প্রথম অধ্যায় : মাৎস্য চাষ, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মাছ চাষ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট জলাশয়ে পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ মাছের উৎপাদনকে মাছ চাষ বলে।

মাছ চাষের প্রচলিত পদ্ধতি কয়টি?

উত্তরঃ মাছের প্রচলিত চাষ পদ্ধতি দুটি, যথা : (i) প্রাকৃতিক চাষ পদ্ধতি, (ii) কৃত্রিম চাষ পদ্ধতি।

বাংলাদেশের সামুদ্রিক চিংড়ি প্রজাতির সংখ্যা কতটি?

উত্তরঃ বাংলাদেশে ৩৬টি প্রজাতির সামুদ্রিক চিংড়ি পাওয়া যায়।

আমন ধানক্ষেতে হেক্টরপ্রতি গলদা চিংড়ির ফলন কত হয়?

উত্তরঃ আমন ধানক্ষেতে হেক্টরপ্রতি গলদা চিংড়ির ফলন ১০০-১৫০ কেজি হয়।

কোন দেশ থেকে রাজপুঁটি মাছ সর্বপ্রথম আমদানি করা হয়?

উত্তরঃ থাইল্যান্ড থেকে রাজপুঁটি মাছ সর্বপ্রথম আমদানি করা হয়।

নাইলোটিকার আদি আবাস কোথায়?

উত্তরঃ নাইলোটিকার আদি আবাস আফ্রিকা মহাদেশ।

মাছের উকুন রোগের কারণ কী?

উত্তরঃ Argulus নামক এক প্রকার বহিঃপরজীবী মাছের উকুন রোগের কারণ।

রাক্ষুসে মাছ কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল মাছ চাষের অন্য মাছকে খেয়ে ফেলে এবং চাষযোগ্য মাছের জায়গা, খাদ্য, অক্সিজেন সবকিছুতেই ভাগ বসায় সে সকল মাছকে রাক্ষুসে মাছ বলে। যেমন- শোল, গজার, টাকি ইত্যাদি।

গুণগত মানসম্পন্ন মাছের পোনা চেনার উপায় লেখো।

উত্তরঃ মাছ চাষের ক্ষেত্রে পোনা নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

মাছ চাষের সফলতা নির্ভর করে অনেকটা পোনা নির্বাচনের ওপর। এজন্য গুণগত মানসম্পন্ন পোনা চেনা খুবই জরুরি। গুণগত ও মানসম্পন্ন পোনা চেনার কয়েকটি উপায় হলো- (i) প্রতি পোনার দৈর্ঘ্য ৩-৫ সেমি, (ii) শরীরে স্বাভাবিক বর্ণ বিদ্যমান ও (iii) পোনা দ্রুত সঞ্চালনক্ষম ইত্যাদি।

নাইলোটিকা মাছের সাদা দাগ রোগের লক্ষণ লেখো।

সাদা দাগ রোগে নাইলোটিকা মাছের দেহে ও পাখনায় ছোট ছোট গোলাকার সাদা দাগ দেখা যায়। ক্ষতস্থান থেকে আঠালো পদার্থ বের হয়। আক্রান্ত মাছের পাখনা মুড়িয়ে যায় এবং দেহের সাথে মিশে থাকে। মাছের দেহে রক্তশূন্যতা এবং ফুলকায় ও ত্বকে সিস্ট দেখা যায়। মাছ দীর্ঘ সময় পানির উপরে ভেসে থাকে এবং শ্বাসকার্য বন্ধ হয়ে যায়।

গলদা চিংড়ির পোনা কীভাবে সংগ্রহ করা যায়?

উত্তরঃ চিংড়ি আথ্রোপোডা পর্বের সন্ধিপদী প্রাণী।

সমুদ্রের জোয়ারের সাথে নদীর মোহনায় ও জলাশয়ে বিভিন্ন জাতের চিংড়ির পোন ঢুকে পড়ে। পোনা ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে মোহনার কাছাকাছি অঞ্চল থেকে চিংড়ির কিছু ভালো পোনা সংগ্রহ করা হয়। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের সময় চাষিরা বিভিন্নভাবে পোনা সংগ্রহ করে থাকে। তবে শিকারি জালের সাহায্যে পোনা ধরে সেখান থেকে চিংড়ির পোনা বাছাই করে আলাদা একটি পাত্রে রেখে খামারে ছাড়া হয়।

মাছের সুষম খাদ্য তৈরিতে শুটকির গুঁড়া অধিক প্রয়োজনীয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সুষম খাদ্যে আমিষ, স্নেহপদার্থ, খনিজ পদার্থ, শর্করা ও ভিটামিন থাকে। মাছের সুষম খাদ্য তৈরিতে শুটকি মাছের গুঁড়া আমিষের প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে।

মাছের দেহ গঠনের জন্য যে উপাদানটি প্রথমে প্রয়োজন সেটি হলো আমিষ। আমিষের অভাবে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ হয় না। ফলে দেহের ওজন কমতে থাকে। অপুষ্টিজনিত রোগ দেখা দেয়। ফলশ্রুতিতে মাছ চাষের সাথে যারা জড়িত তারা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এ জন্য মাছের সুষম খাদ্য তৈরিতে শুটকি গুঁড়া অধিক প্রয়োজনীয়।