চুম্বক সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. যে বস্তুতে আকর্ষণী ও দিক নির্দেশক ধর্ম বিদ্যমান থাকে তাকে কী বলে?

উত্তর : যে বস্তুতে আকর্ষণী ও দিক নির্দেশক ধর্ম বিদ্যমান থাকে তাকে চুম্বক বলে।

প্রশ্ন-২. চুম্বক শলাকার প্রান্তদ্বয় কেমন?

উত্তর : চুম্বক শলাকার প্রান্তদ্বয় তীক্ষ্ণ হয়।

প্রশ্ন-৩. যে সকল চৌম্বক পদার্থ চৌম্বকের প্রভাবে বিকর্ষিত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর : যে সকল চৌম্বক পদার্থ চৌম্বকের প্রভাবে বিকর্ষিত হয় তাকে ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থ বলে।

প্রশ্ন-৪. যে সকল চৌম্বক পদার্থ চুম্বকের প্রভাবে খুবই কম আকর্ষিত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর : প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থ।

প্রশ্ন-৫. কৃত্রিম চুম্বক তৈরি করা যায় কী দ্বারা?

উত্তর : লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, ইস্পাত ইত্যাদি দ্বারা।

প্রশ্ন-৬. অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চৌম্বকীয় গুণাবলি ধরে রাখতে পারে যে পদার্থ সেটি কী?

উত্তর : অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চৌম্বকীয় গুণাবলি ধরে রাখতে পারে যে পদার্থ সেটি লীডিং স্টোন।

প্রশ্ন-৭. চুম্বকের মেরু কয়টি?

উত্তর : চুম্বকের মেরু ২টি।

প্রশ্ন-৮. লবণ কোন ধরনের পদার্থ?

উত্তর : অচৌম্বক পদার্থ।

প্রশ্ন-৯. লোহা কী?

উত্তর : লোহা এক ধরনের ফেরো-ম্যাগনেটিক পদার্থ।

প্রশ্ন-১০. লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরি চুম্বককে কি বলে?

উত্তর : কৃত্রিম চুম্বক।

প্রশ্ন-১১. চুম্বক কাকে বিকর্ষণ করে?

উত্তর : দস্তা, পারদ, সীসা, পানি, টিন ইত্যাদি পদার্থকে বিকর্ষণ করে।

প্রশ্ন-১২. চুম্বক কাকে আকর্ষণ করে?

উত্তর : চুম্বক লোহা বা লোহা মিশ্রিত ধাতু চৌম্বক পদার্থকে আকর্ষণ করে।

প্রশ্ন-১৩. চৌম্বক পদার্থের কতগুলো উদাহরণ দাও।

উত্তর : লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, ইস্পাত ইত্যাদি।

প্রশ্ন-১৪. যে ধর্মের সাহায্যে চুম্বক দিক নির্দেশ করে তাকে কী বলে?

উত্তর : দিকদর্শী ধর্ম।

প্রশ্ন-১৫. ইস্পাত কোন ধরনের ম্যাগনেটিক পদার্থ?

উত্তর : ফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ।

প্রশ্ন-১৬. অচৌম্বক পদার্থের কয়েকটি উদাহরণ দাও।

উত্তর : কাঠ, কাগজ, তামা ইত্যাদি অচৌম্বক পদার্থের উদাহরণ।

প্রশ্ন-১৭. প্লাটিনাম কোন ধরনের পদার্থ?

উত্তর : প্যারা-ম্যাগনেটিক পদার্থ।

প্রশ্ন-১৮. পারদ কোন ধরনের পদার্থ?

উত্তর : ডায়া-ম্যাগনেটিক পদার্থ।

প্রশ্ন-১৯. চৌম্বক পদার্থের কতগুলো উদাহরণ দাও।

উত্তর : লোহা, নিকেল, কোবাল্ট, ইস্পাত ইত্যাদি চৌম্বক পদার্থ।

প্রশ্ন-২০. অস্থায়ী চুম্বক কাকে বলে?

উত্তর : যে সকল পদার্থকে সাময়িকভাবে চুম্বকে পরিণত করা যায়, তাকে অস্থায়ী চুম্বক বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২১. কৃত্রিম চুম্বক কাকে বলে?
উত্তর : ইস্পাত, লোহা, নিকেল, কোবাল্ট প্রভৃতি দ্বারা বিশেষ উপায়ে প্রস্তুতকৃত চুম্বককে কৃত্রিম চুম্বক বলে।
প্রশ্ন-২২. অচৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত বা বিকর্ষিত হয় না, তাকে অচৌম্বক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন-২৩. চৌম্বক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল পদার্থ চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয়, তাকে চৌম্বক পদার্থ।
 

চুম্বকের চৌম্বকত্ব একটি ভৌত ধর্ম, না রাসায়নিক ধর্ম?

উত্তরঃ চুম্বকের চৌম্বকত্ব একটি ভৌত ধর্ম, রাসায়নিক ধর্ম নয়। কেননা কোনো বস্তুকে চুম্বকে পরিণত করলে এর কোনো রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না।
পৃথিবী একটি বিরাট চুম্বক- ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ আমরা জানি,
১. মুক্তভাবে ঝোলানো একটি অনুভূমিক দণ্ড চুম্বক বা একটি চুম্বক শলাকাকে যে কোনো দিকে মুখ করে রেখে দিলে এটি ঘুরে প্রায় উত্তর-দক্ষিণ বরাবর স্থিরভাবে দাঁড়ায়।
২. একটি নরম লোহার দণ্ডকে চৌম্বক মধ্যতলে বেশ কিছুদিন রেখে দিলে দণ্ডটি মৃদুভাবে চুম্বকায়িত হয়। এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে পৃথিবী নিজে একটি বিরাট চুম্বকের ন্যায় আচরণ করে।
তড়িৎ এর সাথে চুম্বকের পোলারিটির সম্পর্ক কী?
উত্তরঃ পরিবাহী তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে, এর চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয়। এই চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে একটি চুম্বক মেরু রাখলে তার উপর একটি বল ক্রিয়া করবে। আবার নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রানুযায়ী, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। তাই চৌম্বক মেরু পরিবাহী তারের বিপরীত দিকে এবং সমমানের বল প্রয়োগ করবে। এখন যদি পরিবাহী তার সহজে চলনক্ষম হয় তাহলে প্রতিক্রিয়া বলের প্রভাবে সেটা নিজের অবস্থান থেকে সরে যাবে। তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ যদি উল্টো দিকে হয় তবে পরিবাহী তারও বিপরীত দিকে বিক্ষিপ্ত হবে।
ভূ-চুম্বকের মৌলিক উপাদানগুলো লিখ।
উত্তরঃ স্থান ভেদে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্যের মান ও অভিমুখ ভিন্ন ভিন্ন হয়। এজন্য কোনো স্থানে ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রকে সম্পূর্ণরূপে বর্ণনা করার জন্য তিনটি রাশি জানা প্রয়োজন। এগুলো হলো— i. বিচ্যুতি ii. বিনতি ও iii. ভূ-চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রাবল্যের অনুভূমিক উপাংশ।
এ রাশি তিনটিকে ভূ-চুম্বকের মৌলিক উপাদান বলা হয়