অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান পঞ্চম অধ্যায় : সমন্বয় ও নিঃসরণ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ কোনটি?

উত্তরঃ স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ হলো মস্তিষ্ক।

প্রশ্ন-২। মস্তিষ্ক কোন ধরনের পর্দা দ্বারা আবৃত?

উত্তরঃ মস্তিষ্ক মেনিনজেস নামক নামক পর্দা দ্বারা আবৃত।

প্রশ্ন-৩। ইন্ডোল অ্যাসিটিক এসিডের কাজ কি?

উত্তরঃ ক্ষতস্থান পূরণ করা।

প্রশ্ন-৪। মস্তিষ্কের আবরণ সৃষ্টিকারী পর্দার নাম কি?

উত্তরঃ মেনিনজেন।

প্রশ্ন-৫। অক্সিন কি?

উত্তরঃ অক্সিন হচ্ছে এক ধরনের হরমোন, যা উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সহায়ক।

প্রশ্ন-৬। লোমকূপ কি?

উত্তরঃ লোমকূপ হচ্ছে মানবদেহের বহিরাবরণ চর্ম বা ত্বক। ত্বকে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। এসব লোমকূপ দিয়ে ঘাম বের হয়।

প্রশ্ন-৭। ট্রপিক চলন কী?

উত্তরঃ উদ্ভিদও অন্যান্য জীবের ন্যায় অনুভূতি ক্ষমতাসমপন্ন। এ জন্য অভ্যন্তরীণ বা বহিঃ উদ্দীপক উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন ও বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। এসব চলনকে ট্রপিক চলন বলা হয়।

প্রশ্ন-৮। উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্যকারী হরমোনের নাম কী?

উত্তরঃ উদ্ভিদের ফুল ফোটাতে সাহায্যকারী হরমোনের নাম হলো ফ্লোরিজেন।

প্রশ্ন-৯। মস্তিষ্কের প্রধান অংশের নাম লেখো?

উত্তরঃ মস্তিষ্কের প্রধান অংশের নাম হলো গুরু মস্তিষ্ক বা সেরিব্রাম।

প্রশ্ন-১০। নিউরন কী?

উত্তরঃ স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকর একককে নিউরন বলে।

প্রশ্ন-১১। রেচনতন্ত্র কী?

উত্তরঃ যে তন্ত্র রেচন কাজে সাহায্য করে তাকে রেচনতন্ত্র বলে।

প্রশ্ন-১২। কোন কোন হরমোন বৃদ্ধি-সহায়ক হিসেবে কাজ করে?

উত্তরঃ অক্সিন, জিবেরেলিন ও সাইটোকাইনিন হরমোন বৃদ্ধি-সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন-১৩। উদ্ভিদে ফুল ফোটা কিসের ওপর নির্ভরশীল?

উত্তরঃ উদ্ভিদের ফুল ফোটা দিবাোকের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন-১৪। মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ কোনটি?

উত্তরঃ মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ হলো নিউরন।

প্রশ্ন-১৫। দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে কী বলে?

উত্তরঃ দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে রেচন বলে।

প্রশ্ন-১৬। সিন্যাপস কী?

উত্তরঃ একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে।

প্রশ্ন-১৭। ফটোপিরিওডিজম কী?

উত্তরঃ উদ্ভিদের ফুল ধারণের ওপর দিবালোকের দৈর্ঘ্যের প্রভাবকে ফটোপিরিওডিজম বলে।

প্রশ্ন-১৮। থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস কোন বর্ণের?

উত্তরঃ থ্যালামাস ও হাইপোথ্যালামাস ধূসর বর্ণের হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৯। মানবদেহ রেচন অঙ্গ কয়টি ও কী কী?
উত্তরঃ মানবদেহের রেচন অঙ্গ তিনটি। যথা— ফুসফুস, চর্ম ও বৃক্ক।
প্রশ্ন-২০। অ্যাক্সন কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউরনের কোষদেহ থেকে উত্পন্ন লম্বা সুতার মতো অংশকে অ্যাক্সন বলে।
প্রশ্ন-২১। ডেনড্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউরনের কোষদেহের চার দিক থেকে উত্পন্ন শাখা-প্রশাখাগুলোকে ডেনড্রন বলে।
প্রশ্ন-২২। প্রতিবর্ত ক্রিয়া কী?
উত্তরঃ তাত্ক্ষণিক আত্মরক্ষার জন্য কোনো অঙ্গের তড়িৎ ক্রিয়ার নাম প্রতিবর্ত ক্রিয়া।
প্রশ্ন-২৩। জীবের সুপ্তাবস্থা কাটাতে কার্যকর হরমোন কোনটি?
উত্তরঃ জীবের সুপ্তাবস্থা কাটাতে কার্যকর হরমোন হলো জিবেরেলিন।
প্রশ্ন-২৪। কোন কোন হরমোন বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে?
উত্তরঃ অ্যাবসিসিক এসিড ও ইথিলিন হরমোন বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন-২৫। অক্সিনের প্রধান কাজ কী?
উত্তরঃ অক্সিন প্রয়োগে শাখা কলমে মূল গজায়, ফলের অকালে ঝরে পড়া রোধ করে।
প্রশ্ন-২৬। হরমোন কী?
উত্তরঃ যে রাসায়নিক বস্তু কোনো কোষে উত্পন্ন হয়ে উত্পত্তিস্থল থেকে বাহিত হয়ে দূরবর্তী স্থানের কোষের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে তাকে হরমোন বলে।
প্রশ্ন-২৭। মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কী?
উত্তরঃ মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো বৃক্ক।
প্রশ্ন-২৮। স্নায়ু তাড়না কাকে বলে?
উত্তরঃ স্নায়ুর ভেতর দিয়ে যে সংবাদ বা অনুভূতি বাহিত হয় তাকে স্নায়ু তাড়না বলে।
প্রশ্ন-২৯। ফাইটোহরমোন কী?
উত্তরঃ উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থের অপর নাম ফাইটোহরমোন। কিছু কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা সামান্য পরিমাণে বিদ্যমান থেকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে; এ পদার্থগুলো উদ্ভিদের দেহেই সৃষ্টি হয়। উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে বলে এদের বলা হয় বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ। পূর্বে এদেরই বলা হতো হরমোন। যেহেতু ফাইটো শব্দের অর্থ উদ্ভিদ আর হরমোন হলো বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ; সুতরাং ফাইটো হরমোনই হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ।