জীবন ও বৃক্ষ প্রবন্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রেম ও সৌন্দর্যের স্পর্শ লাভ করেনি।

 

প্রশ্ন-১৫। কীসের দ্বারা জীবনবোধ ও মূল্যবোধে অন্তর পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে?

 

উত্তরঃ সাহিত্য ও শিল্পকলার দ্বারা জীবনবোধ ও মূল্যবোধে অন্তর পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

 

প্রশ্ন-১৬। ‘তপোবন’ কি?

 

উত্তরঃ ‘তপোবন’ হলো অরণ্যে ঋষির আশ্রম।

 

প্রশ্ন-১৭। কীসের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি করা সহজ হয়?

 

উত্তরঃ বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি করা সহজ হয়।

 

প্রশ্ন-১৮। প্রাবন্ধিক কোনটিকে মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন?

 

উত্তরঃ প্রাবন্ধিক বৃক্ষকে মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখক তপোবন প্রেমিক বলেছেন কেন?

উত্তর : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসাধারণ প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন বলে লেখক তাঁকে তপোবন প্রেমিক বলেছেন।

প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় ঋষিরা ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী। বৃক্ষ মানবজীবনের গূঢ় অর্থ সম্বন্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাঝেও প্রকৃতি এসেছে নানা রূপবৈচিত্র্য নিয়ে। তাঁর রচিত বিভিন্ন কবিতায় বৃক্ষের বন্দনায় তা স্পষ্ট হয়। আর এ কারণেই লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে তপোবন প্রেমিক বলেছেন।

প্রশ্ন-২। প্রাবন্ধিক জীবনকে বৃক্ষের মতো করে তুলতে বলেছেন কেন?

উত্তর : মহৎ ও আদর্শ জীবন গড়ে তোলার প্রত্যাশায় প্রাবন্ধিক জীবনকে বৃক্ষের মতো করে তুলতে বলেছেন।

‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক বৃক্ষের জীবন থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে বলেছেন। তাঁর মতে, পরার্থে আত্মনিবেদনে বৃক্ষের যে ত্যাগ সে শিক্ষা আমাদের জীবনকে মহিমান্বিত করে তুলতে পারে। বৃক্ষের সাধনা, ত্যাগ ও সেবা আদর্শ জীবনের প্রকৃত উদাহরণ। তাই বৃক্ষের শিক্ষামূলক দিকগুলো কাজে লাগিয়ে মহত্তম মানবজীবন গঠনের প্রত্যাশাতেই প্রাবন্ধিক জীবনকে বৃক্ষের মতো করে তুলতে বলেছেন।

প্রশ্ন-৩। জীবনের গূঢ় অর্থ সম্পর্কে আমরা কীভাবে সচেতন হতে পারি?

উত্তর : পরার্থপর বৃক্ষের দিকে তাকালে আমরা জীবনের গূঢ় অর্থ সম্পর্কে সচেতন হতে পারি।

অঙ্কুরোদ্‌গমের পর থেকে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বৃক্ষ নিঃস্বার্থভাবে ফুল, ফল, ডাল, লতা-পাতা, ছায়া ইত্যাদির মাধ্যমে অন্যের সেবা করে। বৃক্ষের এই সেবাপরায়ণ ও মহৎ জীবন বিশ্লেষণ করে আমরা জীবনের গূঢ় অর্থ সম্পর্কে সচেতন হতে পারি। তখন খুব সহজেই অনুধাবন করা যাবে যে, পরার্থে জীবন উৎসর্গ করাই আমাদের জীবনের সার্থকতা। আর এ সম্পর্কে সচেতন হতে হলে বৃক্ষের জীবনের দিকে তাকানোর বিকল্প নেই।

প্রশ্ন-৪। বৃক্ষের জীবনের গতি ও বিকাশ বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : বৃক্ষের জীবনের গতি ও বিকাশ বলতে লেখক বৃক্ষের বৃদ্ধি ও তার ফুলে-ফলে পরিপূর্ণ হওয়াকে বুঝিয়েছেন৷

মাটির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বৃক্ষ প্রকৃতির নিয়ম মেনেই নিজেকে বিকশিত করে। ছোট থেকেই প্রকৃতির নিয়মের গতিকে আয়ত্ত করে সে নিজেকে একটু একটু করে বড় করে তোলে আর পরিণত বয়সে ফুল ও ফল প্রদান করে। লেখক বৃক্ষের এ পরিবর্তনকেই তার গতি ও বিকাশ বলেছেন।

প্রশ্ন-৫। সৃজনশীল মানুষের প্রাপ্তি ও দানে পার্থক্য দেখা যায় না কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : সৃজনশীল মানুষের ক্ষেত্রে যা তার দান তাই তার প্রাপ্তি; এ কারণে তার প্রাপ্তি ও দানে পার্থক্য দেখা যায় না।

প্রাবন্ধিকের মতে, সাধনার ব্যাপারে প্রাপ্তি একটা বড় জিনিস; কারণ প্রাপ্তিতেই সাধনার সার্থকতা। বৃক্ষের ক্ষেত্রে ফুল ফোটানো ও ফুল থেকে ফল সৃষ্টি তার সাধনা; আবার ফুলে-ফলে পরিপূর্ণ হওয়াটাই তার প্রাপ্তি। একইভাবে সৃজনশীল মানুষ আত্মার উৎসারণ থেকে যা সৃষ্টি করে তা অন্যের কাছে আশীর্বাদ হয়ে পৌছায়। এ কারণেই সৃজনশীল মানুষের প্রাপ্তি ও দানে পার্থক্য দেখা যায় না।