অধ্যায়-১ : বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া ও পরিমাপ, ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১. পরিমাপের একক কত প্রকার?

 

উত্তর : পরিমাপের একক দুই প্রকার। যথা- মৌলিক ও যৌগিক একক।

 

প্রশ্ন-২. বেশি দূরত্ব মাপার একক কী?

 

উত্তর : বেশি দূরত্ব মাপার একক কিলোমিটার।

 

প্রশ্ন-৩. মোল কোন ধরনের একক?

 

উত্তর : মোল একটি মৌলিক একক।

 

প্রশ্ন-৪. পুরুত্ব মাপার একক কী?

 

উত্তর : পুরুত্ব মাপার একক মিলিমিটার (মিমি)।

 

প্রশ্ন-৫. এক কুইন্টাল সমান কত কিলোগ্রাম?

 

উত্তর : এক কুইন্টাল সমান ১০০ কিলোগ্রাম।

 

প্রশ্ন-৬. তাপমাত্রার আন্তর্জাতিক একক কী?

 

উত্তর : তাপমাত্রার আন্তর্জাতিক একক কেলভিন।

 

প্রশ্ন-৭. আয়তনের একক কী?

 

উত্তর : এসআই পদ্ধতিতে আয়তনের একক হচ্ছে ঘনমিটার।

 

প্রশ্ন-৮. পরিমাপ কী?

 

উত্তর : কোনো কিছুর পরিমাণ নির্ণয় করাই হলো পরিমাপ।

 

প্রশ্ন-৯. পরিমাপের পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?

 

উত্তরঃ পরিমাপের পদ্ধতি তিনটি। যথা–

 

i. সিজিএস (CGS) পদ্ধতি।

 

ii. এমকেএস (MKS) পদ্ধতি।

 

iii. এফপিএস (FPS) পদ্ধতি।

 

প্রশ্ন-৯. সিসি কী?

 

উত্তর : সিসি বা ঘন সেন্টিমিটার হলো সিজিএস পদ্ধতিতে আয়তনের একক।

 

প্রশ্ন-১০. কিলোগ্রাম কী?

 

উত্তর : আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ভরের একক হলো কিলোগ্রাম। সংক্ষেপে এটি কেজি হিসেবে পরিচিত।

 

প্রশ্ন-১১. মোল কী?

 

উত্তর : এসআই পদ্ধতিতে পদার্থের পরিমাণের একক হচ্ছে মোল।

 

প্রশ্ন-১২. একটি ইট যে জায়গা দখল করে তাকে কী বলে?

 

উত্তর : আয়তন।

 

প্রশ্ন-১৩. আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে এসআই এককের সংখ্যা কয়টি?

 

উত্তর : আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে এসআই এককের সংখ্যা ৭টি।

 

প্রশ্ন-১৪. ভরের একক কোনটি?

 

উত্তর : ভরের একক কিলোগ্রাম।

 

প্রশ্ন-১৫. দৈর্ঘ্যের একক কী?

 

উত্তর : দৈর্ঘ্যের একক মিটার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬. এসআই পদ্ধতি বলতে কী বোঝ?

 

উত্তর : একই পরিমাপের জন্য বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন একক ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন— এমকেএস, এফপিএস, সিজিএস পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যার কথা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিকভাবে সকল রাশির জন্য কেবল একটি নির্দিষ্ট একক নির্ধারণ করা হয়েছে। এককের এই পদ্ধতিকে এসআই পদ্ধতি বলে।

 

প্রশ্ন-১৭. বিজ্ঞানের জ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ কেন?

 

উত্তর : বিজ্ঞান হলো প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান, যা পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা থেকে পাওয়া পরূক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা সমর্থিত এবং একটি বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি। এই জ্ঞান অর্জনের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যুক্তিযুক্তভাবে কোনো বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান অর্জন করতে পারি। তাই বিজ্ঞানের জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রশ্ন-১৭. সে.মি. কে কেন মৌলিক একক বলা হয়?

 

উত্তর : সে. মি. এককের সাহায্যে কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য সরাসরি পরিমাপ করা যায়। এক্ষেত্রে অন্য কোনো এককের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ সে.মি. একক হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এজন্য সে.মি. কে মৌলিক একক বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১৮. আয়তনের একককে যৌগিক একক বলা হয় কেন?

 

উত্তর : আয়তন পরিমাপ করার ক্ষেত্রে কেবল একটি একক দ্বারা একে প্রকাশ করা যায় না।

 

আমরা জানি, আয়তন = দৈর্ঘ্য x প্রস্থ x উচ্চতা।

 

এখানে, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতার এসআই একক হলো মিটার। ফলে আয়তনের একক হবে ঘনমিটার বা মিটার৩। যেহেতু তিনটি মৌলিক একক একত্রে মিলিয়ে আয়তনের একক পাওয়া যায়, তাই আয়তনের একক যৌগিক একক।

 

প্রশ্ন-১৯. মিটার স্কেলের সাহায্যে অসম বস্তুর আয়তন নির্ণয় সম্ভব নয় কেন?

 

উত্তর : বস্তুটি অসম হওয়ায় তার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা ইত্যাদি বের করা অসম্ভব। আর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা ছাড়া কোনো বস্তুর আয়তন নির্ণয় করা যায় না। এজন্য অসম বস্তুর আয়তন মিটার স্কেলের সাহায্যে বের করা সম্ভব নয়।

 

প্রশ্ন-২০। পরিমাপের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মূল পার্থক্য কোথায়?

 

উত্তর : পরিমাপের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রফল ও আয়তনের মূল পার্থক্য হলো এককের ব্যবহারে।

 

আমরা জানি, ক্ষেত্রফল = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ

 

আবার, আয়তন = দৈর্ঘ্য × প্রস্থ × উচ্চতা

 

সুতরাং, ক্ষেত্রফল পরিমাপ করতে দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের প্রয়োজন হয়, উচ্চতার প্রয়োজন হয় না কিন্তু আয়তন পরিমাপে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতার প্রয়োজন হয়। ক্ষেত্রফলকে উচ্চতা দ্বারা গুণ করে আয়তন এবং আয়তনকে উচ্চতা দ্বারা ভাগ করে ক্ষেত্রফল পাওয়া যায়।

 

ক্ষেত্রফলের একক বর্গএকক এবং আয়তনের একক ঘনএকক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার, যার দৈর্ঘ্য ১০ মির্টার। তার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য ১ মিটার এবং প্রস্থ ৫০ সে. মি.। ফারহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল সেই ঘরে রাখলেন।

ক. দৈর্ঘ্যের একক কী?

খ. পরিমাপের প্রয়োজন হয় কেন?

গ. ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ কত?

ঘ. টেবিল দুটি রাখার পর ঘরে কতটুকু জায়গা ফাঁকা থাকবে?

১ নং প্রশ্নের উত্তর

ক. দৈর্ঘ্যের আন্তর্জাতিক একক হলো মিটার।

খ. বাস্তবে অনেক কিছুই অনুমান করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যায় না। কোনো জিনিস কতটুকু দরকার তা কেবল পরিমাপ দ্বারাই জানা সম্ভব। যেমন— জীবন বাঁচানোর জন্য ঔষধ পরিমাণমতো তৈরি এবং সেবন না করলে বিপত্তি ঘটে। তাই বলা যায়, দৈনন্দিন কাজকর্ম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পরিমাপের প্রয়োজন।

গ. উদ্দীপকে দেওয়া আছে, ফারহানের পড়ার ঘরের ক্ষেত্রফল ৪০ বর্গমিটার এবং ঘরের দৈর্ঘ্য ১০ মিটার।

সুতরাং ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ,

= ঘরের ক্ষেত্রফল ÷ ঘরের দৈর্ঘ্য

= ৪০ বর্গমিটার ÷ ১০ মিটার

=(৪০ ÷ ১০) মিটার

= ৪ মিটার।

∴ ফারহানের পড়ার ঘরের প্রস্থ ৪ মিটার

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ফারহানের পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য ১ মিটার।

এবং প্রস্থ = ৫০ সে. মি. = (৫০/১০০) মিটার = ০.৫ মিটার।

∴ ফারহানের পড়ার টেবিলের ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্য x প্রস্থ)

= (১ × ০.৫) বর্গমিটার

= ০.৫ বর্গমিটার।

যেহেতু ফারহানের মা সমআকৃতির আরেকটি টেবিল ঘরে রেখেছেন, সেহেতু টেবিল দুটি কর্তৃক দখলকৃত মোট জায়গা = (০.৫ × ২) বর্গমিটার

= ১ বর্গমিটার।

সুতরাং ঘরে ফাঁকা জায়গা থাকবে = (৪০ – ১) বর্গমিটার

= ৩৯ বর্গমিটার।

অতএব, টেবিল দুটি রাখার পর ঘরে জায়গা ফাঁকা থাকবে ৩৯ বর্গমিটার।