সপ্তম অধ্যায় : পদার্থের গাঠনিক ধর্ম, পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. বিকৃতির কোনো একক নেই কেন?

 

উত্তর : একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত বলে বিকৃতির কোনো একক নেই।

 

 

 

প্রশ্ন-২. হুকের সূত্রটি লেখ।

 

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পীড়ন এর বিকৃতির সমানুপাতিক।

 

প্রশ্ন-৩. সান্দ্রতা কাকে বলে?

 

উত্তর : কোনো প্রবাহী যে ধর্মের জন্য এর অভ্যন্তরস্থ বিভিন্ন স্তরের গতিকে বাধা প্রদান করে তাকে সান্দ্রতা বলে।

 

প্রশ্ন-৪. সংকট বেগ কাকে বলে?

 

উত্তর : সর্বাধিক যে বেগ পর্যন্ত কোনো তরলের প্রবাহ ধারা রেখ প্রবাহ বজায় রাখে সে বেগকে সংকট বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-৫. কাঠিন্যের বা মোচড় গুণাঙ্ক কাকে বলে?

 

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর কৃন্তন পীড়ন ও কৃন্তন বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে কাঠিন্যের বা মোচড় গুণাঙ্ক বলে।

 

প্রশ্ন-৬. নমনীয়তা কাকে বলে?

 

উত্তর : বিকৃতিকারী বল অপসারণের পর যদি বস্তুর অবস্থার পুনঃপ্রাপ্তি না ঘটে তবে বস্তুর এই ধর্মকে নমনীয়তা বলে।

 

প্রশ্ন-৭. সান্দ্রতা গুণাঙ্কের মাত্রা কী?

 

উত্তর : সান্দ্রতা গুণাঙ্কের মাত্রা ML-1T-1।

 

প্রশ্ন-৮. পয়সনের অনুপাত কাকে বলে?

 

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে পার্শ্ব বিকৃতি ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। একে পয়সনের অনুপাত বলে।

 

প্রশ্ন-৯. পীড়ন কাকে বলে?

 

উত্তর : বাহ্যিক বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর আকার, আয়তন বা দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন ঘটানো হলে বা ঘটানোর চেষ্টা করলে বস্তুর ভেতর হতে প্রতি একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলে যে বাধাদানকারী বলের উদ্ভব হয় তাকে পীড়ন বলে।

 

প্রশ্ন-১০. পূর্ণ দৃঢ় বস্তু কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যেসব বস্তুর ওপর বাইরে থেকে যেকোনো পরিমাণ বল প্রয়োগ করা সত্ত্বেও আকার বা আকৃতির কোনো পরিবর্তন ঘটে না তাদেরকে পূর্ণ দৃঢ় বস্তু বলে।

 

প্রশ্ন-১১. মোচড় বিকৃতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ বাহ্যিক বল প্রয়োগের ফলে যদি কোনো বস্তুর আয়তনের কোনো পরিবর্তন না হয়ে আকারের পরিবর্তন হয়, তবে সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনে সৃষ্ট কৌণিক বিচ্যুতিকে মোচড় বা ব্যবর্তন বিকৃতি বলে।

 

প্রশ্ন-১২. স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?

 

উত্তর : বস্তুর ওপর বল প্রয়োগ করলে এর বিকৃতি ঘটে এবং বল প্রত্যাহার করলে বস্তু আগের আকার-আকৃতিতে ফিরে যায়। যে ধর্মের জন্য বস্তু এরূপ আচরণ করে তাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩. স্থিতিস্থাপক সীমা কাকে বলে?

উত্তর : একক ক্ষেত্রফলে প্রযুক্ত বাহ্যিক বলের যে মান পর্যন্ত কোনো বস্তু পূর্ণ স্থিতিস্থাপক বস্তুর মতো আচরণ করে তাকে স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।

প্রশ্ন-১৪. স্পর্শ কোণ কাকে বলে?

উত্তর : কঠিন ও তরলের স্পর্শ বিন্দু হতে তরল তলে অঙ্কিত স্পর্শক কঠিন বস্তুর সাথে তরলের মধ্যে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে ঐ কঠিন ও তরলের মধ্যকার স্পর্শ কোণ বলে।

প্রশ্ন-১৫. পৃষ্ঠ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : কোন একটি তরল পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল এক একক বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয়, তাকে ঐ তরল পৃষ্ঠের পৃষ্ঠ শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৬. প্রভাব গোলক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো একটি অণুকে কেন্দ্র করে আণবিক পাল্লার সমান ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি গোলক বিবেচনা করলে ঐ গোলককে ঐ অণুর জন্য প্রভাব গোলক বলে।

প্রশ্ন-১৭. স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোন বস্তুতে বা তারে অনেকক্ষণ যাবৎ পীড়ন প্রয়োগ করলে কিংবা পীড়নের হ্রাস-বৃদ্ধি করলে বস্তু স্থিতিস্থাপক ধর্মের অবনতি ঘটে। তখন অসহভার অপেক্ষা কম ভারেই ঐ বস্তু ছিড়ে বা ভেঙ্গে যাবে, বস্তু বা তারের এ অবস্থাকে স্থিতিস্থাপক ক্লান্তি বলে।

প্রশ্ন-১৮. ইয়ং এর স্থিতিস্থাপক গুণাংক কাকে বলে?

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোন বস্তুর দৈর্ঘ্য পীড়ন ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে বস্তুর উপাদানের ইয়ং এর গুণাংক বলে। একে ‘Y’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

অতএব, ইয়ং এর গুণাংক,Y = দৈর্ঘ্য পীড়ন / দৈর্ঘ্য বিকৃতি।

প্রশ্ন-১৯. আয়তনের স্থিতিস্থাপক গুণাংক কাকে বলে?

উত্তর : বস্তুর আয়তন পীড়ন ও আয়তন বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এ ধ্রুব সংখ্যাকে বস্তুর উপাদানের আয়তন গুণাংক বলে। একে ‘K’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

অতএব, আয়তন গুণাংক, K = আয়তন পীড়ন / আয়তন বিকৃতি।

প্রশ্ন-২০. ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক বলতে কী বোঝো?

উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে বস্তুর দৈর্ঘ্য পীড়ন ও দৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। একে ইয়ংয়ের গুণাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-২১. পদার্থের প্লাজমা অবস্থা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : পদার্থের চতুর্থ অবস্থার নাম অবস্থা। এই প্লাজমা হলো অতি উচ্চ তাপমাত্রায় আয়নিত গ্যাস। প্লাজমার বড় উৎস হচ্ছে সূর্য। তাছাড়াও অন্যান্য নক্ষত্রগুলোও প্লাজমার উৎস। প্রায় কয়েক হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় প্লাজমা অবস্থার উৎপত্তি হয়। গ্যাসের মতো প্লাজমার কোন নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন নেই। প্লাজমা কণাগুলো তড়িৎ আধান বহন করে বলে প্লাজমা তড়িৎ পরিবাহী হিসেবে কাজ করে।