প্রশ্ন-১। জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় কীটপতঙ্গ নিয়ে আলোচনা করা হয়?
উত্তর : এন্টোমোলজি।
প্রশ্ন-২। জীববিজ্ঞানের প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের প্রাচীনতম শাখা হলো প্রকৃতিবিজ্ঞান।
প্রশ্ন-৩। শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলেন ক্যারোলাস লিনিয়াস।
প্রশ্ন-৪। জীবের বৈজ্ঞানিক নামে কোন শব্দ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : জীবের বৈজ্ঞানিক নামে লাতিন শব্দ ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৫। ‘Biology’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে আগত?
উত্তর : গ্রিক।
প্রশ্ন-৬। জীববিজ্ঞানের কোন শাখাটি ডারউইন তত্ত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত?
উত্তর : বিবর্তনবিদ্যা।
প্রশ্ন-৭। বাংলাদেশের সোনালি আঁশের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের সোনালি আঁশের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Corchorus capsularis.
প্রশ্ন-৮। কোন বিজ্ঞানী প্রোটিস্টাকে প্রোটোজোয়া ও ক্রোমিস্টা নামে দুই ভাগে ভাগ করেছেন?
উত্তর : কেভলিয়ার স্মিথ।
প্রশ্ন-৯। কোনটিতে হ্যাপ্লয়েড স্পোরের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি ঘটে?
উত্তর : পেনিসিলিয়াম।
প্রশ্ন-১০। কোনটির দেহ মাইসেলিয়াম দ্বারা গঠিত?
উত্তর : পেনিসিলিয়াম।
প্রশ্ন-১১। জীববিজ্ঞানের কোন শাখায় ‘যোগ্যতমের টিকে থাকা’ নিয়ে আলোচনা করা হয়?
উত্তর : Evolution।
প্রশ্ন-১২। Nostoc-এ কোন ধরনের কোষবিভাজন দেখা যায়?
উত্তর : অ্যামাইটোসিস।
প্রশ্ন-১৩। প্রাণিজগতের কোন রাজ্যে কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন প্রজনন ঘটাতে দেখা যায়?
উত্তর : প্রোটিস্টা।
প্রশ্ন-১৪। মৃতজীবী বা পরজীবীদের স্থান দেওয়া হয়েছে কোন রাজ্যে?
উত্তর : ফানজাই।
প্রশ্ন-১৫। নিচের কোনটি ফলিত জীববিজ্ঞানের উদ্দেশ্য?
উত্তর : রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কিত আলোচনা করা।
প্রশ্ন-১৬। ফানজাই কোনটির মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে?
উত্তর : হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে।
প্রশ্ন-১৭। ধানের বৈজ্ঞানিক নাম কি?
উত্তর : ধানের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Oryza sativa।
প্রশ্ন-১৮। ICZN-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর : ICZN-এর পূর্ণরূপ হলো International Code of Zoological Nomenclature।
প্রশ্ন-১৯। ম্যালেরিয়া জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর : ম্যালেরিয়া জীবাণুর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Plasmodium vibax।
প্রশ্ন-২০। কোষের গঠন আলোচনা করা হয় কোন শাখায়?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা কোষবিদ্যায় কোষের গঠন আলোচনা করা হয়।
প্রশ্ন-২১। আজ পর্যন্ত কতগুলো প্রাণী প্রজাতির নামকরণ হয়েছে?
উত্তর : ৪ লাখ।
প্রশ্ন-২২। লিনিয়াস কোন বিষয়ে আপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
উত্তর : অ্যানাটমি।
প্রশ্ন-২৩। জীবজগৎ সম্পর্কে সহজ ও সুশৃঙ্খলভাবে জানতে সাহায্য করে কোনটি?
উত্তর : Taxonomy।
প্রশ্ন-২৪। কোন রাজ্যের জীবদের অ্যানাইসোগ্যামাস ধরনের যৌন জনন দেখা যায়?
উত্তর : প্ল্যানটি।
প্রশ্ন-২৫। মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম কী?
উত্তর : মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Homo sapien.
প্রশ্ন-২৬। ‘Systema Nature’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : ‘Systema Nature’ গ্রন্থটির রচয়িতা ক্যারোলাস লিনিয়াস।
প্রশ্ন-২৭। আর্কিগোনিয়েট জীব কোনটি?
উত্তর : শৈবাল।
প্রশ্ন-২৮। মানুষকে হেটারোট্রফিক বলা হয় কেন?
উত্তর : কোষে প্লাস্টিড অনুপস্থিত।
প্রশ্ন-২৯। সর্বপ্রথম গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা প্রদান করেন কোন বিজ্ঞানী?
উত্তর : লিনিয়াস।
প্রশ্ন-৩০। শ্রেণিবিন্যাসের একক কী?
উত্তর : জীবের শেণিবিন্যাসের প্রতিটি ধাপই শ্রেণিবিন্যাসের একক।
প্রশ্ন-৩১। প্রজাতি কী?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের সর্বনিম্ন এককই প্রজাতি।
প্রশ্ন-৩২। প্রোক্যারিওটা কাকে বলে?
উত্তর : যে ধরনের কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না তাকে প্রোক্যারিওটা বা আদিকোষী বলে।
প্রশ্ন-৩৩। দ্বিপদ নাম কী?
উত্তর : প্রথম অংশ গণ ও দ্বিতীয় অংশ প্রজাতি নাম নিয়ে গঠিত বৈজ্ঞানিক নামকে দ্বিপদ নাম বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৪। ফলিত জীববিজ্ঞান কাকে বলে?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবনসংশ্লিষ্ট প্রায়োগিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয় তাই ফলিত জীববিজ্ঞান।
প্রশ্ন-৩৫। দেহকোষ কাকে বলে?
উত্তর : বহুকোষী জীবের দেহ গঠনে যেসব কোষ অংশগ্রহণ করে তাদের দেহকোষ বলে।
প্রশ্ন-৩৬। শ্রেণিবিন্যাস কী?
উত্তর : পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্তিকরণই শ্রেণিবিন্যাস।
প্রশ্ন-৩৭। কোষের গঠন আলোচনা করা হয় কোন শাখায়?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের ভৌত শাখা কোষবিদ্যায় কোষের গঠন আলোচনা করা হয়।
প্রশ্ন-৩৮। বংশগতিবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের বংশগতি ও প্রকরণের রীতিনীতি আলোচিত হয় তাকে জিনতত্ত্ব বা বংশগতিবিদ্যা বলে।
প্রশ্ন-৩৯। শারীরবিদ্যা কী?
উত্তর : বিজ্ঞানের যে ভৌত শাখায় জীবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জৈব রাসায়নিক কার্যাদি, যেমন—শ্বসন, রেচন, সালোক সংশ্লেষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাই শারীরবিদ্যা।
প্রশ্ন-৪০। ট্যাক্সন কী?
উত্তর : জীবের শ্রেণিবিন্যাসের প্রতিটি একক বা ধাপই হলো ট্যাক্সন।
প্রশ্ন-৪১। শ্রেণিবিন্যাসের মূল লক্ষ্য কি?
উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের মূল লক্ষ্য হলো এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগেক সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা।
ICBN অনুসারে ধানের বৈজ্ঞানিক নাম কী কী ভাবে লিখতে পারবে?
উত্তর : ICBN অনুসারে ধানের বৈজ্ঞানিক নাম লিখতে হবে-
ইটালিক হরফে Oryza sativa
রোমান হরফে বা হাতে লিখলে Oryza sativa
বৈশিষ্ট্যঃ
- দেহত্বক কাঁটাযুক্ত ও পাঁচটি সমান অংশে বিভক্ত।
- পানি সংবহনতন্ত্র থাকে ও নালিপদের সাহায্যে চলাচল করে।
উদাহরণঃ
- তারামাছ
- সমুদ্র শশা
বিবর্তন বিদ্যায় আলোচনার বিষয়গুলো উল্লেখ কর।
উত্তর : বিবর্তন বিদ্যায় আলোচনার বিষয়গুলো হলো- পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশ তথ্যসমূহের পর্যালোচনা।
মনেরা কিংডমের বৈশিষ্ট্য কী কী?
উত্তর : মনেরা কিংডমের বৈশিষ্ট্য :
i) এরা প্রোক্যারিওটিক জীব।
ii) এককোষী জীব।
iii) নিউক্লিয়াস নির্দিষ্ট করা যায় না বা থাকে না।
লিনিয়াসের চমৎকার আবিষ্কার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস তার System Nature গ্রন্থের ১০ম সংস্করণে দ্বিপদ নামকরণ নীতি প্রবর্তন করেন এবং গণ ও প্রজাতির সংজ্ঞা দেন। তিনিই প্রথম ঐ গ্রন্থে জীবের শ্রেণি, বর্গ, গণ এবং প্রজাতি ধাপগুলো ব্যবহার করেন। এই নামকরণ ল্যাটিন শব্দে হওয়ায় কোনো জীবের বৈজ্ঞানিক নাম সারা বিশ্বে একই নামে পরিচিত হয়। দ্বিপদ নামকরণের ফলে এই বৈচিত্র্যময় জীবজগতের প্রতিটি জীবকে আলাদা নামে সঠিকভাবে জানা যায়। তাই লিনিয়াসের এই দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার আবিষ্কার।
একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী সম্বন্ধে ধারণা নিতে হলে জীববিজ্ঞানের কোন কোন শাখার সাহায্য নিতে হয়?
উত্তর : একটি উদ্ভিদ বা প্রাণী সম্বন্ধে ধারণা নিতে হলে জীবটির আকৃতি, কোষের গঠন, জৈবনিক প্রক্রিয়া, জীবজগতে তার অবস্থান ও তার আবাসস্থান সম্বন্ধে ধারণা নিতে হবে। এ ধারণাগুলো জীববিজ্ঞানের কতগুলো ভৌত শাখা যেমন : অঙ্গসংস্থান, কোষবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা ও বাস্তুবিদ্যার সাহায্য পাওয়া যাবে।