেশে এর ব্যবহার সর্ব সাধারণ পর্যায়ে পৌছায় নি। এর ব্যাপক প্রসারের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। আমাদের দেশে সকল পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে প্রাপ্তির জন্য সরকারিভাবে একটি ই-বুক প্ল্যাটফর্ম তৈরি তৈরি করা করা হয়েছে (www.ebook.gov.bd)। এতে ৩০০ টি পাঠ্যপুস্তক ও ১০০ টি সহায়ক পুস্তক রয়েছে।

প্রশ্ন-১৪. সার্চ ইঞ্জিনের কাজ লেখ।

উত্তর : ইন্টারনেটের অসংখ্যক ওয়েবসাইট থেকে তথ্য খুঁজে বের করার যে প্রোগ্রামটি ব্যবহৃত হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন বলে। সার্চ ইঞ্জিনের প্রধান কাজ হলো ব্যবহারকারীর চাহিদা মোতাবেক তথ্য খোঁজ করা। বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন হলো- গুগল, ইয়াহু, বিং, পিপীলিকা। এইরূপ সার্চ ইঞ্জিন হলো পিপীলিকা । বাংলায় কোনো কিছু লিখে সার্চ করলে, তথ্য ভাণ্ডার থেকে তথ্য বের করে প্রদর্শণ করবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৫. মোবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে কেন সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : বর্তমানে মোবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে তার বেশ কিছু কারণ আছে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন দিয়ে এখন অনেক ধরনের কাজ করা হচ্ছে। একসময় মোবাইল দিয়ে শুধু কথা বলা যেত। এখন মোবাইল দিয়ে গান শোনা যাচ্ছে, ছবি তোলা যাচ্ছে, ভিডিও করা ও দেখা যাচ্ছে, রেডিও শোনাসহ এ রকম অসংখ্য কাজ করা যাচ্ছে। কম্পিউটারের মতো ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের খবরাখবর জানতে পারছে। স্মার্টফোন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সমৃদ্ধ করেছে বলা যায়। ৩জি মোবাইল ফোনের সাহায্যে সরাসরি কথা বলাসহ উভয়ে উভয়ের ছবিও দেখতে পারছে। মোবাইল ফোন ধীরে ধীরে বুদ্ধিমান একটা যন্ত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। তাই বর্তমানে একটি আধুনিক মোবাইল ফোনকে স্মার্টফোন বলা হচ্ছে।

প্রশ্ন-১৬. দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে লেখ।

উত্তর : আমরা দৈনন্দিন জীবনে অধিকাংশ কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলো:

 

  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম ব্যবহার করে আমরা যেকোনো অপরিচিত জায়গায় চলে যেতে পারি। জিপিএস কোন পথে কীভাবে যেতে হবে তার দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
  • ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহার করে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ, ছবি-ভিডিও বিনিময় এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক কাজ করতে পারি।
  • ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে পারি এবং অনলাইনে পণ্য বেচা-কেনা করতে পারি।
  • যেকোনো তথ্য জানার জন্য আমরা ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে তা খুঁজে পেতে পারি।
  • উপরের আলোচনা থেকে বুঝা যায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ইন্টারনেট অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তাই দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রশ্ন-১৭. একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে কী কী সুবিধা পেতে পারে সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

উত্তর : একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট থেকে বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা পেতে পারে। হঠাৎ যদি কোনো ছাত্র/ছাত্রীর কোনো টেক্সট বই হারিয়ে যায়, তাহলে সে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এনসিটিবিতে গিয়ে কাঙ্খিত বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারে। জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল সরাসরি ইন্টারনেট থেকে জেনে নেওয়া যায়।

পাঠ্য বিষয়ের কোনো কিছু বুঝতে না পারলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন রেফারেন্স বইয়ের সাহায্য নিয়ে সেটি জানা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে পৃথিবীর বিভিন্ন লাইব্রেরি থেকে বই পড়া যায়। সম্প্রতি আমাদের দেশে পিপীলিকা নামে বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে। এখানে বাংলাতে বিভিন্ন বিষয় খুঁজে পাওয়া যায়। দিনে দিনে এটি আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।

প্রশ্ন-১৮. শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : আমাদের জীবনের সবক্ষেত্রেই যেহেতু ইন্টারনেটের প্রভাব রয়েছে তাই শিক্ষাক্ষেত্রেও এর প্রভাব আছে। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটকে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট অ্যাপস তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল পাঠ্যবই এনসিটিবির ওয়েবসাইট থেকে সহজে ডাউনলোড করতে পারে।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী খুব সহজেই ভর্তির আবেদন করতে পারে। তাছাড়া ছাত্র/ছাত্রীরা তার প্রয়োজনীয় তথ্য বা বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটে সার্চ করে খুঁজে নিতে পারে ।

এ সকল ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী মহাকাশে স্পেস স্টেশনের একজন মহাকাশচারীকে পৃথিবী থেকে প্রশ্ন করে বিভিন্ন মহাকাশ তথ্য জেনে নিতে পারে । যা সবই ইন্টারনেট ব্যবহারে সম্ভব। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার অপরিসীম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৯. প্লুটো গ্রহ নয়’ -এ বিষয়টি জানতে চেয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তোমাকে কীভাবে সাহায্য করবে বর্ণনা কর।

উত্তর : ইন্টারনেটে প্রায় সকল বিষয় সম্পর্কেই তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এখন কেউ যদি প্লুটো সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে সে সহজেই ইন্টারনেটে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাবে। ইন্টারনেট ঘেটে সে জানতে পারবে যে, গ্রহ হতে যে সমস্ত বৈশিষ্ট্যের প্রয়োজন হয় তার সবগুলো প্লুটোর নেই।

তাই ২০০৬ সালে তাকে সৌর জগতের গ্রহ তালিকা থেকে বাদ দেবার সিদ্ধান্ত হয়। তবে প্লুটোকে বামন গ্রহন (Minor Plants) এর স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং “প্লুটো গ্রহ নয়’- এ, বিষয়টি জানতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সাহায্য করতে পারে।

প্রশ্ন-২০. দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের ব্যবহার সংক্ষেপে লেখ।

উত্তর : দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা সমাধানের প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে তথ্য । ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেটি ব্যবহার করে অনেক সমস্যাকে সমাধান করা যায়। এজন্য ইন্টারনেটে তথ্য খুঁজতে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে হয়। বিশ্বের জনপ্রিয় তথ্য খোঁজার সাইট বা সার্চ ইঞ্জিনের অন্যতম হলো গুগল (Google)। এতে বাংলা ও ইংরেজি ভাষাতে তথ্য খুঁজে বের করা যায়।

বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি বিদগণও একটি বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করেছেন, যার নাম পিপীলিকা (Pipilika)। এর মাধ্যমে বাংলাতে তথ্য খোজা যায়। শিক্ষাসক্রান্ত প্রায় সকল ধরনের সহায়ক তথ্য ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের নানান সমস্যা সমাধানের জন্য ইন্টারনেটে অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে।

তাছাড়া রয়েছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইট ওলফরামআলফা (wallframapha.com) । এ সাইটে বিভিন্ন গণনার কাজ করার ব্যবস্থা রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যারও সমাধান এখানে পাওয়া যায়। ইন্টারনেটের বাহাদুরী হচ্ছে এটি কেবল তথ্য প্রাপ্তিতে সহায়তা করে এমন নয় বরং কারো তথ্য প্রকাশেও সমানভাবে সহায়তা করে ।-ফলে, অনেকেই তাদের সমস্যা সমাধানের অভিজ্ঞতা নিজেদের ওয়েবসাইট, ব্লগ বা সামাজিক যোগাযোগের সাইটে প্রকাশ করেন।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

১। বাংলা সার্চ ইঞ্জিন কোনটি?

ক) বিং খ) গুগল গ) ইয়াহু ঘ) পিপীলিকা

উত্তরঃ- ঘ) পিপীলিকা

২। ই-মেইল কী?

ক) ইমারজেন্সি মেইল খ) ইলেকট্রিক্যাল মেইল

গ) ইঞ্জিনিয়ারিং মেইল ঘ) ইলেকট্রনিক মেইল

উত্তরঃ- ঘ) ইলেকট্রনিক মেইল

৩। ‘Facebook’ কী ধরনের সাইট?

ক) ছবি দেখার

খ) গান ডাউনলোড করার

গ) পত্রিকা পড়া ও দেখার

ঘ) সামাজিক যোগাযোগের

উত্তরঃ- ঘ) সামাজিক যোগাযোগের

৪। ‘Shimul’-এর ই-মেইল আইডি কোনটি?

ক) [email protected]

খ) [email protected]

গ) shimul@ Yahoo

ঘ) shimul@

উত্তরঃ- খ) [email protected]