বিদ্যুৎ প্রবাহের একক কি?
উত্তরঃ অ্যাম্পিয়ার।
ফিউজ কি দ্বারা তৈরি হয়?
উত্তরঃ টিন ও সীসা।
তড়িৎ আধানের এসআই একক কি?
উত্তরঃ কুলম্ব।
বিভব পার্থক্যের একক কি?
উত্তরঃ ভোল্ট।
রোধের একক কি?
উত্তরঃ ওহম।
পর্যাবৃত্ত প্রবাহের উৎস কোনটি?
উত্তরঃ জেনারেটর।
তড়িৎ প্রবাহের প্রতীক কী?
উত্তরঃ তড়িৎ প্রবাহের প্রতীক I.
পাখা চালানোর জন্য কত অ্যাম্পিয়ার ফিউজ প্রয়োজন?
উত্তরঃ ৫ অ্যাম্পিয়ার।
অ্যাম্পিয়ারের ধনাত্মক প্রান্তটি কোন রঙের হয়?
উত্তরঃ লাল।
শুষ্ক কোষে অ্যানোড হিসেবে কাজ করে কোনটি?
উত্তরঃ দস্তার চোঙ।
খোলা বর্তনী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বর্তনীতে বিদ্যুৎপ্রবাহ মাত্রা শূন্য অর্থাৎ বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকে না এবং রোধ অসীম থাকে সে বর্তনীকে খোলা বর্তনী বলে।
চল বিদ্যুৎ কাকে বলে? চল বিদ্যুতের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ যে বিদ্যুৎ কোনো পরিবাহীর মধ্য দিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রবাহিত হয় তাকে চল বিদ্যুৎ বলে।
চল বিদ্যুতের ব্যবহারঃ
চল বিদ্যুতের ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো–
- চল বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আলো ও তাপ উৎপাদন করা হয়। যেমন– বৈদ্যুতিক বাল্ব, হিটার ইত্যাদি।
- চল বিদ্যুৎ দ্বারা বিভিন্ন যান্ত্রিক কাজ করা হয়। যেমন– বৈদ্যুতিক পাখা চালানো ইত্যাদি।
তড়িৎ বর্তনী কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ উৎসের ধনাত্মক প্রান্ত থেকে ঋণাত্মক প্রান্তে তড়িৎ প্রবাহের জন্য সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে। যখন তড়িৎ উৎসের দুই প্রান্তকে এক বা একাধিক রোধ, তড়িৎ যন্ত্র বা উপকরণের সাথে যুক্ত করা হয়, তখন একটি তড়িৎ বর্তনী তৈরি হয়। একটি চাবি বা সুইচের সাহায্যে বর্তনী বন্ধ করা বা খোলা যায়। বর্তনী বন্ধ থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে, খোলা থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না।
তড়িৎ বর্তনীর মৌলিক উপাদান কি কি?
উত্তরঃ তড়িৎ বর্তনীর মৌলিক উপাদানগুলো হলো– ক. রেজিস্টর; খ. ক্যাপাসিটর এবং গ. ইন্ডাক্টর।
ফিউজ কী?
উত্তরঃ ফিউজ হলো টিন ও সীসায় গঠিত সংকর ধাতুর তৈরি ছোট সরু তার, যা বর্তনীতে সিরিজ সংযোগে লাগানো থাকে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহ সহ্য করতে পারে।
১৫ অ্যাম্পিয়ার ফিউজ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ১৫ অ্যাম্পিয়ারের ফিউজ বলতে বোঝায় এর মধ্য দিয়ে ১৫ অ্যাম্পিয়ারের বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিউজের তার উত্তপ্ত হয়ে গলে যাবে এবং তড়িৎ বর্তনী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এতে ১৫ অ্যাম্পিয়ারের অতিরিক্ত বিদ্যুৎ প্রবাহিত না হওয়ার ফলে কোনো দুর্ঘটনাও ঘটবে না এবং সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
এক ভোল্ট বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বিভব পার্থক্যের ব্যবহারিক একক ভোল্ট।
কোনো পরিবাহীর দুই বিন্দুর মধ্যে যে বিভব পার্থক্যের জন্য এক কুলম্ব চার্জ চালিত করতে এক জুল কাজ করতে হয়, তাকে এক ভোল্ট বলে। একে সংক্ষেপে V দ্বারা সূচিত করা হয়।
তড়িৎ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ তড়িৎ দুই প্রকার। যথাঃ
১) স্থির তড়িৎ এবং
২) চল তড়িৎ।
১) স্থির তড়িৎঃ তড়িৎ যখন কোন বস্তুতে আবদ্ধ থাকে এবং প্রবাহিত হয় না তখন তাকে স্থির তড়িৎ বলে।
২) চল তড়িৎঃ তড়িৎ যখন কোন বস্তুর মধ্য দিয়ে চলাচল করে বা প্রবাহিত হয় তখন তাকে চল তড়িৎ বলে।
তড়িৎ বিভব পার্থক্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রতি একক আধানকে তড়িৎক্ষেত্রের এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে স্থানান্তর করতে সম্পন্ন কাজের পরিমাণ হলো ঐ বিন্দুর তড়িৎ বিভব পার্থক্য। দুটি বিন্দুর মধ্যে বিভব পার্থক্য না থাকলে তড়িৎ প্রবাহিত হবে না। ফলে কোনো আধান প্রবাহিত হবে না এবং কোনো কাজও সম্পন্ন হবে না।
ভোল্টমিটারের সাহায্যে কীভাবে বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য মাপা যায়?
উত্তরঃ বর্তনীর যে দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য পরিমাপ করতে হয় ভোল্টমিটারটিকে সেই দুই বিন্দুর সাথে সমান্তরাল সংযুক্ত করতে হয়। তড়িৎ কোষ বা অ্যামিটারের মতো ভোল্টমিটারেও দুটি সংযোগ প্রান্ত থাকে, একটি ধনাত্মক ও একটি ঋণাত্মক প্রান্ত। সূচক কাঁটার বিক্ষেপ থেকে বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য মাপা যায় ।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যকণিকাঃ
১। পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহ বাধাদানের ধর্ম হলো— রোধ।
২। পরিবাহীর অণু-পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়– ইলেকট্রন।
৩। রোধ বাধা দেয়— ইলেকট্রনের প্রবাহকে।
৪। ও’মের সূত্র প্রণয়ন করেন— জর্জ সাইমন ওম।
৫। নির্দিষ্ট পরিবাহকের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহ এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের– সমানুপাতিক।
৬। ওহমের সূত্রে তাপমাত্রা– স্থির থাকে।
৭। বিভব পার্থক্য বেশি হলে তড়িৎ প্রবাহ– বেশি হয়।
৮। কোনো নির্দিষ্ট পরিবাহের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ পরিবাহকের নিজস্ব রোধের– ব্যস্তানুপাতিক।
৯। রোধের এস আই একক হলো— ওহম।
১০। কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য ১ ভোল্ট এবং এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ ১ অ্যাম্পিয়ার হলে ঐ পরিবাহীর রোধ হবে— ১ ওহম।