এইচএসসি (HSC) পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। ত্বরণের একক কি?

 

উত্তরঃ ত্বরণের একক ms-2।

 

প্রশ্ন-২। কে সর্বপ্রথম পড়ন্ত বস্তুর ১ম সূত্র প্রমাণ করেন?

 

উত্তর : নিউটন সর্বপ্রথম পড়ন্ত বস্তুর ১ম সূত্র প্রমাণ করেন।

 

প্রশ্ন-৩। ঋণাত্মক ত্বরণকে কী বলা হয়?

 

উত্তর : ঋণাত্মক ত্বরণকে মন্দন বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৪। বেগ পরিমাপক যন্ত্রের নাম কি?

 

উত্তর : ভেলাটোমিটার।

 

প্রশ্ন-৫। বেগ-সময় লেখের ঢাল কী প্রকাশ করে?

 

উত্তর : বেগ-সময় লেখের ঢাল ত্বরণ প্রকাশ করে।

 

প্রশ্ন-৬। প্রাসের গতি কয় মাত্রিক হয়?

 

উত্তর : প্রাসের গতি দ্বিমাত্রিক হয়।

 

প্রশ্ন-৭। পড়ন্ত বস্তুর ক্ষেত্রে গ্যালিলিও কয়টি সূত্র প্রদান করেন?

 

উত্তর : তিনটি।

 

প্রশ্ন-৮। নিক্ষেপণ কোণের সর্বোচ্চ মান কত?

 

উত্তর : নিক্ষেপণ কোণের সর্বোচ্চ মান 90° হয়।

 

প্রশ্ন-৯। বিচরণ পথ কাকে বলে?

 

উত্তর : প্রক্ষিপ্ত বস্তুর গতিপথ অর্থাৎ প্রাসের গতিপথকে বিচরণ পথ বলে।

 

প্রশ্ন-১০। আপেক্ষিক গতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ একটি বস্তুর সাপেক্ষে অপর বস্তুর গতিকে আপেক্ষিক গতি বলে।

 

প্রশ্ন-১১। নিক্ষেপণ কোণ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোণ প্রাসকে অনুভূমিকের সাথে যে কোণে নিক্ষেপ করা হয় তাকে নিক্ষেপণ কোণ বলে।

 

প্রশ্ন-১২। নিক্ষেপণ বিন্দু কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে বিন্দু থেকে প্রাস নিক্ষিপ্ত হয় তাকে নিক্ষেপণ বিন্দু বলে।

 

প্রশ্ন-১৩। সর্বোচ্চ উচ্চতা কাকে বলে?

 

উত্তরঃ নিক্ষিপ্ত বস্তুটি সর্বাধিক যে উচ্চতা বা উলম্ব দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে সর্বোচ্চ উচ্চতা বলে। সর্বোচ্চ উচ্চতায় প্রাসের বেগ শূন্য হয়।

 

প্রশ্ন-১৪। গড় বেগ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে কোনো সময় ব্যবধানে কোনো বস্তুর মোট সরণকে ঐ সময় ব্যবধান দিয়ে ভাগ করলে যে রাশি পাওয়া যায় তাকেই বস্তুটির গড় বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-১৫। তাৎক্ষণিক বেগ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ সময়ের ব্যবধান শূন্যের কাছাকাছি হলে বস্তুর সরণের হারকে এর তাৎক্ষণিক বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-১৬। মধ্যবেগ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো একটি গতিশীল বস্তুর প্রথম এবং শেষ বেগের অভিমুখ একই হলে তাদের যোগফলের অর্ধেককে মধ্যবেগ বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। মুক্তি বেগ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ সর্বনিম্ন যে বেগে কোনো বস্তু খাড়া ওপরের দিকে নিক্ষিপ্ত হলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না সেই বেগকে মুক্তি বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-১৮। সরণ ভেক্টর কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যখন কোনো বস্তু এক অবস্থান থেকে অন্য কোনো অবস্থানে গমন করে তখন আদি অবস্থানকে পাদবিন্দু এবং শেষ অবস্থানকে শীর্ষ বিন্দু বিবেচনা করে যে ভেক্টর পাওয়া যায় তাকে সরণ ভেক্টর বলে।

 

প্রশ্ন-১৯। কৌণিক ভরবেগ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ ঘূর্ণায়মান বস্তুর ঘূর্ণন অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণন জড়তা বা জড়তার ভ্রামক ও কৌণিক বেগের গুণফলকে ঐ অক্ষের সাপেক্ষে ঘূর্ণায়মান বস্তুর কৌণিক ভরবেগ বলে।

 

প্রশ্ন-২০। অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বলের লন্ধি যে বিন্দুতে ক্রিয়া করে তাকে বস্তুটির অভিকর্ষ কেন্দ্র বা ভার কেন্দ্র বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

শরীরের উপরের অংশে গতি জড়তা বিদ্যমান থাকে। এতে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই, চলন্ত গাড়ি হতে নামা বিপজ্জনক।

 

প্রশ্ন-৩২। প্রক্ষেপক কীভাবে পড়ন্ত বস্তু থেকে আলাদা?

 

উত্তরঃ কোনো বস্তুকে অভিকর্ষের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়তে দিলে অথবা খাড়া ওপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তখন একে পড়ন্ত বস্তু বলে। কিন্তু 90° ভিন্ন অপর কোনো কোণে নিক্ষেপ করলে তখন একে প্রক্ষেপক বলে। প্রক্ষেপকের গতিপথ পরাবৃত্ত আকৃতির হয়, কিন্তু পড়ন্ত বস্তুর গতিপথ সরলরৈখিক হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৩৩। “কোনো বস্তুর বেগ দ্বিমাত্রিক কিন্তু ত্বরণ একমাত্রিক হতে পারে” -ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো বস্তুর বেগ দ্বিমাত্রিক হলেও ত্বরণ এক মাত্রিক হতে পারে। এক্ষেত্রে উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো প্রাসের গতিপথ। প্রাসের ক্ষেত্রে নিক্ষেপণ বেগের অনুভূমিক উপাংশ বরাবর ত্বরণ শূন্য হলেও উল্লম্ববেগ বরাবর ত্বরণ ক্রিয়াশীল। তাই এক্ষেত্রে বস্তুর বেগ দ্বিমাত্রিক কিন্তু ত্বরণ একমাত্রিক।

প্রশ্ন-৩৪। একজন অ্যাথলেট লং জাম্প দেয়ার পূর্বে বেশ কিছুদূর দৌড় দেন কেন?

উত্তরঃ একজন অ্যাথলেট লং জাম্প দেয়ার পূর্বে বেশ কিছুদূর দৌড় দেন। এর উদ্দেশ্যে হলো, গতিজড়তা অর্জন করা যার দরুন সে জাম্প দেয়ার পর বেশ খানিকটা দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন।

প্রশ্ন-৩৫। খাড়া উপরে নিক্ষিপ্ত বস্তুর অনুভূমিক দূরত্ব শূন্য হয় কেন– ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ খাড়া উপরে নিক্ষিপ্ত বস্তুর ক্ষেত্রে অনুভূমিক দিকে নিক্ষেপণ বেগের উপাংশ শুন্য। তাই নিক্ষিপ্ত বস্তুর অনুভূমিক দূরত্বও শূন্য হয়।

প্রশ্ন-৩৬। স্প্রিংযুক্ত খেলনা গাড়িকে পেছন দিকে টেনে ছেড়ে দিলে গাড়িটি সামনের দিকে অগ্রসর হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ স্প্রিংযুক্ত খেলনা গাড়িকে যখন পেছন দিকে টানা হয় তখন স্প্রিং এর বিপরীতে বল প্রয়োগ করে কাজ করা হয়। এই কাজ প্রিং এ স্থিতিশক্তিরূপে সঞ্চিত থাকে। গাড়িটিকে যখন ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন এই স্থিতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে গাড়িটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

প্রশ্ন-৩৭। সকল সরল ছন্দিত স্পন্দনই পর্যায়বৃত্ত স্পন্দন কিন্তু সকল পর্যায়বৃত্ত স্পন্দন সরল ছন্দিত স্পন্দন নয়– ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ পর্যায়বৃত্ত স্পন্দন সরল পথে ও বৃত্তাকার পথে হতে পারে। সরলপথে স্পন্দন হলে তাকে সরল ছন্দিত স্পন্দন বলে। যেমন সিলিংফ্যান ও সরলদোলক উভয়ের গতি পর্যাবৃত্ত স্পন্দন হলেও সিলিং ফ্যানের গতি বৃত্তাকার বলে এটি সরল ছন্দিত স্পন্দন নয়। সুতরাং বলা যায়, সকল সরল ছন্দিত স্পন্দনই পর্যায়বৃত্ত স্পন্দন কিন্তু সকল পর্যায়বৃত্ত স্পন্দন সরল ছন্দিত স্পন্দন নয়।

প্রশ্ন-৩৮। শীতল পানির গতির চেয়ে গরম পানির গতি দ্রুত হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ শীতল পানির তুলনায় গরম পানির তাপমাত্রা বেশি হয়। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে তরলের সান্দ্রতা হ্রাস পায়। তাই শীতল পানির তুলনায় গরম পানির ধারারেখ প্রবাহ অনেক সহজ হয়। তাই গরম পানির গতি দ্রুততর হয়।