ফুসফুস কি?
উত্তরঃ ফুসফুস হচ্ছে শ্বসনতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অঙ্গ। ফুসফুসের বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাসে পরিবেশের O2 জমা হয় যা রক্তের মাধ্যমে দেহ কোষে পৌঁছায়। আবার এখানে রক্ত হতে আগত কার্বন ডাই-অক্সাইডও জমা হয় যা শ্বাসনালি ও নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে পরিবেশে নির্গত হয়।
অ্যালভিওলাস কী?
উত্তরঃ অ্যালভিওলাস হলো ফুসফুসের গঠনগত ও কার্যগত একক। প্রতিটি অ্যালভিওলাস ক্ষুদ্র বুদবুদ সদৃশ বায়ুকুঠুরী বিশেষ। এদের প্রতিটির ব্যাস ০.২ মি.মি. এবং প্রাচীর মাত্র ০.১ মাইক্রণ পুরু। এদের প্রাচীরে কৈশিকনালিকা নিবিড়ভাবে অবস্থান করে। অ্যালভিলাসের প্রাচীর চ্যাপ্টাকৃতির স্কোয়ামাস এপিথেলিয়াল কোষ দ্বারা গঠিত। এছাড়া এদের প্রাচীর কিছু স্থিতিস্থাপক কোলাজেন সূত্রক থাকার কারণে অ্যালভিওলাসের সঙ্কুচন-প্রসারণ ঘটে।
ধূমপায়ীর ফুসফুসের বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তরঃ ধূমপায়ীর ফুসফুসে অধূমপায়ীর চেয়ে কম সংখ্যক অ্যালাভিওলাই থাকে। এরা নষ্ট হয়ে যায় এবং কালচে বর্ণ ধারণ করে। এছাড়া ফুসফুসের অন্তঃপ্রাচীর অবস্থিত সিলিয়াওলো অবশ হয়ে পড়ে।
কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের উদ্দেশ্য কী?
উত্তরঃ কোন কারণে কারও শ্বসন বন্ধ হয়ে গেলে এমন জরুরী পরিস্থিতি সে ব্যক্তির মুখ বা নাক দিয়ে যান্ত্রিক বা কায়িক ছন্দময় প্রক্রিয়ার বাতাস অভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়ে বা বের করে দিয়ে পুনরায় শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ বা ত্যাগে সক্ষম করে তুলে ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে তোলাই কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের উদ্দেশ্য।
অন্তঃশ্বসন ও বহিঃশ্বসনের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ অন্তঃশ্বসন ও বহিঃশ্বসনের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
বহিঃশ্বসন
- শ্বসনের যে পর্যায়ে শ্বসন অঙ্গে শ্বসন গ্যাসের বিনিময় ঘটে তাকে বহিঃশ্বসন বলে।
- এটি ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
- এটি ফুসফুসে সংঘটিত হয়।
- এনজাইমের কোন ভূমিকা নেই।
- শ্বাসগ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগ।
- কোন শক্তি উৎপন্ন হয় না।
অন্তঃশ্বসন
- শ্বসনের যে পর্যায়ে কোষে খাদ্যবস্তুর জারণ ক্রিয়া সম্পন্ন হয় এবং রক্ত দ্বারা শ্বসন গ্যাস পরিবাহিত হয় তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
- এটি জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া।
- এটি কোষ ও রক্তে সংঘটিত হয়।
- এনজাইমের ভূমিকা ব্যাপক।
- গ্লাইকোলাইসিস, ক্রেবস চক্র ও গ্যাস পরিবহন।
- নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়।