যে নেতৃ্ত্বে অধস্তনরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে এবং নেতা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন, তাকে মুক্ত নেতৃত্ব বলে।
এক্ষেত্রে কর্মীদের ওপর দায়িত্ব দিয়ে নেতা নিশ্চিত থাকেন। তিনি নিজে কাজ করতে পছন্দ করেন না। কর্মীদের তিনি সুনির্দিষ্ট আদেশ দেন না এবং তাদের জবাবদিহিতা আদায় করেন না। এতে কর্মীরা নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করে থাকে। তাই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক ও দলীয় কাজের ওপর।
গণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের পার্থক্য কি?
গণতান্ত্রিক ও স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বের পার্থক্য নিম্নরূপঃ–
গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব
- গণতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা অধস্তনদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেন।
- এ ধরনের নেতৃত্বে নেতা কর্মীদের কাছে জবাবদিহি করেন।
- কর্মীদের প্রতি নেতা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
- নেতা কর্মীদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেন।
স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব
- স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্বে নেতা নিজের ক্ষমতা ও সামথ্যের ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেন।
- এ ধরনের নেতৃত্বে নেতা শুধু আদেশ দেন, জবাবদিহি করেন না।
- কর্মীদের প্রতি নেতা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।
- নেতা সবসময় কর্মীদের চাপের মুখে রাখেন, প্রশ্ন করার সুযোগ দেন না।