বিড়াল (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) প্রবন্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৫। ‘মার্জার’ শব্দের অর্থ কি?

 

উত্তরঃ ‘মার্জার’ শব্দের অর্থ বিড়াল।

 

প্রশ্ন-১৬। ‘বিড়াল’ রচনায় পরম ধর্ম বলা হয়েছে কোনটিকে?

 

উত্তরঃ ‘বিড়াল’ রচনায় পরম ধর্ম বলা হয়েছে পরোপকারকে।

 

প্রশ্ন-১৭। চারপায় শব্দের অর্থ কি?

 

উত্তরঃ চারপায় শব্দের অর্থ টুল বা চকি।

 

প্রশ্ন-১৮। কার কথাগুলো ভারি সোশিয়ালিস্টিক?

 

উত্তরঃ মার্জারের কথাগুলো ভারি সোশিয়ালিস্টিক।

 

প্রশ্ন-১৯। ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ কী জাতীয় সংকলন?

 

উত্তরঃ ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ একটি রসাত্মক ও ব্যঙ্গধর্মী রচনার সংকলন।

 

প্রশ্ন-২০। জলযোগ অর্থ কি?

 

উত্তরঃ জলযোগ অর্থ হালকা খাবার, টিফিন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২১। কস্মিনকালে কথাটির অর্থ কি?

 

উত্তরঃ কস্মিনকালে কথাটির অর্থ- কোনো সময়ে বা কোনোকালে।

 

প্রশ্ন-২২। প্রেতবৎ অর্থ কি?

 

উত্তরঃ প্রেতের মতো।

 

প্রশ্ন-২৩। বূহ্য রচনা অর্থ কি?

 

উত্তরঃ প্রতিরোধ বেষ্টনী তৈরি করা। যুদ্ধের জন্য সৈন্য সাজানো।

 

প্রশ্ন-২৪। দিব্যকর্ণ বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ দিব্যকর্ণ বলতে ঐশ্বরিকভাবে শ্রবণ করাকে বোঝায়।

 

প্রশ্ন-২৫। পতিত আত্মা কি বুঝ?

 

উত্তরঃ পতিত আত্মা বলতে বিপদগ্রস্ত বা দুর্দশাগ্রস্ত আত্মাকে বুঝায়।

 

প্রশ্ন-২৬। ওয়েলিংটন কে ছিলেন?

 

উত্তরঃ ওয়েলিংটন একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। তিনি ডিউক অফ ওয়েলিংটন নামে পরিচিত। ওয়াটারলু যুদ্ধে তাঁর হাতে নেপোলিয়ন পরাজিত হন।

 

প্রশ্ন-২৭। ওয়াটারলু যুদ্ধ কত সালে এবং কোথায় সংঘটিত হয়? কে পরাজিত হন?

 

উত্তরঃ ১৮১৫ সালের ১৮ জুন বেলজিয়ামের ‘ওয়াটারলু’ নামক স্থানে ওয়াটারলু’র যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট পরাজিত হন।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন-১। ‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

 

উত্তর : কেউ একজন কাজ করে কিন্তু তার ফল ভোগ করে অন্যজন— এটি বোঝাতে উক্তিটি করা হয়েছে।

 

প্রসন্ন গোয়ালিনী কমলাকান্তের খাওয়ার জন্যে কিছুটা দুধ বাটিতে করে রেখে যায়। কিন্তু সে অন্যমনস্ক হওয়ার সুযোগে বিড়াল তার দুধটুকু খেয়ে নেয়। দুধ খাওয়ার পর পরিতৃপ্ত বিড়ালের আচরণ দেখে কমলাকান্তের মনে হয় বিড়াল ভাবছে, কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই। অর্থাৎ কমলাকান্তের জন্যে দুধ রাখা হলেও তা সে পান করতে পারল না, বিড়ালই তা পান করল।

 

প্রশ্ন-২। ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

 

উত্তরঃ ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ’ বলতে মানুষের ধনীদের প্রতি তোষামোদি আচরণকে বোঝানো হয়েছে।

 

বিড়ালের মতে, ধনীদের তোষামোদ করা মানুষের স্বভাব। যাদের প্রচুর ধনসম্পদ আছে তারা দরিদ্রকে দান করে না। অথচ ধনী বা প্রভাবশালী মান্য লোককে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করে। প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা ধনীদের এ অমানবিক দিকটিকেই বোঝানো হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

লোকজন তা না করে সেই উচ্ছিষ্ট খাবার নর্দমায় ফেলে দেয়, …..যে ক্ষুধার্ত নয়, তাকেই বেশি করে খাওয়াতে চায়। ক্ষুধাকাতর-শ্রীহীনদের প্রতি ফিরেও তাকায় না, এমন ঘোরতর অভিযোগ আনে বিড়ালটি।

বিড়ালের ‘সোশিয়ালিস্টিক’, ‘সুবিচারিক’, ‘সুতার্কিক’ কথা শুনে বিস্মিত ও যুক্তিতে পর্যুদস্ত কমলাকান্তের মনে পড়ে আত্মরক্ষামূলক শ্লেষাত্মক বাণী– “বিজ্ঞ লোকের মত এই যে, যখন বিচারে পরাস্ত হইবে, তখন গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করিবে” – এবং তিনি সে-রকম কৌশলের আশ্রয় নেন। সাম্যবাদবিমুখ, ইংরেজশাসিত ভারতবর্ষের একজন সরকারি কমকর্তা হয়েও বঙ্কিমচন্দ্র একটা বিড়ালের মুখ দিয়ে শোষক-শোষিত, ধনী-দরিদ্র, সাধু-চোরের অধিকারবিষয়ক সংগ্রামের কথা কী শ্লেষাত্মক, যুক্তিনিষ্ঠ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন তা এ প্রবন্ধ পাঠ করে উপলব্ধি করা যায়।