পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন-১। খাদ্যজাল ও খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?

 

উত্তর : খাদ্যজাল একটি পরিবেশে বিদ্যমান একাধিক খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ

 

করে। অন্যদিকে বাস্তুসংস্থানে উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তিপ্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই হলো খাদ্যশৃঙ্খল।

 

প্রশ্ন-২। উদ্ভিদ কীভাবে প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?

 

উত্তর : উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদ খাদ্য তৈরির জন্য প্রাণীর ত্যাগ করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে থাকে।

 

প্রশ্ন-৩। মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড়বস্তুর উদাহরণ দাও।

 

উত্তর : মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড়বস্তু হলো—

 

১. মাটি

 

২. পানি ও

 

৩. বাতাস

 

প্রশ্ন-৪। পরাগায়ন কী?

 

উত্তর : ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু বায়ু, মৌমাছি, পাখি ইত্যাদির সাহায্যে ফুলের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে পরাগায়ন বলে।

 

প্রশ্ন-৫। বাস্তুসংস্থান কী?

 

উত্তর : কোনো স্থানের সকল জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ওই স্থানের বাস্তুসংস্থান।

 

প্রশ্ন-৬। বীজের বিস্তরণ বলতে কী বোঝো?

 

উত্তর : মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াকেই বীজের বিস্তরণ বলে।

 

প্রশ্ন-৭। উদ্ভিদের বীজ কীভাবে সৃষ্টি হয়?

 

উত্তর : উদ্ভিদের পরগায়নের ফলে বীজ সৃষ্টি হয়।

 

প্রশ্ন-৮। খাদ্যশৃঙ্খলের শুরু কোথা থেকে?

 

উত্তর : সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্যশৃঙ্খল শুরু।

 

প্রশ্ন-৯। বীজের বিস্তার কী গড়ে তোলে?

 

উত্তর : বীজের বিস্তার নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায৵ করে।

 

প্রশ্ন-১০। উদ্ভিদ কীভাবে খাদ্য তৈরি করে?

 

উত্তর : উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি ও বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।

 

বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন-১। খাদ্যশৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ইগল একই রকম, তা ব্যাখ্যা করো।

 

উত্তর : খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ইগল উভয়ই সর্বোচ্চ স্তরের খাদক। কারণ, এরা উভয়ই খাদ্যশৃঙ্খলের অন্যান্য প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেমন ইগল ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ইত্যাদি প্রাণী খেয়ে থাকে।

 

অন্যদিকে সাপ খায় খরগোশ, ইঁদুর, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ও অন্যান্য ছোট প্রাণী।

 

তাই বলা যায়, খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ইগল উভয়ই খাদক এবং এরা প্রাণী-জাতীয় খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। এভাবেই বলা যায় যে খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ইগল একই রকম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২। নিচের শব্দগুলো দিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা করো।

ইগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।

উত্তর : প্রদত্ত শব্দগুলো দিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম নিচে দেওয়া হলো:

সূর্য → ঘাস → পোকামাকড় → ব্যাঙ → সাপ → ইগল

ব্যাখ্যা: সূর্য হলো সকল শক্তির উৎস। সবুজ ঘাস সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য তৈরি করে। পোকামাকড় ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। ব্যাঙ পোকামাকড়কে খায়। একইভাবে ব্যাঙকে খায় সাপ এবং সাপকে খায় ইগল। এভাবে শক্তি উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে প্রবাহিত হয় খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে।

প্রশ্ন-৩। জীব কীভাবে বায়ুর ওপর নির্ভরশীল, তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : জীব বায়ুর ওপর নির্ভরশীল। বায়ু ছাড়া প্রাণী একমুহূর্ত বাঁচতে পারে না। উদ্ভিদও বায়ু ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বায়ুর কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করে। প্রাণী শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং বেঁচে থাকে। পানির জীবও পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।

সুতরাং বায়ু ছাড়া উদ্ভিদ ও জীব বাঁচতে পারে না। তাই বলা যায়, বায়ুর ওপর জীব নির্ভরশীল।

প্রশ্ন-৪। উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : মাতৃউদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াই হলো বীজের বিস্তরণ। উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণে প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল। পুষ্টি উপাদানের জন্যও উদ্ভিদ প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল; প্রাণীর মৃতদেহ প্রাকৃতিক সারে পরিণত হয়। এই সার পুষ্টি হিসেবে গ্রহণ করে উদ্ভিদ বেড়ে ওঠে। পরাগায়নের ফলে উদ্ভিদের বীজ সৃষ্টি হয়, এই বীজ থেকে আবার নতুন উদ্ভিদ জন্মায়। বীজের বিস্তার নতুন নতুন উদ্ভিদ-আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এ কারণেই উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ গুরুত্বপূর্ণ।