এইচএসসি (HSC) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। সংখ্যা পদ্ধতি কী? (What is Numeral system?)

 

উত্তরঃ কোনো সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ করার পদ্ধতিকেই সংখ্যা পদ্ধতি

 

বলে।

প্রশ্ন-২। দ্বৈত নীতি কাকে বলে?

 

উত্তর : AND এবং OR অপারেশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সূত্রকে দ্বৈত নীতি (Duality Principle) বলে।

 

অ্যান্ড এবং অর অপারেশনের সাথে সম্পর্ক যুক্ত সকল উপপাদ্য বা সমীকরণ দ্বৈত নীতি মেনে চলে।

 

(a) অ্যান্ড (.) এবং অর অপারেটর পরস্পর বিনিময় করে।

 

(b) 0 এবং 1 পরস্পর বিনিময় করে। যেমনঃ 0 + 1 = 1 অপারেটরগুলোর পরস্পর বিনিময় করে 1.0 = 1 ইহাও একটি বৈধ সমীকরণ।

 

প্রশ্ন-৩। কীভাবে সংখ্যা পদ্ধতির উদ্ভব ঘটে?

 

উত্তরঃ সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ গণনার জন্য হাত-পায়ের আঙুল, পাথর, নুড়ি, ঝিনুক, দড়ির গিঁট, গুহার গায়ে বিশেষ চিহ্ন ইত্যাদি ব্যবহার করত। সহজ পদ্ধতিতে গণনা করার জন্য মানুষ খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দে অ্যাবাকাস নামক এক ধরনের যন্ত্র সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন শুরু হয়। আর এর বাস্তব রূপ প্রদান করেন বিজ্ঞানী আল খারিজমি।

 

প্রশ্ন-৪। সংখ্যা কি? (What is Number?)

 

উত্তরঃ সংখ্যা হচ্ছে এমন একটি উপাদান যা কোনকিছু গণনা, পরিমাণ এবং পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- একাদশ শ্রেণীতে ২৪৩ জন ছাত্র আছে; এখানে ২৪৩ একটি সংখ্যা।

 

প্রশ্ন-৫। অঙ্ক (ডিজিট) কি?

 

উত্তরঃ সংখ্যা তৈরির ক্ষুদ্রতম প্রতীকই হচ্ছে অঙ্ক। সকল অংক সংখ্যা কিন্তু সকল সংখ্যা অংক নয়। যেমন ২৪৩ তিন অংক বিশিষ্ট একটি সংখ্যা ,যা ২, ৪ এবং ৩ পৃথক তিনটি অংক নিয়ে গঠিত। যারা প্রত্যেকেই পৃথকভাবে একেকটি সংখ্যা।

 

প্রশ্ন-৬। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ কোনো একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নগুলোর সমষ্টিকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (Base) বা ভিত্তি বলে। কোনো একটি সংখ্যা কোন পদ্ধতিতে লেখা তা বোঝানোর জন্য সংখ্যার সঙ্গে বেজ বা ভিত্তিকে সাবস্ক্রিপ্ট (সংখ্যার ডানে একটু নিচে) হিসেবে লিখে প্রকাশ করা হয়।

 

প্রশ্ন-৭। সর্বজনীন লজিক গেট কী?

 

উত্তরঃ যে গেট দিয়ে মৌলিক গেটসহ (AND, OR, NOT) অন্য সব গেট বাস্তবায়ন করা যায়, তাকে সর্বজনীন গেট বলে। NAND ও NOR গেটকে সর্বজনীন গেট বলে। কারণ NAND গেট ও NOR গেট দিয়ে মৌলিক গেটসহ যেকোনো লজিক গেট বাস্তবায়ন করা যায়।

 

প্রশ্ন-৮। বেসিক গেইট বা মৌলিক বর্তনী কত প্রকার ও কী কী?

 

উত্তরঃ বেসিক গেইট বা মৌলিক বর্তনী তিন প্রকার। এগুলো হলো–

 

১. অর গেইট (OR Gate)

 

২. এন্ড গেইট (AND Gate) ও

 

৩. নট গেইট (NOT Gate)।

 

প্রশ্ন-৯। মিনটার্ম কি?

 

উত্তরঃ সত্যক সারণিতে ব্যবহৃত বুলীয় চলক ও অর বাদে শুধুমাত্র অ্যান্ড (AND) বা নট (NOT) অপারেশন ব্যবহার করে যে সকল বুলীয় রাশি গঠন করা যায় তাদেরকে মিনটার্ম বলে।

 

প্রশ্ন-১০। পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কী?

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যায় ব্যবহৃত অংকগুলোর নিজস্ব মান এবং স্থানিক মান রয়েছে তাকে পজিশনাল বা স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

 

প্রশ্ন-১১। নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

 

 

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অংকসমূহের অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন চিহ্ন বা প্রতীকের মাধ্যমে হিসাব-নিকাশের কাজ করা হতো । এই পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অংকগুলোর পজিশন বা অবস্থান গুরত্ব পায় না। ফলে অংকগুলোর কোনো স্থানীয় মান থাকে না। শুধু অংকটির নিজস্ব মানের উপর ভিত্তি করে হিসাব-নিকাশ কার হয়। প্রাচীন কালে ব্যবহৃত হায়ারোগ্লিফিক্স (Hieroglyphics), মেয়ান ও রোমান, ট্যালি সংখ্যা পদ্ধতি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ।

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১২। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি দুই (২) তাকে দুই ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। একে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বা বুলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। বুলিয়ান সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্ক দুটি ০ ও ১। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সহজ নয়। সপ্তদশ শতকে বাইনারি সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন গটফ্রিড লিবনিজ। ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ গণিতবিদ জর্জ বুল বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি এবং এতদ্বসংক্রান্ত অ্যালজেবরার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তার নাম অনুসারে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির আরেক নাম বুলিয়ান অ্যালজেবরা।

 

প্রশ্ন-১৩। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭) প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- (১২০)৮ । অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮ টি প্রতিক বা চিহ্ন নিয়ে যাবতীয় গাণিতিক কর্মকান্ড সম্পাদন করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হলো ৮। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিকে তিন বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। কারণ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ০ থেকে ৭ পর্যন্ত মোট ৮ টি প্রতিক বা চিহ্নকে তিন বিটের মাধ্যমেই প্রকাশ করা যায়। ডিজিটাল সিস্টেমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইনারি সংখ্যাকে নির্ভূল ও সহজে উপস্থাপন করার জন্য অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন-১৪। ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯) প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডেসিমেল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।যেমন- (১২০)১০ । দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত মোট ১০ টি প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ১০। ইউরোপে আরোবরা এই সংখ্যা পদ্ধতির প্রচলন করায় অনেকে এটিকে আরবি সংখ্যা পদ্ধতি নামেও অভিহিত করেন। মানুষ সাধারণত গণনার কাজে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে।

 

প্রশ্ন-১৫। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কাকে বলে?

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F) প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। যেমন- (১২০৯A)১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে মোট ১৬ টি প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় বলে এর বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ১৬। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিকে চার বিট সংখ্যা পদ্ধতিও বলা হয়। কারণ হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ১৬ টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F) প্রতিক বা চিহ্নকে চার বিটের মাধ্যমেই প্রকাশ করা যায়। ডিজিটাল সিস্টেমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাইনারি সংখ্যাকে নির্ভূল ও সহজে উপস্থাপন করার জন্য হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন মেমোরি অ্যাড্রেস ও রং এর কোড হিসেবে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন-১৬। চিহ্নযুক্ত সংখ্যা (Signed Number) বলতে কি বুঝ? ব্যাখ্যা দাও।

 

উত্তরঃ দৈনন্দিন গাণিতিক কাজে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। ধনাত্মক ও ঋণাত্মক সংখ্যা বোঝানোর জন্য সংখ্যার আগে +/- চিহ্ন দিতে হয়। চিহ্ন বা সাইনযুক্ত সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইন্ড নাম্বার বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। কাউন্টার কি?

 

উত্তরঃ কাউন্টার এক ধরনের সিরিয়াল ডেটা ট্রান্সফার রেজিস্টার।

 

প্রশ-১৮। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কাকে বলে?

 

উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় সমস্ত গাণিতিক কাজ করা হয় যৌক্তিক যোগ ও যৌক্তিক গুণের সাহায্যে। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধু যৌক্তিক যোগ ও যৌক্তিক গুণের নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।

 

প্রশ-১৯। অ্যাসকি (ASCII) কি?

 

উত্তরঃ ASCII-এর পূর্ণনাম American Standard Code For Information Interchange। ASCII আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত কোড। কম্পিউটার এবং ইনপুট বা আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের জন্য এ কোড ব্যবহৃত হয়।

 

প্রশ্ন-২০। BCD কী?

 

উত্তরঃ BCD এর পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal. দশমিক সংখ্যার প্রতিটি অংককে অর্থাৎ 0 থেকে 9 পর্যন্ত দশটি অংকের প্রতিটিকে উহার সমতুল্য ৪ (চার) বিট বাইনারি ডিজিট দ্বারা প্রতিস্থাপন করাকে BCD কোড বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ-২১। হেক্সাডেসিমেল ৪ বিটের কোড ব্যাখ্যা করো।

 

উত্তরঃ হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে 0 – F পর্যন্ত মােট ১৬টি সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ এই সংখ্যা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সংখ্যাটি F, এর বাইনারী (F)2 = (1111)2। যেহেতু হেক্সাডেসিমালের সর্বোচ্চ সংখ্যাটি প্রকাশ করতে 4টি বিটের প্রয়ােজন পড়েছে। সেহেতু বলা যায় যে, হেক্সাডেসিমাল 4 বিটের কোড।

 

প্রশ্ন-২২। বুলিয়ান অ্যালজেবরা কি?

 

উত্তরঃ ১৮৪৭ সালে ইংরেজ গণিতজ্ঞ জর্জ বুলি (George Boole) সর্বপ্রথম যে অ্যালজেবরা নিয়ে আলোচনা করেন তাই বুলিয়ান অ্যালজেবরা। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় শুধুমাত্র বুলিয়ান যোগ ও গুণ এর সাহায্যে সমস্ত কাজ করা হয়। যোগ ও গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে। এ নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।

 

প্রশ্ন-২৩। দশমিক ও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির পার্থক্য লিখ।

 

উত্তরঃ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য 10 টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে ডেসিম্যাল বা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অপরদিকে, যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য 2 টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে।

 

দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 10। অপরদিকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 2।

 

প্রশ্ন-২৪। ২-এর পরিপূরক কেন গুরুত্বপূর্ণ?

 

উত্তরঃ সাধারণত যোগ এবং বিয়োগ দুইটি ভিন্ন অপারেশন। কম্পিউটারে সব ডেটা এবং তথ্য শুধুমাত্র ০ এবং ১ দিয়ে গঠিত হওয়ায় এবং কম্পিউটারের শুধু যোগ করার ক্ষমতা থাকায় এতে ২-এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এতে যে সংখ্যাটিকে বিয়োগ করতে হবে তাকে ২ এর পরিপূরক করে অন্যটির সাথে যোগ করলেই হয়। তাই যোগ ও বিয়োগের জন্য আলাদা অপারেশন করার দরকার পড়ে না। তাই ২-এর পরিপূরক গুরুত্বপূর্ণ।

 

কেন NAND ও NOR গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলা হয়?

 

উত্তরঃ যে সকল গেইটের সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেই সমস্ত গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলে। মৌলিক গেইট দ্বারা অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেইভাবে NAND ও NOR দিয়েও মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল গেইটকে প্রকাশ করা যায়। এই জন্য NAND ও NOR কে সর্বজনীন (Universal) গেইট বলা হয়।

 

কি-বোর্ড থেকে ইনপুট দেয়ার ক্ষেত্রে কোন সার্কিটটি ব্যবহৃত হয়?

 

উত্তর : কি-বোর্ড থেকে ইনপুট দেওয়ার জন্য যে সার্কিট ব্যবহৃত হয় তাহলো এনকোডার। যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় অর্থাৎ আনকোডেড ডেটাকে কোডেড ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার বলে।

 

A + B কোন গেটকে সমর্থন করে?

 

উত্তরঃ A + B OR গেটকে সমর্থন করে। যে লজিক গেটে দুই বা দুইয়ের বেশি ইনপুট থাকে এবং যৌক্তিক যােগের মাধ্যমে একটি মাত্র আউটপুট পাওয়া যায় তাকে OR গেট বলে। OR গেটে সকল ইনপুট 0 হলে আউটপুট 0 হয় এবং যেকোনাে একটি ইনপুট 1 হলে আউটপুট 1 হয়। OR গেট যৌক্তিক যােগের প্রতিনিধিত্ব করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বুলিয়ান অ্যালজেবরায় ধনাত্মক ও ঋণাত্মক যুক্তি বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যে যুক্তি পদ্ধতিতে +৫ ভোল্টকে যৌক্তিক ১ এবং ০ ভোল্টকে ০ ধরা হয় তাকে ধনাত্মক যুক্তি পদ্ধতি বলা হয়। অপরপক্ষে যে যুক্তি পদ্ধতিতে ৫ ভোল্টকে যৌক্তিক ১ এবং ০ ভোল্টকে ০ ধরা হয় তাকে ঋণাত্মক যুক্তি পদ্ধতি বলা হয়।

মানুষের ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তরের সার্কিটটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ মানুষের ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তরের সার্কিটটি হলো এনকোডার। যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে মানুষের বোধগম্য ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তরিত করা হয় তাকে এনকোডার বলে। এনকোডারের সাহায্যে যেকোনো আলফানিউমেরিক বর্ণকে ASCII, EBCDIC ইত্যাদি কোডে পরিণত করা যায়। সেজন্য ইনপুট ব্যবস্থায় কিবোর্ডের সঙ্গে এনকোডার যুক্ত থাকে। এনকোডার এমন একটি সমবায় সার্কিট যার দ্বারা সর্বাধিক 2n টি ইনপুট থেকে n টি আউটপুট লাইনে 0 বা 1 আউটপুট পাওয়া যায়। যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট 1 ও বাকি সব ইনপুট 0 থাকে। কখন কোন আউটপুট লাইনে 1 পাওয়া যাবে তা নির্ভর করে ইনপুটগুলোর মানের ওপর।

বিয়োগের কাজ যোগের মাধ্যমে সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো বাইনারি সংখ্যার ১’এর পরিপূরকের সাথে ১ যোগ করে যে মান পাওয়া যায় তাকে ২’এর পরিপূরক বলে। ২’এর পরিপূরক হলো কোনো সংখ্যার ঋণাত্নক মানের বাইনারি মান। কোনো সংখ্যাকে ঋনাত্নক করতে পারলে উক্ত ঋনাত্নক সংখ্যাকে যোগ করলে আসলে তা বিয়োগের কাজ হয়। সুতরাং ২-এর পরিপূরক ব্যবহার করে যোগের মাধ্যমে বিয়োগের কাজ করা যায়।

অ্যাসকি কোডের কেন উদ্ভব হয়?

উত্তরঃ কম্পিউটার আবিষ্কারের প্রাথমিক যুগে কম্পিউটার নির্মাতার প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সুবিধামতো অঙ্ক, অক্ষর এবং বিভিন্ন চিহ্নাদি নির্দিষ্ট করার জন্য বিভিন্ন বাইনারি বিট প্যাটার্ন ব্যবহার করতেন। এর ফলে কোনো কোম্পানির সিপিইউ এর সাথে অন্য কোনো কোম্পানির তৈরি ইনপুট যন্ত্র বা আউটপুট যন্ত্র লাগালে তা সঠিকভাবে কাজ করত না। এ অসুবিধা দূর করার জন্য আসকি কোড ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগন্যাল উপযোগী কেন?

উত্তরঃ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগন্যাল উপযোগী, কারণ ডিজিটাল সিগন্যালে ব্যবহার হওয়া অঙ্কগুলো সহজেই ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালের সাহায্যে প্রকাশ করা যায়। কম্পিউটার ডিজাইনে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার হয়। ডিজিটাল যন্ত্রাংশ বাইনারি মোডে কাজ করে। ডিজিটাল সিগন্যালে একটি সুইচ অন-অফ হতে পারে অথবা সিগন্যাল উপস্থিত অনুপস্থিত থাকতে পারে। এগুলোর সাথে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মিল রয়েছে। তাই কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগন্যাল উপযোগী।

“পৃথিবীর সকল ভাষাকে কম্পিউটারের জন্য বিশেষ কোড সৃষ্টি করা হয়েছে”- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারে কোডভুক্ত করার জন্য অ্যাপল কর্পোরেশন ও জেরক্স কর্পোরেশন সম্মিলিতভাবে একটি কোড পদ্ধতি তৈরি করেছে যাকে ইউনিকোড বলা হয়। ইউনিকোড হচ্ছে ১৬ বিটের কোড। বিশ্বের সকল ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্ন গুলোকে কোড হিসেবে কম্পিউটারের অভ্যন্তরে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বর্তমানে ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়। ইউনিকোডের মাধ্যমে ২১৬ =৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়।

সত্যক সারণি ব্যবহার করে লজিক বর্তনী আঁকা সম্ভব- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বুলিয় চলকের মানের সম্ভাব্য সব বিন্যাসের জন্য বুলিয় ফাংশনের যে মান হয় তাকে সত্যক সারণি বলে। সাধারণত একটি সার্কিটের আউটপুট কী ধরনের হবে তা বুলিয় চলক ব্যবহার করে সত্যক সারণি তৈরি করা হয়। তারপর সত্যক সারণি থেকে বুলিয়ান রাশি বের করা হয় এবং ইলেকট্রনিক সার্কিট তৈরি করা হয়। সুতরাং, সত্যক সারণি ব্যবহার করে লজিক বর্তনী আঁকা সম্ভব।