প্রশ্ন-১। সিলিকনের অক্সাইড কোন ধর্মী?
উত্তরঃ সিলিকনের অক্সাইড অম্লধর্মী।
প্রশ্ন-২। পলিইথিলিন কি?
উত্তরঃ পলিইথিলিন হচ্ছে ইথিলিনের পলিমার যা প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৩। সমযোজী অণু কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী বন্ধনবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থের অণুকে সমযোজী অণু বলে। যেমন- N2, O2, Cl2 প্রভৃতি।
প্রশ্ন-৪। মিথাইল ইথাইল কার্বনিল এর সংকেত কি?
উত্তরঃ মিথাইল ইথাইল কার্বিনল এর সংকেত হলো C4H10O।
প্রশ্ন-৫। বেকিং পাউডার কী?
উত্তরঃ সোডিয়াম বাই-কার্বনেট এবং টারটারিক এসিডের শুস্ক মিশ্রণ হলো বেকিং পাউডার।
প্রশ্ন-৬। তাপজারণের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তরঃ তাপজারণ মূলত একটি রাসায়নিক গাঢ়ীকরণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ধাতুর সালফাইড আকরিককে বায়ুর উপস্থিতিতে উত্তপ্ত করে ধাতব অক্সাইডে পরিণত করা হয়।
গাঢ়ীকৃত জিংক ব্লেন্ডকে 900°C তাপমাত্রায় তাপজারণ করা হয়। ফলে জিংক অক্সাইড উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৭। ফারমেন্টেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ স্টার্চ (চাল, গম, আলু ও ভূট্টা) থেকে যে প্রক্রিয়ায় অ্যালকোহল প্রস্তুত করা হয় তাকে ফারমেন্টেশন বলে।
প্রশ্ন-৮। NH3 এবং HCl এর মধ্যে কোনটির ব্যাপনের হার বেশি এবং কেন?
উত্তরঃ কোন বস্তুর ব্যাপনের হার বলতে আমরা বুঝি বস্তুটি কোন মাধ্যমে প্রতি একক সময়ে কতটুকু ছড়িয়ে পড়েছে। যে বস্তুর ঘনত্ব তথা আণবিক ভর কম তার ব্যাপনের হার বেশি। আর যার আণবিক ভর বেশি তার ব্যাপনের হার কম। NH3 এবং HCl এর মধ্যে NH3 এর আণবিক ভর (17) কম আর HCl এর আণবিক ভর (36.5) বেশি। সুতরাং NH3 এর ব্যাপনের হার HCl অপেক্ষা বেশি।
প্রশ্ন-৯। বর্ষাকালে খাদ্য লবণ ভিজা মনে হয় কেন?
উত্তরঃ বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। শুষ্ক লবণ পানিগ্রাসী হওয়ায় এটি বাতাসের জলীয় বাষ্প শোষণ করে আর্দ্র বা ভেজা হয়।
প্রশ্ন-১০। উর্ধ্বপাতন কী?
উত্তরঃ যদি কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে এবং ঠাণ্ডা করলে সরাসরি কঠিনে রূপান্তরিত হয় তবে এ ধরনের প্রক্রিয়াই হলো উর্ধ্বপাতন।
প্রশ্ন-১১। বিজারক চিনি কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব কার্বোহাইড্রেট ফেলিং দ্রবণ ও টলেন বিকারককে বিজারিত করে থাকে তাদেরকে বিজারক চিনি বলে।
প্রশ্ন-১২। সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ যে সমযোজী যৌগে পোলারিটি সৃষ্টি হয়, তকে সমযোজী বন্ধনের পোলারিটি বলা হয়।
পানি একটি সমযোজী যৌগ অথচ এটি ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন এবং ঋণাত্মক হাইড্রোক্সিল আয়নে বিভক্ত হয়, এটিই সমযোজী যৌগের পোলারিটি। সমযোজী বন্ধনে শেয়ারকৃত ইলেকট্রনকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা দ্বারা পোলারিটি বোঝা যায়।
প্রশ্ন-১৩। psi অর্থ কী?
উত্তরঃ এর অর্থ হলো প্রতিবর্গ ইঞ্চিতে এক পাউন্ড চাপ।
প্রশ্ন-১৪। এন্টি-অক্সিডেন্ট কি?
উত্তরঃ এন্টি-অক্সিডেন্ট এক ধরনের রাসায়নিক বা কৃত্রিম খাদ্য সংরক্ষণ, যা মূলত খাদ্য উপাদানগুলোকে জারণ প্রক্রিয়ায় ভাঙন থেকে রক্ষা করে খাবার সংরক্ষণ করে।
প্রশ্ন-১৫। শীতকালে কোল্ডক্রিম ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ কোল্ডক্রিম হচ্ছে পানি ও তেল অথবা চর্বির এক ধরনের ইমালশন অর্থাৎ তেলের মধ্যে পানির মিশ্রণ। শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকায় শরীরের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্কতায় ফেটে যায়। ত্বকের এই ফেটে যাওয়া থেকে সুরক্ষার জন্য মূলত কোল্ডক্রিম ব্যবহৃত হয়। কারণ এটি ত্বকে প্রয়োগ করা হলে ইমালশনের বিয়োজনে পানির বাষ্পীকরণ ঘটে। এর ফলে ত্বকে শীতলকরণ অনুভূত হয় এবং ত্বক নরম ও মসৃণ থাকে, যা ত্বকের পানিশূন্যতাকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ত্বক শুষ্কতা ও রুক্ষতা থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই শীতকালে কোল্ডক্রিম ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-১৬। ভৌত পরিবর্তন ও রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পরিবর্তনের সময় যৌগে মৌলসমূহের শতকরা সংযুতি অপরিবর্তিত থেকে শুধু পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়, তাকে ভৌত পরিবর্তন বলে। আবার, যে পরিবর্তনের মাধ্যমে মৌলসমূহের শতকরা সংযুতি পরিবর্তনের মাধ্যমে ভিন্ন ধর্ম বিশিষ্ট নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়, তাকে রাসায়নিক পরিবর্তন বলে।
প্রশ্ন-১৭। এক সমতলীয় আলো কি?
উত্তরঃ অসংখ্য সমতলে লম্বভাবে স্পন্দিত সাধারণ আলোক রশ্মিকে উপযুক্ত ছাঁকনি বা ফিল্টারের ভিতর দিয়ে প্রতিসরিত হতে দিলে শুধুমাত্র এক সমতলে লম্বভাবে স্পন্দিত আলোক রশ্মি বের হয়ে আসে। এরূপ এক সমতলে স্পন্দিত আলোকই হলো এক সমতলীয় আলো।
প্রশ্ন-১৮। ডায়াজোকরণ বা ডায়াজোটাইজেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কোনো অ্যারোমেটিক প্রাইমারি অ্যামিন নিম্ন তাপমাত্রায় খনিজ এসিডের উপস্থিতিতে নাইট্রাস এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে ডায়াজোনিয়াম লবণে রূপান্তরিত হয়, তাকে ডায়াজোকরণ বা ডায়াজোটাইজেশন বলে।
প্রশ্ন-১৯। সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 23 বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ কোনো মৌলের পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রনের সমষ্টিই হচ্ছে সেই মৌলের ভরসংখ্যা। এ হিসেবে সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 23 বলতে বোঝায়, সোডিয়ামের একটি পরমাণুতে 11টি প্রোটন আর 12টি নিউট্রন আছে। তাই সোডিয়ামের ভরসংখ্যা 11 + 12 = 23।
প্রশ্ন-২০। ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি পার্থক্য লেখ।
উত্তরঃ ব্যাপন ও অভিস্রবণ এর দুটি পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–
- ব্যাপনের মাধ্যমে অণু অধিক ঘনত্ব থেকে কম ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয়। অপরদিকে, অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় অণু কম ঘনত্ব থেকে অধিক ঘনত্বের দিকে ধাবিত হয়।
- ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোন পর্দার উপস্থিতি না থাকলেও অভিস্রবণের ক্ষেত্রে একটি অর্ধভেদ্য পর্দা উপস্থিত থাকে।