জীববিজ্ঞান ১ম পত্র ৪র্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অণুজীব কী?

 

উত্তরঃ অণুজীব হচ্ছে অতি ক্ষুদ্র জীব যাদেরকে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন অণুবীক্ষণযন্ত্র ছাড়া দেখা যায় না। যেমন— ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ম্যালেরিয়া পরজীবী ইত্যাদি।

 

সাইজোগনি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ মানবদেহের যকৃত ও লোহিত কণিকায় সংঘটিত ম্যালেরিয়া পরজীবীর অযৌন জননকে সাইজোগনি বলে।

 

ভাইরাস দেহের নিউক্লিক এসিডের উপর ভিত্তি করে ভাইরাস কত ধরনের?

 

উত্তরঃ দু’ধরনের DNA ও RNA ভাইরাস।

 

এনভেলপ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কিছু সংখ্যক ভাইরাসে ক্যাপসিডের বাইরে একটি ১০-১৫ ন্যানোমিটার পুরু আবরণ থাকে যার নাম এনভেলপ।

 

হেপাটাইটিস কী?

 

উত্তরঃ এটি ভাইরাসজনিত যকৃতের রোগ। হেপাটাইটিস বলতে সাধারণত যকৃতের প্রদাহকে বুঝায়।

 

ব্যাকটেরিওফাজ কী?

 

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার দেহাভ্যন্তরে সংখ্যাবৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংসকারী ভাইরাসকে ব্যাকটেরিওফাজ বলে।

 

কলেরা কী?

 

উত্তরঃ কলেরা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা পানিবাহিত একটি আন্ত্রিক রোগ। ভারতীয় উপমহাদেশেই এ রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।

 

এক্সফ্ল্যাজেলেশন কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় একটি মাইক্রোগ্যামেটোসাইট থেকে ৪-৮ টি মাইক্রোগ্যামেট উৎপন্ন হয় তার নাম এক্সফ্ল্যাজেলেশন।

 

কে পেঁপের রিংস্পট রোগটি ছড়ায়?

 

উত্তরঃ এডিস জাতীয় পতঙ্গের (Aplus gossypii) মাধ্যমে রোগটি ছড়ায়।

 

লাইসোজেনিক চক্র কী?

 

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ফাজ ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া কোষ সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটায় ঠিকই কিন্তু কোষের বিদারণ ঘটিয়ে মুক্ত হয়না তাকেই বলা হয় লাইসোজেনিক চক্র।

 

ভাইরাস কী?

 

উত্তরঃ নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত এক প্রকার অকোষীয় অতি আণুবীক্ষণিক (ultramicroscopic) রোগ উৎপাদনকারী জৈব কণিকা। উপযুক্ত পোষককোষে এরা পোষকের DNA-এর সাহায্যে দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু পোষককোষের বাইরে ভাইরাস জড়বস্তুর মতোই নিষ্ক্রিয় থাকে।

 

ম্যালেরিয়া কী?

 

উত্তরঃ এটি Anopheles মশকী বাহিত এবং Plasmodium গণভূক্ত এককোষী পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত একটি মারাত্মক জ্বররোগ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কক্কাস বলতে কী বুঝায়?

উত্তরঃ এককোষী, গোলাকার বা ডিম্বাকার, একক ব্যাকটেরিয়াকে কক্কাস বলে।

ডেঙ্গী কী?

উত্তরঃ ডেঙ্গী একটি ভাইরাসঘটিত জ্বররোগ।

কিভাবে ম্যালেরিয়ার প্রতিকার করা যায়?

উত্তরঃ ১। মশকীয় জনাক্ষেত্র নির্মূলকরণ, ২। লার্ভা, পিউপা ও পূর্ণাঙ্গ মশকী নিধন, ৩। মশকীর দংশনের হাত থেকে আত্মরক্ষা।

ক্যাপসিড কী?

উত্তরঃ ভাইরাস দেহের নিউক্লিক এসিডকে ঘিরে থাকা প্রোটিন আবরণের নাম ক্যাপসিড।

ভাইরাসের তিনটি প্রধান জড় বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তরঃ ১. এরা পোষকদেহের বাইরে কোন জৈবিক কার্যকলাপ ঘটায় না।

২. জীবকোষের বাইরে এদের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেনা।

৩. পরিস্রুত ও কেলাসিত করে ভাইরাসকে স্ফটিকে পরিণত করা যায়।

লাইটিক চক্র বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় ফাজ ভাইরাস পোষক ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবেশ করে সংখ্যাবৃদ্ধি সম্পন্ন করার পর পোষক দেহের বিদারণ ঘটিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে তাকে লাইটিক চক্র বলে।

ভাইরাসের প্রধান তিনটি জীবীয় বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তরঃ ১। ভাইরাসে নিউক্লিক এসিড আছে।

২। উপযুক্ত পোষক কোষের ভিতরে সংখ্যাবৃদ্ধি করে।

৩। এতে প্রকরণ ও পরিব্যক্তি দেখা যায়।

ভিরিয়ন কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি সংক্রমণযোগ্য ভাইরাস কণাকে ভিরিয়ন বলে।

T2 ব্যাকটেরিওফাজের নামকরণের সার্থকতা কী?

উত্তরঃ এটি দেখতে অনেকটা ব্যাঙাচির মতো তাই এধরনের নামকরণ করা হয়েছে।

নিউক্লিওয়েড কী?

উত্তরঃ নিউক্লিয়ার ঝিল্লি, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন তন্ত্র ছাড়াই কেবলমাত্র প্যাঁচানো একটি দ্বিসূত্রক DNA দিয়ে গঠিত ব্যাকটেরিয়ার তথাকথিত নিউক্লিয়াস-এর নাম নিউক্লিওয়েড।

প্লাজমিড কাকে বলে?

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার প্রধান বংশগতি বস্তু DNA ছাড়াও কিছু ক্ষুদ্র, গোলাকার, দ্বিতন্ত্রী DNA অণু থাকতে দেখা যায়, এগুলো প্লাজমিড।

ক্রোম্যাটোফোর কী?

উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়ার কোষে ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না। তবে কিছু ব্যাকটেরিয়ায় সালোকসংশ্লেষণকারী রঞ্জক দেখা যায়। এদের নামই ক্রোম্যাটোফোর।

ভাইরাসকে জীব হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেন?

উত্তরঃ ভাইরাস জৈব রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত এবং উপযুক্ত পোষক দেহের অভ্যন্তরে পোষক দেহের জৈব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম। সকল ভাইরাসে এ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। তাই ভাইরাসকে এক প্রকার জীব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।