প্রশ্ন-১। প্রজনন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জটিল প্রক্রিয়ায় জীব তার বংশধর সৃষ্টি করে তাকে প্রজনন বলে।
প্রশ্ন-২। অঙ্গজ প্রজনন কী?
উত্তরঃ কোনো ধরনের অযৌন রেণু বা যৌন জনন কোষ সৃষ্টি না করে দেহের কোনো অংশ খণ্ডিত হয়ে বা কোনো অঙ্গজ রূপান্তরিত হয়ে উদ্ভিদের যে প্রজনন ঘটে তাই অঙ্গজ প্রজনন।
প্রশ্ন-৩। সরল ফল কাকে বলে?
উত্তরঃ ফুলের একটি মাত্র গর্ভাশয় থেকে যে ফলের উৎপত্তি তাকে সরল ফল বলে।
প্রশ্ন-৪। ফল কী?
উত্তরঃ উদ্ভিদের নিষিক্তকরনের পর গর্ভাশয় এককভাবে অথবা ফুলের অন্যান্য অংশসহ পরিপুষ্ট হয়ে যে অঙ্গ গঠন করে তাই ফল।
প্রশ্ন-৫। সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ফুলে পুম্পাক্ষ, বৃতি, পাপড়ি, পুংকেশর ও গর্ভকেশর এ পাঁচটি স্তবকের সবগুলো উপস্থিত থাকে তাকে সম্পূর্ণ ফুল বলে।
প্রশ্ন-৬। ফুলের পরাগায়ন বর্ণনা করো।
উত্তরঃ ফুলের পরাগধানী হতে পরাগরেণু একই ফুলে অথবা একই জাতের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়াকে পরাগায়ন বলে। একে পরাগসংযোগও বলা হয়। পরাগায়ন দুই প্রকার। যথা— স্ব-পরাগায়ন ও পর-পরাগায়ন। বায়ু, পানি, কীট-পতঙ্গ, পাখি, বাদুড় ইত্যাদি পরাগায়নের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। পরাগায়ন ফল ও বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়ার পূর্বশর্ত।
প্রশ্ন-৭। ইমবাইবিশন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থের নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করার প্রক্রিয়াই হলো ইমবাইবিশন। উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের কলয়েডধর্মী পদার্থ বিদ্যমান। যেমন- স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন ইত্যাদি। এসব পদার্থ তাদের কলয়েডধর্মী গুণের জন্যেই পানি শোষণ করতে সক্ষম। শুকনো বীজ অঙ্কুরোদগমের সময় ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি শোষণ করে।
প্রশ্ন-৮। পরিবর্তিত কাণ্ড বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ কিছু উদ্ভিদের কাণ্ড বিভিন্ন প্রতিকূলতা ঠেকাতে, খাদ্য সঞ্চয় করতে অথবা অঙ্গজ প্রজননের জন্য পরিবর্তিত হয়। এদের অবস্থান ও বাইরের চেহারা দেখে তাকে কাণ্ড বলে মনেই হয় না। এরা পরিবর্তিত কাণ্ড।
প্রশ্ন-৯। বৃতির দু’টি কাজ লেখো।
উত্তরঃ বৃতির দুটি কাজ হলো— i. পোকামাকড় হতে ফুলের বিভিন্ন অংশকে রক্ষা করা। ii. কুড়ি অবস্থায় রোদ, বৃষ্টি হতে ফুলের অন্যান্য অংশকে রক্ষা করা।
প্রশ্ন-১০। পরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তরঃ পরাগায়নের ফলে ফুলের পুং জননকোষ ও স্ত্রী জননকোষের মিলনে জাইগোট সৃষ্টি হয়। এ জাইগোট থেকে ফল ও বীজ উৎপন্ন হয়। বীজ উদ্ভিদের বংশ বৃদ্ধি করে। যদি বীজের সৃষ্টি না হতো তাহলে হয়তো পৃথিবীর উদ্ভিদকুল বিলীন হয়ে যেত। আর উদ্ভিদের এ বীজ সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখে পরাগায়ন। এজন্যই পরাগায়ন গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-১১। বায়ু পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ বায়ু পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য—
১. ফুল বর্ণ, গন্ধ ও মধু গ্রন্থি বিহীন।
২. পরাগরেণু হালকা, অসংখ্য ও আকারে ক্ষুদ্র।
প্রশ্ন-১২। কাঁঠালকে যৌগিক ফল বলা হয় কেন?
উত্তরঃ যৌগিক ফলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, এদের মঞ্জরীর প্রায় সম্পূর্ণ অংশ থেকেই পরিণত ফলের সৃষ্টি হয়। কাঁঠালের একটি ফুল থেকে মঞ্জরীর সম্পূর্ণ অংশই ফলে পরিণত হয়। এজন্য কাঁঠালকে যৌগিক ফল বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩। আনারস কি ধরনের ফল এবং কেন?
উত্তরঃ আনারস একটি যৌগিক ফল। যৌগিক ফলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, এদের মঞ্জুরীর প্রায় সম্পূর্ণ অংশ থেকেই পরিণত ফলের সৃষ্টি হয়। আনারসের একটি ফুল থেকে মঞ্জুরীর সম্পূর্ণ অংশই ফলে পরিণত হয় বলেই আনারস একটি যৌগিক ফল।