প্রশ্ন-১। লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিনের কাজ লিখ।
উত্তরঃ লেবুতে বিদ্যমান ভিটামিন হলো ভিটামিন ‘সি’। ভিটামিন ‘সি’ এর কাজ নিচে দেওয়া হলো-
(১) ভিটামিন ‘সি’ পেশি ও দাঁত মজবুত করে।
(২) ক্ষত নিরাময় ও চর্মরোগ রোধ করতে সহায়তা করে।
প্রশ্ন-২। বৃদ্ধিকারক বস্তু কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদদেহের সকল জৈবিক কাজ যে রাসায়নিক পদার্থ নিয়ন্ত্রণ করে তাকে ফাইটোহরমোন বা বৃদ্ধিকারক বস্তু বলে।
প্রশ্ন-৩। মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোসোম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ক্রোমোসোমের সেন্ট্রোমিয়ারটি একেবারে মাঝখানে অবস্থিত তাকে মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোসোম বলে। এর দুই বাহু সমদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হয়।
প্রশ্ন-৪। রাইবোসোম এর প্রধান উপাদান কি?
উত্তরঃ রাইবোসোম এর প্রধান উপাদান হচ্ছে RNA ও প্রোটিন।
প্রশ্ন-৫। রাইবোসোম এর প্রধান কাজ কি?
উত্তরঃ রাইবোসোম এর প্রধান কাজ হচ্ছে প্রোটিন সংশ্লেষণ করা।
প্রশ্ন-৬। প্লাজমামেমব্রেনের কাজ কি?
উত্তরঃ প্লাজমামেমব্রেনের কাজ: ১) কোষের সজীব অংশকে রক্ষা করা। ২) কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করা।
প্রশ্ন-৭। মচকানো বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ অস্থিসন্ধিতে আঘাতের ফলে সন্ধিকে অবলম্বন দানকারী লিগামেন্টে সৃষ্টি হয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা টান কিংবা লিগামেন্ট ছিড়েও যেতে পারে। এমন অবস্থাকে সাধারণভাবে মচকানো নামে অভিহিত করা হয়।
প্রশ্ন-৮। তৃণভোজী প্রাণী কাকে বলে? তৃণভোজী প্রাণীর উদাহরণ লিখ।
উত্তরঃ যে সমস্ত প্রাণী তৃণ, লতাপাতা জাতীয় খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করে তাদেরকে তৃণভোজী প্রাণী বলে। তৃণভোজী প্রাণীদেরকে প্রথম স্তরের খাদক বলা হয়। যেমনঃ কীটপতঙ্গ, ছাগল, হরিণ, গরু ইত্যাদি।
প্রশ্ন-৯। চিংড়িকে মাছ বলা হয় না কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ চিংড়ি আর্থ্রোপোডা পর্বভুক্ত প্রাণী। পক্ষান্তরে মাছ কর্ডাটা পর্বের অস্টিকথিস শ্রেণীভুক্ত। মাছের দেহ সাইক্লোয়েড, গানেয়েড বা টিনয়েড ধরনের আঁইস দ্বারা আবৃত থাকে, যা চিংড়িতে নেই। আবার মাছের মাথার দুই পাশে চার জোড়া ফুলকা থাকে, যা কানকু দিয়ে ঢাকা থাকে। চিংড়ির দেহে এ ধরনের কোন ফুলকা নেই। অর্থাৎ মাছের বৈশিষ্ট্য থেকে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্যের কারণেই চিংড়ি মাছ নয়।
প্রশ্ন-১০। পরিপূরক জিন কাকে বলে?
উত্তরঃ ক্রোমোসোমের ভিন্ন লোকাসের দুটি প্রকট জিন একত্রে উপস্থিত থেকে যখন পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে একটি বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায় তখন জিন দুটিকে পরিপূরক জিন এবং তাদের পারস্পরিক ক্রিয়াকে জিনের পরিপূরক ক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-১১। ছত্রাক কি নামে পরিচিত? ছত্রাকের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ ছত্রাক ব্যাঙের ছাতা নামেও পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–
ছত্রাক মূলত স্থলজ, মৃতজীবী বা পরজীবী। এদের দেহ এককোষী বা মাইসেলিয়াম দ্বারা গঠিত। এদের নিউক্লিয়াস সুগঠিত। কোষপ্রাচীর কাইটিন জাতীয় পদার্থ দিয়ে গঠিত। খাদ্য গ্রহণ করে শোষণ পদ্ধতিতে। এদের কোনো ক্লোরোফিল নেই। হ্যাপ্লয়েড স্পোর দিয়ে বংশ বিস্তার করে এবং মিয়োসিসের মাধ্যমে এদের কোষ বিভাজন ঘটে।
প্রশ্ন-১২। পতঙ্গ পরাগী ফুল কাকে বলে? পতঙ্গ পরাগী ফুলের বৈশিষ্ট্য ও উদাহরণ।
উত্তরঃ যে সকল ফুলে পতঙ্গের মাধ্যমে পরাগায়ন হয় সেগুলোকে পতঙ্গ পরাগী ফুল বলে। পতঙ্গপরাগী ফুল বড়, রঙিন, সুগন্ধি, মধুগ্রন্থিযুক্ত এবং এর পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড আঠালো সুগন্ধযুক্ত হয়। যেমন– জবা, কুমড়া, সরিষা ইত্যাদি উদ্ভিদের ফুল পতঙ্গপরাগী ফুল।
প্রশ্ন-১৩। প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ মস্তিষ্ক থেকে ১২ জোড়া এবং মেরুমজ্জা বা সুষুম্নাকাণ্ড থেকে ৩১ জোড়া স্নায়ু বের হয়ে আসে এবং সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর শাখায় বিভক্ত হয়ে সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলােকে একত্রে প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র বলে। মস্তিষ্ক থেকে উৎপন্ন করােটিক স্নায়ু চোখ, নাক, কান, জিহ্বা, দাঁত, মুখমণ্ডল, হৃৎপিণ্ড, পাকস্থলী প্রভৃতি অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। মেরুরজ্জ্ব থেকে উদ্ভূত স্নায়ুগুলাে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চালনা করে এবং দেহের বাকি অংশ থেকে যাবতীয় অনুভূতি মস্তিষ্কে বয়ে নিয়ে যায়।
প্রশ্ন-১৪। প্রাণিবৈচিত্র্য কী?
উত্তরঃ পৃথিবীর সমস্ত জলচর, স্থলচর ও খেচর প্রাণীদের মধ্যে জিনগত, প্রজাতিগত ও বাস্তুসংস্থানগত যে ভিন্নতা দেখা যায় সেটিই হলো প্রাণিবৈচিত্র্য।
প্রশ্ন-১৫। প্রতিসাম্য বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ প্রতিসাম্য বলতে প্রাণিদেহের মধ্যরেখীয় তলের দু’পাশে সদৃশ বা সমান আকার-আকৃতি বিশিষ্ট অংশের অবস্থানকে বোঝায়। যেমন, মানবদেহকে তার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর ডান ও বামপাশে দু’টি সদৃশ্য অংশে একবার ভাগ করা যায়। অংশ দুইটি একে অপরের প্রতিরূপ। সুতরাং নির্দিষ্ট তল বা কেন্দ্র বা মধ্যরেখার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাণিদেহের এরূপ সমান বা সদৃশ অংশে বিভাজনই প্রতিসাম্য।
প্রশ্ন-১৬। লিথাল জিন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো জিনের মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট জিনকে যদি বাহক জীবের মৃত্যু ঘটায় তবে উক্ত মিউটেটেড জিনকে লিথাল জিন বলে।
প্রশ্ন-১৭। জীববিজ্ঞানে শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা। জীবজগতের ভিন্নতার দিকে আলোকপাত করে সংগ্রহ করা জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি জীবজগৎ এবং মানবকল্যাণে প্রয়োজনীয় জীবগুলোকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণে সচেতন হওয়া শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন-১৮। নিউক্লিয়াস এবং নিউক্লিওলাস এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াস সাইটোপ্লাজমে, কিন্তু নিউক্লিওলাস নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে অবস্থান করে। প্রােটিন সংশ্লেষণে নিউক্লিয়াস অংশ নেয় না, কিন্তু নিউক্লিওলাস অংশ নেয়। নিউক্লিয়াস বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে, নিউক্লিওলাস করে না। নিউক্লিয়াস হলাে কোষের গাঠনিক অঙ্গ, নিউক্লিওলাস হলাে নিউক্লিয়াসের গাঠনিক অঙ্গ। আয়তনে নিউক্লিয়াস বড় এবং নিউক্লিওলাস ছােট।
প্রশ্ন-১৯। গ্লোমেরুলাস বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ নেফ্রনের বোম্যান্স ক্যাপসুলের ভেতর একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা দিয়ে তৈরি অঙ্গই হলো গ্লোমেরুলাস। রেনাল ধমনী থেকে সৃষ্ট অ্যাফারেন্ট আর্টারিওল ক্যাপসুলের ভেতর ঢুকে প্রায় ৫০টি কৈশিকনালিকা তৈরি করে। এগুলো আবার বিভক্ত হয়ে সূক্ষ্ম রক্তজালিকার সৃষ্টি করে। গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে রক্ত থেকে পরিস্রুত তরল উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন-২০। প্রস্বেদন ও নিস্রাবণের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ প্রস্বেদন ও নিস্রাবণের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
প্রস্বেদন
বাষ্পকারে পানি নির্গত হয়।
সাধারণত পত্ররন্ধ, কিউটিকল এবং লেন্টিসেলের মাধ্যমে পানি নির্গত হয়।
প্রক্রিয়াটি দিবাভাগে সংঘটিত হয়।
নির্গত পানি সর্বদা বিশুদ্ধ।
পত্ররন্ধীয় প্রস্বেদন রক্ষীকোষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
নিস্রাবণ
তরল অবস্থায় পানি নির্গত হয়।
সাধারণত হাইডাথোড বা জলরন্ধ্রের মাধ্যমে পানি নির্গত হয়।
প্রক্রিয়াটি শেষ রাত্রিতে অথবা অতি প্রত্যুষে সংঘটিত হয়।
নির্গত পানিতে শর্করা দ্রবীভূত থাকতে পারে।
নিস্রাবণ কখনও নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।