নবম অধ্যায় : দুর্যোগের সাথে বসবাস, নবম-দশম শ্রেণির বিজ্ঞান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Tsunami শব্দের অর্থ কি?

 

উত্তরঃ Tsunami বা সুনামি শব্দের অর্থ হলো বন্দরের ঢেউ।

 

IPCC-এর পূর্ণরূপ কী?

 

উত্তরঃ IPCC-এর পূর্ণরূপ হলো Intergovernmental Panel on Climate Change.

 

খরার মূল কারণ কী?

 

উত্তরঃ খরার মূল কারণ বার্ষিক বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া।

 

ভূমিকম্প কী?

 

উত্তরঃ ভূ-অভ্যন্তরে হঠাৎ সৃষ্ট কোনো কম্পন ভূত্বকে আকস্মিক যে আন্দোলন সৃষ্টি করে তাই ভূমিকম্প।

 

কার্বন দূষণ কী?

 

উত্তরঃ কার্বন দূষণ বলতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াকে বুঝায়।

 

সাইক্লোন কী?

 

উত্তরঃ নিম্নচাপজনিত কারণে প্রচণ্ড গতিবেগে ঘূর্ণনের আকারে বাতাস প্রবাহিত হয়ে যে ঝড় হয় তাই সাইক্লোন।

 

টর্নেডো বলতে কী বোঝায়?

 

টর্নেডো হলো সাইক্লোনের মতো প্রচণ্ড বেগে বাতাস ঘূর্ণির আকারে প্রবাহিত হওয়ার ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এ দুর্যোগটি যেকোনো স্থানেই সৃষ্টি ও আঘাত হানতে পারে। এ অবস্থায় নিচের দিকে সৃষ্টি হওয়া শূন্যস্থান পূরণের জন্য শীতল বাতাস প্রচণ্ড বেগে ঐ শূন্যস্থানে ধাবিত হয়। এটি অল্প সময়ে সৃষ্টি হয়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করতে সক্ষম।

 

ম্যানগ্রোভ বন বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ ম্যানগ্রোভ বন বলতে এমন বন বোঝায় যার ভূমি প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য (কয়েক ঘন্টা) সমুদ্রের জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এ বনের বেশির ভাগ উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে। এখানকার প্রাণী সম্প্রদায় মাটি ও পানি উভয় এলাকায় বসবাস করতে সক্ষম। সুন্দরবন হলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

গ্রিন হাউস গ্যাস বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ যেসব গ্যাস সূর্যের তাপ পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয় না কিন্তু উত্তপ্ত পৃথিবী থেকে তাপকে চলে যেতে বাধা দেয় তাদেরকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলে। যেমন- কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, সিএফসি, জলীয় বাষ্প ইত্যাদি। বায়ুমণ্ডলে এ সকল গ্যাস পরিমাণে বেশি থাকলে ভূ-পৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল তাপ হারিয়ে শীতল হতে পারে না। ফলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধি পায়।

এসিড বৃষ্টি কেন হয়?

উত্তরঃ এসিড বৃষ্টির জন্য প্রাকৃতিক ও মানুষের সৃষ্ট কিছু কারণ জড়িত। প্রাকৃতিক কারণসমূহের মধ্যে রয়েছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, দাবানল, বজ্রপাত, গাছপালার পতন ইত্যাদি। এই সকল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ ও সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস নিঃসৃত হয়, যা পরে বাতাসের অক্সিজেন ও বৃষ্টির পানির সাথে বিক্রিয়া করে যথাক্রমে নাইট্রিক এসিড ও সালফিউরিক এসিড তৈরি করে এবং পরবর্তীতে যখন বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বিপজ্জনক কেন?

উত্তরঃ বৈশ্বিক উষ্ণতার মূল কারণ অর্থাৎ গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ না কমালে, বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। এতে পৃথিবীর দুই প্রান্তের মেরুর বরফ গলে যাবে এবং সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে যাবে। ফলে বহু দেশ এবং দ্বীপ সমুদ্রের পানিতে তলিয়ে যাবে। সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মূল ভূ-খণ্ডের ভেতর ঢুকে খাবার ও ব্যবহার করা পানিকে লবণাক্ত করবে। এ কারণেই বৈশ্বিক উষ্ণতা বিপদজনক।

খরা বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ খরা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত না হওয়া। বাষ্পীভবন ও প্রস্বেদনের পরিমাণ বৃষ্টিপাতের চেয়ে বেশি হলে এমনটি ঘটে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অপরিকল্পিত উন্নয়ন, বৃক্ষনিধন এবং গ্রিন হাউজ গ্যাসের প্রভাবে বায়ুমণ্ডল ধীরে ধীরে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, সৃষ্টি হয় খরা। গভীর নলকূপের সাহায্যে ভূ-গর্ভস্থ পানির যথেচ্ছা উত্তোলনের ফলে পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়ার ফলেও খরা সৃষ্টি হয়।

এসিড বৃষ্টি সৃষ্টির মনুষ্য কারণ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ মনুষ্য সৃষ্ট বিভিন্ন শিল্পকারখানা বিশেষ করে কয়লা ও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বা অন্যান্য শিল্প কারখানা, যানবাহন, গৃহস্থালির চুলা ইত্যাদি উৎস থেকে সালফারডাই অক্সাইড নির্গত হয়, যা এসিডে পরিণত হয় এবং বৃষ্টির পানির সাথে মিশে এসিড বৃষ্টি সৃষ্টি হয়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কোন কারণটিকে তুমি বেশি ক্ষতিকর বলে মনে কর? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলে আমি মনে করি। কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা হলো বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ ওজোন, মিথেন, সিএফসি, নাইট্রাস অক্সাইড ও জলীয় বাষ্প প্রভৃতি গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। আর এই গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ না কমলে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটবে যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

কেন খরার ফলে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা দেখা যায়?

উত্তরঃ খরা একটি ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর ফলে ফসল উৎপাদন কমে যায় এবং তা দুর্ভিক্ষের কারণও হতে পারে। খরার ফলে গবাদি পশুর জন্যও খাদ্য সংকট দেখা দেয়, কৃষি নির্ভর শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয় যা কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। মাটির উর্বরতা কমে যায়। এ খরা দীর্ঘস্থায়ী হলে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়।