চতুর্থ অধ্যায় : জনসংখ্যা, মানবসম্পদ এবং আত্মকর্মসংস্থান, অর্থনীতি ২য় পত্র

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জনসংখ্যার ঘনত্বের সূত্র লেখ।

উত্তরঃ জনসংখ্যার ঘনত্ব = মোট জনসংখ্যা/মোট আয়তন।

নিট অভিবাসন কী?

উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট বছরে কোনো একটি দেশের মোট অভিবাসী জনসংখ্যা ও মোট দেশান্তরিত জনসংখ্যার মধ্যকার পার্থক্য হলো ঐ দেশের ঐ বছরের নিট অভিবাসন।

আত্মকর্মসংস্থান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ সহজভাবে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।

বেকারত্ব কী?

উত্তরঃ কাজ করতে সক্ষম ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ করতে ইচ্ছুক, কিন্তু কাজ পায় না এ অবস্থাকেই বেকারত্ব বলে।

কাম্য জনসংখ্যা কী?

উত্তরঃ কোনো দেশে একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে জনসংখ্যা বর্তমান থাকলে গড় উৎপাদন বা মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ হয় তাকে কাম্য জনসংখ্যা বলে।

জনসংখ্যা কাঠামো কাকে বলে?

উত্তরঃ নারী-পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাস গ্রাফে প্রকাশ করলে ত্রিভুজ বা পিরামিড সদৃশ যে নকশা তৈরি হয় তাকে জনসংখ্যা কাঠামো (Population Structure) বলে।

প্রজননশীলতা কী?

উত্তরঃ নারীদের সন্তান ধারন করার ক্ষমতা বা সামর্থকে প্রজননশীলতা বলা হয়।

মৃত্যুহার বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ কোনো দেশে প্রতি বছর মোট জনসংখ্যার প্রতি হাজারে যে সংখ্যক মৃত্যুবরণ করে তাকে সে দেশের মৃত্যুহার বলে। এর হার বের করতে হলে, কোনো দেশে একটি নির্দিষ্ট বছরে যে সংখ্যক লোক মৃত্যুবরণ করে তাকে ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে ভাগ ফলকে ১০০০ দিয়ে গুণ করতে হয়। অর্থাৎ

চতুর্থ অধ্যায় : জনসংখ্যা, মানবসম্পদ এবং আত্মকর্মসংস্থান, অর্থনীতি ২য় পত্র

যে পরিমাণ জনসংখ্যা থাকলে মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ হয়, তাকে কী বলে?

উত্তরঃ যে সংখ্যক জনসংখ্যা থাকলে মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ হয় তাকে বলে কাম্য জনসংখ্যা।

কাম্য জনসংখ্যা হলো সর্বোত্তম আকাঙ্ক্ষিত জনসংখ্যা সেখানে উৎপাদন, আয় ও মাথাপিছু আয় সর্বোত্তম হয়। কাম্য জনসংখ্যা তত্ত্ব অনুসারে কোনো দেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে উপযুক্তভাবে কাজে লাগানোর জন্য একটি বিশেষ জনসংখ্যার প্রয়োজন হয়। একেই কাম্য জনসংখ্যা বলে।

কারিগরি শিক্ষার প্রসার মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য কীভাবে সহায়ক হতে পারে?

উত্তরঃ কারিগরি শিক্ষার প্রসার মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সহায়ক।

প্রশিক্ষণ হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা, জ্ঞান ও আচরণের উন্নতি সাধন করা হয়। এতে কর্মীর ওপর অর্পিত দায়িত্ব, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পাদন করা সম্ভব হয়। তাই দেশের জনশক্তিকে দক্ষ উৎপাদনক্ষম ও নিষ্ঠাবান মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর জনসংখ্যার কাঠামো কীভাবে নির্ভর করে?

উত্তরঃ একটি দেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেকাংশেই ভৌগোলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে।

বাংলাদেশের ভূমি সমতল হওয়ায় তা মানুষের বসবাস উপযোগী। এখানে ভূমি এমন হওয়ায় মানুষের জীবিকানির্বাহ, যাতায়াত ব্যবস্থার সুবিধা এবং জীবনধারণের ব্যয় কম বলে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ। পার্বত্য অঞ্চলে ছাড়া অধিকাংশ এলাকা সমতল এবং স্বাভাবিকভাবেই পার্বত্য অঞ্চলে জনবসতি কম। এ কারণে এদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি। এভাবেই ভৌগোলিক অবস্থান দ্বারা জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রভাবিত হয়।