প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর : প্রকৃতিকে ব্যবহার করে মানুষ নিজেদের চাহিদা পূরণের জন্য যে সব পূণ্য-সামগ্রী উৎপাদন করে থাকে তাকেই সাধারণভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন, মাটি, পানি, বনভূমি, সৌরতাপ, মৎস্য, খনিজ ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ।
সৌরসম্পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ আমরা প্রকৃতি থেকে সূর্যের যে আলো অনায়াসে লাভ করি তাকে সৌরসম্পদ বলে। এটি মূল্যবান একটি প্রাকৃতিক সম্পদ।
নাফ কী?
উত্তরঃ নাফ একটি নদীর নাম। বাংলাদেশ মায়ানমারের সীমান্তে নাফ নদী অবস্থিত।
বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত?
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।
বাংলাদেশে কোন ধরনের জলবায়ু দেখা যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশে আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন জলবায়ু দেখা যায়।
আই ডব্লিউ টি এ কী?
উত্তরঃ আই ডব্লিউ টি এ হলো অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের দুইটি প্রধান নদীর নাম লেখ।
উত্তরঃ বাংলাদেশের দুইটি প্রধান নদীর নাম পদ্মা ও মেঘনা।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন কোনটি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বন সুন্দরবন।
ঢাকা কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
উত্তরঃ ঢাকা বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন?
উত্তরঃ বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ।
বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলোর নাম লিখ।
উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রধান নদীগুলো হচ্ছে- পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা ও কর্ণফুলী।
বঙ্গোপসাগরের তলদেশে কোন খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয়েছে?
উত্তরঃ বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাস আবিস্কৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে কয়টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় ও কী কী?
উত্তরঃ বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিকে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। এগুলো হলো- ১. টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ (১২%); ২.প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান (৮%); ৩. সাম্প্রতিকালের প্লাবন সমভূমি (৮০%)।
বাংলাদেশের দুটি প্রাকৃতিক সম্পদের নাম লিখ।
উত্তরঃ বাংলাদেশের দুটি প্রাকৃতিক সম্পদের নাম হলো– বনভূমি ও প্রাকৃতিক গ্যাস।
বনজ সম্পদ কাকে বলে?
উত্তরঃ স্বাভাবিকভাবে কোনো অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের যে অসংখ্য বৃক্ষের সমারোহ দেখা যায় তাকে বনভূমি বলে। আর বনভূমি থেকে প্রাপ্ত সম্পদকে বনজ সম্পদ বলে।
আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তরঃ আমাদের দেহের মোট আমিষের চাহিদা প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ পূরণ করে মাছ।
পদ্মা নদীর শাখা নদী এবং উপনদী কোনটি?
উত্তরঃ শাখা নদী : কুমার, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, গড়াই, মধুমতি, আড়িয়াল খাঁ প্রভৃতি পদ্মার শাখা নদী।
উপনদী : উপনদীগুলোর মধ্যে মহানন্দাই প্রধান। মহানন্দার উপনদী পুনর্ভবা, নাগরকুলিক, ট্যাংগন ইত্যাদি।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রচুর সৌরশক্তি পাওয়া যায় কেন?
উত্তরঃ নিরক্ষীয় নিম্ন অক্ষাংশ অঞ্চলে সূর্য বছরের প্রায় সব সময়ই লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অপরাপর দেশগুলো নিরক্ষীয় বা ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ার কারণে সহজে প্রচুর সৌরশক্তি পেয়ে থাকে।
ওপেন পিট মাইনিং বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : কয়লা উত্তোলনের দুটি পদ্ধতির একটি হলো ওপেন পিট মাইনিং। কয়লার খনি থেকে মেশিনের সাহায্যে ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন করা হয়। সাধারণত কয়লার স্তর ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি থাকে বলে ওপেন পিট মাইনিং পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। মেশিন দিয়ে কয়লা ভূগর্ভ থেকে তোলার পর কনভেয়ার বেল্ট দিয়ে প্রক্রিয়াকরণ প্লান্টে নেওয়া হয়। সেখানে কয়লায় থাকা অন্যান্য পদার্থ যেমন: ময়লা, শিলা কণা, ছাই, সালফার ইত্যাদি পৃথক করে ফেলা হয়।
মেঘনা নদীর সৃষ্টি সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ মেঘনা নদী সৃষ্টি হয়েছে সিলেট জেলার সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিত স্থলে। সুরমা ও কুশিয়ারার উৎপত্তি আসামের বরাক নদী নাগা মণিপুর অঞ্চলে। আজমিরিগঞ্জের কাছে কালনী নামে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করেছে। এটি ভৈরব বাজার অতিক্রম করে পুরোনো ব্রাহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের কাছে বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যার মিলিত জলধারাই মেঘনায় এসে যুক্ত হয়েছে। এটি পতিত হয়েছে বঙ্গোপসাগরে।
বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয় কেন?
উত্তরঃ বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। নদীগুলোই বাংলাদেশের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলাদেশের নদ-নদীর সংখ্যা ৭০০টির মতো। এ নদীগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান নদী হচ্ছে– পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, কর্ণফুলী, সাঙ্গু প্রভৃতি। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে চিরচেনা ও পরিচিত বেশির ভাগ নদীর উৎপত্তিস্থল হিমালয়, তিব্বত, আসামের বরাক ও লুসাই পাহাড়ে। এগুলো শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। মানুষের যাতায়াত ও পণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে এসব নদী জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে। আবহমানকাল ধরে এ নদীপথের সাহায্যেই এ দেশের মানুষ তাদের জীবন-জীবিকা গড়ে তুলেছে। কৃষিকাজে জল সেচের প্রধান উৎস এসব নদ-নদী। দেশের মাছের চাহিদার একটি বিরাট অংশ এ নদীগুলো থেকে সরবরাহ হয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ওপর এসব নদীর প্রভাব অপরিসীম। তাই বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়।
আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে কেন?
উত্তরঃ আমাদের নদীগুলো প্রবাহ হারালে দীর্ঘদিন ধরে নদীকে কেন্দ্র করে যেসব পেশার মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে তাদের জীবনে অভাব-অনটন নতুনভাবে সৃষ্টি হতে পারে। নদীর তীরে যেসব গাছপালা, বাগান, বাড়ি, সবুজ বৃক্ষের সমারোহ গড়ে উঠেছে সেগুলো পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে মানুষ, মাছ, পশুপাখি ও গাছ-তরুলতার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। এজন্য আমাদের নদীগুলোকে বাঁচাতে হবে। এর জন্য নদীতে নিয়মিত খনন করা, অপ্রয়োজনীয় বাঁধ, পুল-কালর্ভাট নির্মাণ না করা, পানির প্রবাহ ঠিক রাখার উদ্যোগ নিতে হবে।