জীববিজ্ঞান ২য় পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। মেরুদণ্ডে কতটি কশেরুকা আছে?

 

উত্তরঃ মেরুদণ্ডে ৩৩টি কশেরুকা আছে।

 

প্রশ্ন-২। অস্থি কী নিয়ে গঠিত?

 

উত্তরঃ অস্থি মূলত অস্থিকোষ এবং ম্যাট্রিক্স এর সমন্বয়ে গঠিত।

 

প্রশ্ন-৩। নেফ্রন কী?

 

উত্তরঃ নেফ্রন হলো বৃক্কের গাঠনিক ও কার্যিক একক।

 

প্রশ্ন-৪। টেন্ডন কী?

 

উত্তরঃ পেশির সাথে অস্থির সংযোগই হলো টেন্ডন।

 

প্রশ্ন-৫। কন্ড্রোব্লাস্ট কী?

 

উত্তরঃ কোমলাস্থি সৃষ্টিকারী কোষই হলো কন্ড্রোব্লাস্ট।

 

প্রশ্ন-৬। সেন্ট্রামের পৃষ্ঠীয় দিকে অবস্থিত নালিকে কী বলে?

 

উত্তরঃ সেন্ট্রামের পৃষ্ঠীয় দিকে অবস্থিত নালিকে নিউরাল নালি বলে।

 

প্রশ্ন-৭। হাড়ের প্রধান রাসায়নিক উপাদান কী?

 

উত্তরঃ হাড়ের প্রধান রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম ফসফেট ও ক্যালসিয়াম কার্বনেট।

 

প্রশ্ন-৮। সারকোলেমা কী?

 

উত্তরঃ পেশিকোষের আবরণই হলো সারকোলেমা।

 

প্রশ্ন-৯। বাইসেপস কি?

 

উত্তরঃ বাইসেপস হচ্ছে নিম্নবাহুর রেডিয়াসের উপরে অবস্থিত পেশি।

 

প্রশ্ন-১০। প্যাটেলা কি?

 

উত্তরঃ প্যাটেলা হলো হাঁটুর সন্ধির অতিরিক্ত অস্থি যা ত্রিকোণাকার এবং ভেতরের দিক ফিমারের সাথে সন্ধি তৈরি করে।

 

প্রশ্ন-১১। মচকানো কী?

 

উত্তরঃ অস্থিসন্ধিতে আঘাতের ফলে সন্ধিকে অবলম্বন দানকারী লিগামেন্টর অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টান বা ছিঁড়ে যাওয়াই হলো মচকানো।

 

প্রশ্ন-১২। ক্যানালিকুলি কী?

 

উত্তরঃ অস্থিকোষে ল্যাকুনার চারদিক থেকে সূক্ষ্ম যে কতকগুলো নালিকা বের হয় তাই হলো ক্যানালিকুলি।

 

প্রশ্ন-১৩। অ্যাবডাকশন কী?

 

উত্তরঃ অ্যাবডাকটর পেশি দ্বারা দেহাঙ্গকে অক্ষ থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার ক্রিয়াই হলো অ্যাবডাকশন।

 

প্রশ্ন-১৪। করোটিকা কী?

 

উত্তরঃ করোটির যে অংশ মস্তিষ্ককে আবৃত করে রাখে তাই করোটিকা।

 

প্রশ্ন-১৫। পেশি কী?

 

উত্তরঃ প্রাণিদেহের সংকোচন ও প্রসারণে সক্ষম কলা বা কোষগুচ্ছই হলো পেশি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। কলা কাকে বলে?

 

উত্তরঃ একইস্থান থেকে উৎপন্ন হয়ে যখন একগুচ্ছ কোষ একই ধরনের কাজ করে থাকে তখন ঐ কোষ গুচ্ছকে কলা বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। স্ক্যাপুলা কি?

 

উত্তরঃ স্ক্যাপুলা হলো বক্ষ অস্থিচক্রের একটি ত্রিকোনাকার চ্যাপ্টা অস্থি।

 

প্রশ্ন-১৮। ব্যারোরিসেপ্টর কি?

 

উত্তরঃ ব্যারোরিসেপ্টর হলো মানুষের রক্তবাহিকায় অবস্থিত চাপ সংবেদী স্নায়ুপ্রান্ত। এটি অস্বাভাবিক রক্তচাপ শনাক্ত করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বার্তা পাঠায়। এই বার্তার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র রক্তচাপ স্বাভাবিক করে।

 

প্রশ্ন-১৯। কঙ্কাল পেশি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যেসব পেশি আমাদের দেহের অস্থি বা কঙ্কালের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাদেরকে কঙ্কাল পেশি বলে।

 

প্রশ্ন-২০। অ্যাসিটাবুলাম কী?

 

উত্তরঃ মানুষের শ্রোণিচক্রের ইলিয়াম, ইশ্চিয়াম ও পিউবিস অস্থির সংযোগস্থলে যে অগভীর গহ্বর ফিমার অস্থির মস্তকে আটকানো থাকে, তাই অ্যাসিটাবুলাম।

 

প্রশ্ন-২১। নটোকর্ড কী?

 

উত্তরঃ পৃষ্ঠদেশে একক, মধ্য, নিরেট, অখণ্ডায়িত, নমনীয়, দণ্ডাকার অস্থিই হলো নটোকর্ড।

 

প্রশ্ন-২২। এরিথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস কাকে বলে?

 

উত্তরঃ সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে অধিক লোহিত কণিকার হিমোলাইসিস জনিত রক্তস্বল্পতার রোগকে এরিথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস বলে।

 

প্রশ্ন-২৩। আসল পর্শুকা কী?

 

উত্তরঃ প্রথম ৭ জোড়া পর্শুকা তরুণাস্থি দিয়ে স্টার্নামের সাথে যুক্ত থাকে, এগুলোই আসল পর্শুকা।

 

প্রশ্ন-২৪। নকল পর্শুকা কাকে বলে?

 

উত্তরঃ বক্ষপিঞ্জরের অষ্টম থেকে দ্বাদশ পর্শুকা যেগুলো স্টার্নামের সাথে যুক্ত থাকে না সেগুলোকে নকল পর্শুকা বলে।

 

প্রশ্ন-২৫। ফ্যাসিকুলাস কী?

 

উত্তরঃ পেশিতন্তুগুলো আলাদা বা বিক্ষিপ্ত না থেকে গুচ্ছবদ্ধ থাকে। এ ধরনের গুচ্ছই হলো ফ্যাসিকুলাস।

 

প্রশ্ন-২৬। রাইগর মর্টিস কী?

 

উত্তরঃ মৃত্যু পরবর্তি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রাণীদেহে জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে যে পেশী কাঠিন্যতা পরিলক্ষিত হয় তাই রাইগর মর্টিস।

 

প্রশ্ন-২৭। লসিকা কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে বিশেষ ধরনের পরিবর্তিত কলারস কৈশিক নালিকার প্রাচীর ভেদ করে বের হয়ে আন্তঃকোষীয় স্থানে অবস্থান করে দেহ কোষকে স্ফীত রাখে তাকে লসিকা বলে।

 

প্রশ্ন-২৮। অঙ্গতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদনের জন্য যখন কতকগুলো অঙ্গ পারস্পরিক সহযোগিতা ও শ্রম বণ্টনের ভিত্তিতে এক সাথে কাজ করে তখন তাকে অঙ্গতন্ত্র বলে। যেমন- পৌষ্টিকতন্ত্র মুখ, মুখ গহ্বর, গলবিল, অন্ননালি, পিত্তথলি, ক্ষুদ্রান্ত্র, মলাশয়, পায়ু নিয়ে এটি গঠিত অর্থাৎ কতকগুলো বিভিন্ন আকার, গঠন ও অবস্থানের অঙ্গ পৌষ্টিকতন্ত্র হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হয়েছে। কারণ খাদ্য পরিপাক সম্পর্কিত বিভিন্ন পর্যায়ের কাজে এগুলোর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।

 

প্রশ্ন-২৯। হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ নিরেট অস্থি গঠনকারী এককগুলোকে হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র বলে। প্রতিটি হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র একটি পাতলা এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ভিত্তিবস্তু ও অল্প পরিমাণ কোলাজেন তৈরি সিমেন্ট সদৃশ গঠন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২৯। হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ নিরেট অস্থি গঠনকারী এককগুলোকে হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র বলে। প্রতিটি হ্যাভারসিয়ানতন্ত্র একটি পাতলা এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ভিত্তিবস্তু ও অল্প পরিমাণ কোলাজেন তৈরি সিমেন্ট সদৃশ গঠন দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে।

 

প্রশ্ন-৩০। তন্তুময় অস্থিসন্ধি বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ যেসব অস্থিসন্ধি ফাইব্রাস কানেকটিভ টিস্যু দ্বারা আটকানো থাকে তাদেরকে তন্তুময় অস্থিসন্ধি বলে। দেহের তিন ধরনের অস্থিসন্ধির মধ্যে অন্যতম তন্তুময় অস্থিসন্ধি। এসব সন্ধির অস্থিগুলো চ্যাপ্টা এবং কিনারাগুলো বহুসংখ্যক ছোট-বড় খাঁজ যুক্ত। পাশাপাশি অবস্থিত অস্থিগুলো খাঁজের সাহায্যে খাপে খাপে মিলে যাওয়ার ফলে কোনো ফাঁকা থাকে না। যেমন- মানুষের মাথার খুলির অস্থিসন্ধি।

 

প্রশ্ন-৩১। ইন্টারকোস্টাল স্পেস বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ পর্শুকার অন্তর্তলের নিচের কিনারায় কোস্টাল খাদে স্নায়ু ও রক্তবাহিকা অবস্থান করে। প্রথম পর্শুকা জোড়ার ওপর তলে পেশি সংযোজনের জন্য দুটি এবং সাবক্ল্যাভিয়ান ধমনি ও শিরা ধারণের জন্য দুটি খাদ থাকে। বহিঃ ও অন্তঃইন্টারকোস্টাল পেশি প্রতি দু’কশেরুকার মধ্যে তির্যকভাবে বিন্যস্ত। ওপরে ও নিচে দু’কোস্টাল তরুণাস্থির মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানকে ইন্টারকোস্টাল স্পেস বলে।

 

প্রশ্ন-৩২। একটি আদর্শ কশেরুকা কতটি অংশ নিয়ে গঠিত?

 

উত্তরঃ একটি আদর্শ কশেরুকা ৭টি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা—

 

i. সেন্ট্রাম

 

ii. নিউরাল ছিদ্র

 

iii. নিউরাল আর্চ

 

iv. নিউরাল কাটা

 

v. ট্রান্সভার্স প্রসেস

 

vi. প্রি-জাইগাপোফাইসিস

 

vii. পোস্ট জাইগাপোফাইসিস।

 

প্রশ্ন-৩৩। অনৈচ্ছিক পেশিকে মসৃণ পেশি বলা হয় কেন?

 

উত্তরঃ অনৈচ্ছিক পেশি মূলত পেশিটিস্যু। পেশিটিস্যুর কোষগুলো সরু, লম্বা ও তন্তুময়। তন্তুগুলো মাকু আকৃতির এবং তন্তুগুলোকে মায়োফাইব্রিল বলে। মায়োফাইব্রিলে যদি আড়াআড়ি ডোরা না থাকে তাহলে তাকে মসৃণ পেশি বলে। অনৈচ্ছিক পেশি কোষগুলো যেহেতু মাকু আকৃতির এবং এদের গায়ে আড়াআড়ি দাগ থাকে না। এ কারণে অনৈচ্ছিক পেশিকে মসৃণ পেশি বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৩৪। বায়োলজিক্যাল মটর বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ প্রাণিদেহের সংকোচন ও প্রসারণে সক্ষম কলা বা কোষগুচ্ছ হলো পেশি। এটি বেশির ভাগ ভ্ৰূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভূত। এর সংকোচন প্রসারণের অর্থই হচ্ছে গতি। এ জন্য পেশিকে বায়োলজিক্যাল মটর বলা হয়। পেশিকলা অসংখ্য দীর্ঘাকৃতির সরু সুতার ন্যায় পেশিতন্তু বা পেশিকলা দ্বারা গঠিত। এটি পেশি গঠন, দেহের আকৃতি প্রদান এবং দেহের অভ্যন্তরের কোমল অংশকে রক্ষা করে।

 

প্রশ্ন-৩৫। মেরুদণ্ডের কাজ কী?

 

উত্তরঃ মেরুদণ্ড মানবদেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ গঠন করে এবং অক্ষীয় পেশির সংযোগতল হিসেবে কাজ করে। এটি সুষুম্নাকাণ্ড ও সুষুম্না স্নায়ুমূলকে বেষ্টন ও রক্ষা করে। মেরুদণ্ড দেহের ওজন ধরে রাখে এবং চলন ও নড়নে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি দেহের সকল অঙ্গের প্রধান অবলম্বন হিসেবে কাজ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৩৬। মুখমণ্ডলীয় অস্থির কাজ লেখো।

উত্তরঃ মুখমণ্ডলীয় অস্থিগুলো সুসজ্জিত হয়ে চোখ, কান, নাক ও মুখগহ্বরের সৃষ্টি করে। এসব গহ্বরে চোখ, কান, নাক ও দাঁত সুবিন্যস্ত থেকে অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ গঠন ও সংরক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে।

প্রশ্ন-৩৭। অনৈচ্ছিক পেশির বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ অনৈচ্ছিক পেশিগুলো স্বাধীনভাবে নড়াচড়া করতে পারে না। অনৈচ্ছিক পেশির কোষগুলো মাকু আকৃতির, প্রত্যেক কোষে নিউক্লিয়াসের সংখ্যা একটি এবং এটি কোষের চওড়া অংশে অবস্থান করে। কোষের আরবণী বা সারকোলেমা অস্পষ্ট। কোষের সাইটোপ্লাজম বা সারকোপ্লাজম এ অসংখ্য অতি সূক্ষ্ম মায়োফাইব্রিল পেশিতন্তু দৈর্ঘ্য বরাবর বিস্তৃত এবং এতে কোনো আড়াআড়ি রেখা দেখা যায় না।

প্রশ্ন-৩৮। অস্থির স্থানচ্যুতির লক্ষণ লেখো।

উত্তরঃ অস্থির স্থানচ্যুতির লক্ষণগুলো হলো–

অস্থিচ্যুতির স্থান ফুলে যায় এবং প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। অস্থিচ্যুতির বিচ্যুত অস্থিটি তার কাজে অক্ষম হয়ে পড়ে। হাতের আঙ্গুলের অস্থিচ্যুতি ঘটলে গোটা হাত কাজ করতে অক্ষম হয়ে যায়। বিচ্যুত অস্থিটি অনেক সময় বাহির থেকে পরিদৃষ্ট হয়।

প্রশ্ন-৩৯। বৃক্ক বিকল হলে দেহে কী কী সমস্যা দেখা দেয়?

উত্তরঃ বৃক্ক বিকল হলে দেহে নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দেয়:

i. প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাব না হওয়া।

ii. অতিরিক্ত ঘাম, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ও রক্তক্ষরণ হওয়া।

iii. তন্দ্রাচ্ছন্নভাব, খাবারে অরুচি ও দুর্বলতা।

iv. ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া, বুকে পানি জমা, মাংস পেশিতে ব্যথা হওয়া ও নাড়ীর গতি দুর্বল হওয়া।

v. হাড়ের সন্ধিতে ব্যথা হওয়া।

vi. রক্তমূত্র হওয়া।

vii. সংজ্ঞাহীন হওয়া ইত্যাদি।

প্রশ্ন-৪০। হাঁটুর সঞ্চালন কীভাবে ঘটে?

উত্তরঃ হাঁটু সঞ্চালনে অস্থি ও পেশি সমন্বিতভাবে কাজ করে। উরুর পেছনে অবস্থিত দুটি পেশির সংকোচনে ফিমার ও টিবিয়া কাছাকাছি আসে এবং হাঁটুসন্ধিতে ভাঁজ সৃষ্টি হয়। উরুর সামনে অবস্থিত চারটি পেশি হাঁটুর প্রসারণ ঘটায়। এভাবে সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে হাঁটুর সঞ্চালন ঘটে।

প্রশ্ন-৪১। থোরাসিক কশেরুকা ও লাম্বার কশেরুকার মধ্যে ৩টি পার্থক্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ নিচে থোরাসিক কশেরুকা ও লাম্বার কশেরুকার মধ্যে ৩টি পার্থক্য উল্লেখ করা হলো-

 

  • থোরাসিক কশেরুকার সেন্ট্রাম আকারে মাঝারি ও হৃৎপিণ্ডাকার হলেও লাম্বার কশেরুকার সেন্ট্রাম বড় ও বৃত্তাকার।
  • থোরাসিক কশেরুকার ট্রান্সভার্স প্রসেস লম্বা ও মোটা, কিন্তু লাম্বার কশেরুকার ট্রান্সভার্স প্রসেস লম্বা ও সরু।
  • থোরাসিক কশেরুকায় অবস্থানকারী স্পাইনাস প্রসেস এর আকৃতি লম্বা ও সরু হলেও, লাম্বার কশেরুকায় অবস্থানকারী স্পাইনাস প্রসেস এর আকৃতি খাটো, মোটা ও চারকোনাকার।