অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। নদ ও নদীর মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ সাধারণত বাংলা, হিন্দি, ফারসি ইত্যাদি ভাষার ক্ষেত্রে পুরুষবাচক শব্দ অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই, ঈ-কারান্ত হয়। যেমন— নদ-নদী, কুমার-কুমারী ইত্যাদি। সুতরাং যে সকল নদীর নাম পুরুষবাচক সেগুলোর পর ‘নদ’ (যেমন: কপোতাক্ষ নদ, ব্রহ্মপুত্র নদ, নীল নদ ইত্যাদি) এবং যে সকল নদীর নাম স্ত্রীবাচক সেগুলোর পর ‘নদী’ (যেমন- পদ্মা নদী, যমুনা নদী ইত্যাদি)।

প্রশ্ন-২। বাংলাদেশের বেকার সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে কেন?

উত্তরঃ যোগ্যতা থাকা সত্বেও কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে না পারাই হলো বেকারত্ব।

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল ও জনবহুল দেশ। এদেশে চাকরির চাহিদা যে হারে বাড়ছে সে হারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার কারণে এখানে চাকরির নতুন ক্ষেত্র তৈরি করাও কষ্টকর। এসব কারণেই বাংলাদেশে বেকার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।

প্রশ্ন-৩। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় ও কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে?

উত্তরঃ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট এর সদর দপ্তর প্রথম ঢাকা ছিল। বর্তমানে হারুকান্দি, ফরিদপুরে অবস্থিত। নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। River Research Institute (RRI) টি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।

প্রশ্ন-৪। জর্জ স্টিফেনসন কে ছিলেন?

উত্তরঃ জর্জ স্টিফেনসন ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ট্রেনে ব্যবহারের জন্যে প্রথম বাষ্প ইঞ্জিন তৈরি করেন। ডার্লিংটন ও স্টকটন-এর মধ্যে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বপ্রথম ট্রেন লাইনে তাঁর তৈরি ট্রেন চলাচল শুরু করেন।

প্রশ্ন-৫। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়া বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়া বলতে নতুন কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি হওয়াকে বোঝায়; যা মানুষের বেকারত্ব দূর করে আয় বাড়ায়।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ার ফলে দেশের বেকার সমস্যার সমাধান হয়। অন্যদিকে জাতীয় আয়ও বেড়ে যায়। ফলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হয়। কর্মসংস্থান মানুষকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে।