নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। মোল কি?

 

উত্তরঃ মোল হচ্ছে রাসায়নিক পদার্থ মাপার একক।

 

প্রশ্ন-১। মোলার আয়তন কাকে বলে?

 

উত্তর : এক মোল পরিমাণ পদার্থের আয়তনকে মোলার আয়তন বলে।

 

প্রশ্ন-২। মোলারিটি কাকে বলে?

 

উত্তর : নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় প্রতি লিটার দ্রবণে দ্রবীভূত দ্রবের মোল সংখ্যাকে দ্রবণের মোলারিটি বলে।

 

প্রশ্ন-৩। মোলার দ্রবণ কাকে বলে?

 

উত্তর : স্থির তাপমাত্রায় কোনো দ্রবণের প্রতি লিটারে এক মোল দ্রব দ্রবীভূত থাকলে তাকে মোলার দ্রবণ বলে।

 

প্রশ্ন-৪। লিমিটিং বিক্রিয়ক কাকে বলে?

 

উত্তর : রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ার সময় একাধিক বিক্রিয়কের মধ্যে যে বিক্রিয়ক অবশিষ্ট থাকে না তাকে লিমিটিং বিক্রিয়ক বলে।

 

মূলক কাকে বলে?

 

উত্তর : চার্জযুক্ত পরমাণু বা পরমাণুগুচ্ছকে মূলক বলে। যেমনঃ O²-; K+; SO₄²- ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-৫। গ্রাম পারমাণবিক ভর কী? উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তর : কোন মৌলের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে ঐ মৌলের গ্রাম পারমাণবিক ভর বলে। যেমন–

 

হাইড্রোজেনের পারমাণবিক ভর = ১.০০৮

 

তাই, হাইড্রোজেনের গ্রাম পারমাণবিক ভর = ১.০০৮ গ্রাম।

 

আবার, অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর = ১৫.৯৯৯

 

তাই, অক্সিজেনের গ্রাম পারমাণবিক ভর = ১৫.৯৯৯ গ্রাম।

 

প্রশ্ন-৬। রাসায়নিক গণনায় পারমাণবিক ভরের প্রয়োজনীয়তা লিখ।

 

উত্তর : রাসায়নিক গণনায় পারমাণবিক ভরের প্রয়োজনীয়তা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

 

 

পরমাণুর ভরসমূহের মাধ্যমে কোন যৌগের শতকরা সংযুতি নির্ণয় করা যায়।

পরমাণুর ভর ব্যবহার করে আণবিক ভর নির্ণয় করা যায়।

এর সাহায্যে কোন বস্তুর পরিমাণযোগ্য ধারণা লাভ করা যায়।

পারমাণবিক ভর জানা থাকলে একটি পরমাণুর ভরের মাধ্যমে অপর পরমাণুর ভর নির্ণয় করা যায়।

রসায়নের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কাজের জন্য পরমাণুর ভরের প্রয়োজন হয়।

আধুনিক রসায়নে কোন মৌলের পরমাণুর ভর নির্ণয় করার জন্য কার্বন -12 আইসোটোপের পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

পারমাণবিক ভর থেকে কতগুলো মৌলের বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।

পরমাণুর ঘনত্ব, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি নির্ধারণ করা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৭। কোন রাসায়নিক সমীকরণ থেকে কি কি বিষয় জানা যায় না?
উত্তর : রাসায়নিক সমীকরণ থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো জানা যায় না :
১. বিক্রিয়ক ও উৎপাদ পদার্থগুলোর ভৌত অবস্থা (কঠিন, তরল, গ্যাসীয়) জানা যায় না।
২. বিক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে কত সময় লাগবে তা নির্ণয় করা যায় না।
৩. রাসায়নিক বিক্রিয়াটি উভমুখী কিনা অর্থাৎ উৎপাদ পদার্থগুলো পুনরায় বিক্রিয়ক পদার্থে রূপান্তরিত হচ্ছে কিনা তা বুঝা যায় না।
৪. কি কি শর্তে রাসায়নিক বিক্রিয়াটি ঘটছে অর্থাৎ বিক্রিয়াটিতে চাপ, তাপ, প্রভাবকের প্রয়োজন হচ্ছে কিনা তা বুঝা যায় না।
প্রশ্ন-৮। এক মোল CO2 বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কোন পদার্থের বা যৌগের আণবিক ভরকে গ্রাম এককে প্রকাশ করলে যে পরিমাণ পাওয়া যায় তাকে সংশ্লিষ্ট পদার্থের এক মোল বলে। যেমন— CO2 এর এক মোল বলতে 44g CO2 বুঝায় যা আদর্শ তাপমাত্রা ও চাপে 22.4L আয়তন দখল করে।
প্রশ্ন-৯। পানির শতকরা সংযুক্তি বের করার নিয়ম লিখ।
উত্তর : পানির সংকেত H2O অর্থাৎ এক অণু পানিতে দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু বিদ্যমান থাকে।
হাইড্রোজেনের পারমাণবিক ভর ১ ও অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর ১৬।
সুতরাং পানিতে হাইড্রোজেনের শতকরা পরিমাণ = [১ × ২) ÷ ১৮] × ১০০ = ১১.১%
অক্সিজেনের শতকরা পরিমাণ = (১৬ ÷ ১৮) × ১০০ = ৮৮.৯%
অর্থাৎ পানির (H2O) শতকরা সংযুক্তি হাইড্রোজেন : অক্সিজেন = ১১.১ : ৮৮.৯