ষষ্ঠ অধ্যায় : ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। Communication শব্দটি কোন দেশীয় শব্দ হতে উদ্ভব হয়েছে?

 

উত্তরঃ “Communication” শব্দটি ল্যাটিন Communis শব্দ হতে এসেছে।

 

প্রশ্ন-২। আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কাকে বলা হয়?

 

উত্তরঃ হেনরি ফেয়লকে আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৩। আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক বা মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো কী কী?

 

উত্তরঃ আধুনিক ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক বা মৌলিক উদ্দেশ্যগুলো হলো: মুনাফা অর্জন, অস্তিত্ব রক্ষা এবং উন্নয়ন প্রসার।

 

প্রশ্ন-৪। পরিকল্পনা বলতে কী বোঝায়?

 

উত্তরঃ কোন কাজ কখন, কার দ্বারা, কিভাবে সম্পাদন করা হবে তা পূর্বেই স্থির করাকে পরিকল্পনা বলে। পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এটা ব্যবস্থাপনার সকল কাজের ভিত্তি।

 

জর্জ আর টেরির মতে, “ভবিষ্যতের প্রয়োজনানুযায়ী বর্তমানের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে ভবিষ্যতে গঠনমূলক কার্যক্রম প্রণয়ন করাকে পরিকল্পনা বলা হয়।”

 

অতএব বলা যায়, প্রতিষ্ঠানের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জনের জন্যে ভবিষ্যতের আগাম কর্মসূচি প্রণয়ন করাকে পরিকল্পনা বলে।

 

প্রশ্ন-৫। নির্দেশনাকে প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন?

 

উত্তরঃ নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকাশক্তি বলে তাকে প্রতিষ্ঠানের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৬। সমচ্ছেদ বিন্দু কাকে বলে?

 

উত্তরঃ মোট ব্যয়রেখা ও মোট বিক্রয় রেখা যে বিন্দুতে পরস্পর পরস্পরকে ছেদ করে তাকে সমচ্ছেদ বিন্দু বলে।

 

প্রশ্ন-৭। অনুপাত বিশ্লেষণ কি? (What is Ratio Analysis?)

 

উত্তরঃ অনুপাত বিশ্লেষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি হাতিয়ার। দুই বা ততোধিক চলকের মধ্যে সংখ্যাত্মক সম্বন্ধকে অনুপাত বলে। অনুপাত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবসার বর্তমান আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

 

Prof Khan and Jain-এর মতে, “অনুপাত বিশ্লেষণ হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অনুপাতের ব্যবহার, যার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা করে একটি প্রতিষ্ঠানের সবলতা, দুর্বলতা, ঐতিহাসিক কার্যাবলি ও চলতি আর্থিক অবস্থা নিরূপণ করা যায়।”

 

প্রশ্ন-৮। কীভাবে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়?

 

উত্তরঃ মানুষ নিজের প্রয়োজনে পরস্পরের মধ্যে ভাব বা তথ্য বিনিময় করে। ভাব বা তথ্যের এ বিনিময় কার্যকেই যোগাযোগ বলে। দোলনা থেকে শুরু করে মৃত্যুর পূর্বক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তার প্রতিটি মুহূর্তে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। যোগাযোগ শুধু ব্যক্তিজীবনেই নয়, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর কার্যক্রম বিস্তৃত।

 

প্রশ্ন-৯। যোগাযোগ কী?

 

উত্তরঃ যোগাযোগ মানব জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান। মানুষ নিজের প্রয়োজনে পরস্পরের মধ্যে ভাব বা তথ্য বিনিময় করে। ভাব বা তথ্যের এ বিনিময় কার্যকেই যোগাযোগ বলে।

 

প্রশ্ন-১০। মানুষ কেন এবং কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে?

 

উত্তরঃ মানুষ তার প্রয়োজনে ভাব বা তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য যোগাযোগ স্থাপন করে। মানুষ প্রথমে মৌখিক ও পরে লিখিত প্রথার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১১। যোগাযোগ প্রক্রিয়া কী?

উত্তরঃ সাধারণভাবে প্রক্রিয়া বলতে কোনো কিছু করার পদ্ধতিকে বুঝায়, যার সাথে অনেকগুলো পদক্ষেপ জড়িত থাকে। যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলতে একটি সংবাদ প্রেরণ থেকে আরম্ভ করে গ্রহণ পর্যন্ত প্রক্রিয়াকে বুঝানো হয়ে থাকে। আমরা যখন কারো সাথে যোগাযোগ করি তখন তার নিকট একটি সংবাদ বা তথ্য পাঠাই। উৎসস্থল থেকে গ্রহণস্থল পর্যন্ত সংবাদ পৌঁছানোর যে গতিধারা তাকে যোগাযোগ প্রক্রিয়া নামে অভিহিত করা হয়। যোগাযোগের সাথে অনেকগুলো উপাদান জড়িত থাকে। এ উপাদানগুলো যখন একই সূত্রে গ্রথিত হয় তখনই যোগাযোগ প্রক্রিয়ারূপ ধারণ করে।

প্রশ্ন-১২। যোগাযোগের আওতা বা পরিধি কতদূর পর্যন্ত বিস্মৃত?

উত্তরঃ যোগাযোগের আওতা বা পরিধি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিস্তৃত। অর্থাৎ মানুষের কর্ম পরিধি যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত যোগাযোগের পরিধি ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

প্রশ্ন-১৩। কীভাবে যোগাযোগ পরিপূর্ণতা লাভ করে?

উত্তরঃ যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের পরিপূর্ণতা লাভ করে।

প্রশ্ন-১৪। যোগাযোগ প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পূর্ণ হয়?

উত্তরঃ যোগাযোগের তিনটি উপাদান যেমন : যোগাযোগকারী, সংবাদ, সংবাদ গ্রহীতার মধ্য দিয়ে যোগাযোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রশ্ন-১৫। বাজার সমীক্ষা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো পণ্যের ভোক্তাদের কাছে কিরূপ চাহিদা আছে তা যাচাই করাকে বাজার সমীক্ষা বলে। বাজার সমীক্ষা পণ্য বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনার একটি অংশ। বাজার সমীক্ষার মাধ্যমে ভোক্তাদের প্রকৃতি, আচরণ, প্রতিযোগিদের অবস্থান ইত্যাদি জানা যায়। এ সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করে পণ্য বাজারজাতকরণের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়।

প্রশ্ন-১৬। বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা কাকে বলে?

উত্তরঃ উৎপাদিত পণ্য বা সেবা ভোক্তার কাছে সন্তোষজনকভাবে এবং সময়মতো পৌঁছে দেয়ার কলা-কৌশলকেই বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা বলে। একটি উন্নতমানের পণ্য তৈরি করার পর যদি প্রকৃত ভোক্তার কাছে না পৌছায় তবে ঐ ব্যবসায় থেকে কখনোই মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে না এবং ব্যবসায়টিও স্থায়ী হবে না। তাই বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনাই উৎপাদিত পণ্য বা সেবা ভোক্তার কাছে পৌছে দিতে পারে।

প্রশ্ন-১৭। কর্মী উন্নয়ন বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ কর্মীদের তাদের নির্ধারিত কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়াকে কর্মী উন্নয়ন বলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং তাতে ব্যবসায় মোট উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্মরত শ্রমিক-কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি রয়েছে।