চতুর্থ অধ্যায় : বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি ও জলবায়ু, নবম-দশম শ্রেণি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশের উত্তরের পাহাড়গুলোকে টিলা বলা হয় কেন?

উত্তরঃ বাংলাদেশের উত্তরের পাহাড়গুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার। তাই এগুলোকে পাহাড় না বলে স্থানীয়ভাবে টিলা বলা হয়।

আশ্বিনা ঝড় বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের কোনো কোনো স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। এ সময় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলে।

উপকেন্দ্ৰ কী?

উত্তরঃ ভূ-অভ্যন্তরের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। কেন্দ্রের ঠিক সোজাসুজি উপরের ভূ-পৃষ্ঠের নাম উপকেন্দ্র। কম্পনের বেগ উপকেন্দ্র হতে ধীরে ধীরে চারদিকে কমে যায়।

‘সিসমিক রিস্ক জোন’ কী?

উত্তরঃ ১৯৮৯ সালে ফরাসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসোর্টিয়াম বাংলাদেশের ভূমিকম্প বলয় সম্বলিত মানচিত্র তৈরি করে। এতে ৩টি বলয় দেখানো হয়েছে। প্রথম বলয়কে ‘প্রলয়ঙ্করী’; দ্বিতীয় বলয়কে ‘বিপজ্জনক’ এবং তৃতীয় বলয়কে ‘লঘু’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বলয়গুলোকে একত্রে বলা হয় ‘সিসমিক রিস্ক জোন’।

চিনাগুল কি?

উত্তরঃ চিনাগুল হলো একটি পাহাড়।

কালবৈশাখী ঝড় কী?

উত্তরঃ বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ মাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে স্থলভাগে অধিক নিম্নচাপ সৃষ্টির কারণে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে স্থলভাগে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ই হলো কালবৈশাখী ঝড়।

অগ্নুৎপাত কাকে বলে?

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠে দুর্বল ফাটল, ভূ-গর্ভের চাপ কম বা বেশি হলে অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ নির্গত হওয়াকে অগ্নুৎপাত বলে।

বাংলাদেশের নদীগুলো বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয় কেন?

উত্তরঃ বাংলাদেশের ভূখণ্ড উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু হয়ে অবস্থিত। ফলে বাংলাদেশের নদ-নদী, উপনদী ও শাখা নদীগুলো উত্তর দিক হতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয়েছে।

বাংলাদেশে মোট ঋতু কয়টি?

উত্তরঃ বাংলাদেশে মোট ঋতু ছয়টি।