দ্বিতীয় অধ্যায় : অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ধারণাসমূহ, নবম-দশম শ্রেণির অর্থনীতি

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। বিনিয়োগ কাকে বলে?

উত্তরঃ সঞ্চিত অর্থ যখন উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে বিনিয়োগ বলে।

প্রশ্ন-২। দ্রব্য বলতে আমরা সাধারণত কোন ধরনের সম্পদকে বুঝি?

উত্তরঃ দ্রব্য বলতে আমরা সাধারণত শুধু বস্তুগত সম্পদকে বুঝি।

প্রশ্ন-৩। আয় ও ভোগ ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ আয় ও ভোগ ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো সঞ্চয়।

প্রশ্ন-৪। উৎপত্তির দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদকে কতভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তরঃ উৎপত্তির দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পদকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়।

প্রশ্ন-৫। সঞ্চয়ের সূত্র লেখ।

উত্তরঃ সঞ্চয়ের সূত্রটি হলোঃ S = Y – C [এখানে, S = সঞ্চয়, Y = আয়, C = ভোগ ব্যয়]

প্রশ্ন-৬। শক্তি সম্পদ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যেসব সম্পদ থেকে বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদিত হয় সেগুলোকে শক্তি সম্পদ বলে। কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি, আণবিক শক্তি, সৌরশক্তি এবং বিভিন্ন প্রকার জ্বালানিসামগ্রী হলো শক্তি সম্পদের উৎস। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কৃষির আধুনিকীকরণ, শিল্পোন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, খনিজ সম্পদ উত্তোলন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শক্তি সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রশ্ন-৭। ব্যক্তিগত সঞ্চয় কীসের ওপর নির্ভরশীল? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ ব্যক্তিগত সঞ্চয় বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো হলো- আয়ের পরিমাণ, পারিবারিক দায়িত্ববোধ, দূরদৃষ্টি, সামাজিক নিরাপত্তা, সুদের হার এবং বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধার ওপর। এছাড়া ব্যক্তি তার পারিবারিক দায়িত্ববোধ, সামাজিক নিরাপত্তা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা ইত্যাদি কারণে আয় কম হলেও কিছু কিছু সঞ্চয়ের চেষ্টা করে।

প্রশ্ন-৮। কৃষি সম্পদ সম্পর্কে ধারণা দাও।

উত্তরঃ বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রয়েছে পলি সমৃদ্ধ উর্বর কৃষিক্ষেত্র। আমাদের জমির উর্বরতা, অনুকূল আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত, নদ-নদী প্রভৃতি কৃষি উৎপাদনের সহায়ক।

এ দেশে প্রায় ৯০,৯৯০ বর্গকিলোমিটার একর চাষযোগ্য কৃষিজমি রয়েছে। আমাদের কৃষিক্ষেত্রে ধান, গম, ডাল, আলু, তৈলবীজ, ফলমূল প্রভৃতি খাদ্যশস্য এবং পাট, ইক্ষু, চা, তামাক, রেশম প্রভৃতি অর্থকরী ফসল উৎপন্ন হয়। এ সবই আমাদের কৃষি সম্পদ।