প্রশ্ন-১. ডোপিং কী?
উত্তর : তড়িৎ পরিবাহিতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে চতুর্যোজী অর্ধপরিবাহীর মধ্যে পঞ্জযোজী বা ত্রিযোজী পদার্থের পরমাণু মেশানোর প্রক্রিয়াকে ডোপিং বলে।
প্রশ্ন-২. জড় প্রসঙ্গ কাঠামো কাকে বলে?
উত্তর : যে প্রসঙ্গ কাঠামোতে নিউটনের গতিসূত্রগুলো প্রয়োগ করা যায়, তাকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।
প্রশ্ন-৩. পয়সনের অনুপাত কাকে বলে?
উত্তর : স্থিতিস্থাপক সীমার মধ্যে কোনো বস্তুর পার্শ্ব বিকৃতি ও অনুদৈর্ঘ্য বিকৃতির অনুপাতকে পয়সনের অনুপাত বলে।
প্রশ্ন-৪. প্রবাহীর সান্দ্রতা কাকে বলে?
উত্তর : যে ধর্মের দরুন কোন প্রবাহীর বিভিন্ন স্তরের আপেক্ষিক গতিতে বাধার সৃষ্টি হয় তাকে ঐ প্রবাহীর সান্দ্রতা বলে।
প্রশ্ন-৫. মুক্তিবেগ কী?
উত্তর : সর্বাপেক্ষা কম যে বেগে কোনো বস্তুকে খাড়া উপরের দিকে নিক্ষেপ করলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসে না সেই বেগকে মুক্তিবেগ বলে।
প্রশ্ন-৬. উষ্ণতামিতিক পদার্থ কী?
উত্তর : যেসব পদার্থের উষ্ণতামিতিক ধর্ম ব্যবহার করে থার্মোমিটার তৈরি করা হয় তাদেরকে উষ্ণতামিতিক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন-৭. স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ কাকে বলে?
উত্তর : যে সংঘর্ষের ফলে বস্তুসমূহের মোট গতিশক্তি সংরক্ষিত থাকে, তাকে স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।
প্রশ্ন-৮. কোয়ার্ক কি?
উত্তর : কোয়ার্ক হলো পদার্থের মৌলিক কণা ও মৌলিক প্রয়োজনীয় উপাদান যা দ্বারা পদার্থ গঠিত।
প্রশ্ন-৯. এক্স-রে বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : দ্রুতিগতি সম্পন্ন ইলেকট্রন কোন ধাতুকে আঘাত করলে তা থেকে উচ্চ কম্পাংক ও ভেদন ক্ষমতাসম্পন্ন অজানা প্রকৃতির এক প্রকার বিকিরণ উৎপন্ন হয়, এ বিকিরণকে এক্স-রে বলে।
প্রশ্ন-১০. মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কি?
উত্তর : একক ভরের দুটি বস্তুকণা একক দূরত্ব থেকে যে বলে পরস্পরকে আকর্ষণ করে তার মানকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-১১. সলিনয়েড কী?
উত্তর : সলিনয়েড হলো কাছাকাছি অনেকগুলো প্যাঁচযুক্ত লম্বা বেলনাকার কয়েল বা তারকুণ্ডলী।
প্রশ্ন-১২. তড়িৎ দ্বিমেরু কী?
উত্তর : দুটি বিপরীতধর্মী কিন্তু সমমানের আধান খুব কাছাকাছি অবস্থান করলে এদেরকে একত্রে তড়িৎ দ্বিমেরু বলে।
প্রশ্ন-১৩. নীল তাপমাত্রা কি?
উত্তর : নীল তাপমাত্রা হচ্ছে এমন তাপমাত্রা যে তাপমাত্রায় কোন এন্টিফেরোম্যাগনেটিক পদার্থ প্যারাম্যাগনেটিক পদার্থে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন-১৪. কালিক পর্যায়ক্রম কী?
উত্তর : সময়ের সাথে কোনো কিছুর নিয়মিত পুনরাবৃত্তি ঘটাকে কালিক পর্যায়ক্রম বলে।
প্রশ্ন-১৫. দোলনকাল কি?
উত্তর : একটি পূর্ণ দোলন সম্পন্ন করতে কোনো একটি কম্পমান বস্তুর যে সময় লাগে তাকে তার দোলনকাল বলে।
প্রশ্ন-১৬. কর্মদক্ষতা কাকে বলে?
উত্তর : কোনো যন্ত্রের কর্তৃক কৃতকাজ ও সরবরাহকৃত শক্তির অনুপাত হচ্ছে ঐ যন্ত্রের কর্মদক্ষতা।
প্রশ্ন-১৭. সরাসরি প্রবাহ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : সরাসরি প্রবাহ বলতে তড়িৎবাহী কণার একমুখী প্রবাহকে বোঝায়। তড়িৎবাহী কণা যদি সবসময় একই দিকে প্রবাহিত হয় তবে তাকে সরাসরি প্রবাহ বলে।
প্রশ্ন-১৮. বিদ্যুৎ প্রবাহ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর : বিদ্যুৎ প্রবাহ দুই প্রকার। যথা :
১. সম বা একমুখী প্রবাহ (Direct Current)
২. পরিবর্তী বা দ্বিমুখী প্রবাহ (Alternating Current)।
প্রশ্ন-১৯. সরু প্রিজম কী?
উত্তর : যে সকল প্রিজমের প্রতিসারক কোণ 6°-এর চেয়ে বড় নয় তাদেরকে সরু প্রিজম বলে।
প্রশ্ন-২০. রেকটিফায়ারের দক্ষতা কাকে বলে?
উত্তর : কোনাে রেকটিফায়ার সার্কিটের ডিসি আউটপুট পাওয়ার এবং ইনপুট এসি পাওয়ারের অনুপাতকে রেকটিফায়ারের দক্ষতা বলে। একে η দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-২১. কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তর : মানুষের প্রেরিত যে সকল মহাশূন্য যান নির্দিষ্ট কক্ষপথে থেকে পৃথিবীকে পরিভ্রমণ করে, তাদেরকে কৃত্রিম উপগ্রহ বলে।
প্রশ্ন-২২. সরল ছন্দিত স্পন্দনের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর : সরল ছন্দিত স্পন্দনের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো–
১. এর গতি পর্যায় গতি।
২. একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এই গতি বিপরীতমুখী হয়।
৩. এর গতি একটি সরলরেখায় ঘটে।
৪. ত্বরণ বস্তুর সরণের সমানুপাতিক।
৫. ত্বরণ বস্তুর সরণের বিপরীতমুখী।
৬. ত্বরণ বস্তুর কণাটির মধ্য অবস্থান অভিমুখী।
প্রশ্ন-২৩. গামা রশ্মি কী?
উত্তর : গামা রশ্মি হচ্ছে এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ যা পারমাণবিক বিস্ফোরণ ও তেজস্ক্রিয়তার কারণে নির্গত হয়।
প্রশ্ন-২৪. পীড়ন কি?
উত্তর : বাহ্যিক বলের প্রভাবে কোনো বস্তুকে বিকৃত করা হলে বস্তুর ভিতর এক প্রকার বল সৃষ্টি হয় যা প্রযুক্ত বলের বিরুদ্ধে ক্রিয়া করে বস্তুকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায় তাকে পীড়ন বলে।