প্রশ্ন-১. আমাদের দেহের চালক কোনটি?
উত্তর : মস্তিষ্ক।
প্রশ্ন-২. ঘাম তৈরি হয় কোথায়?
উত্তর : ঘর্মগ্রন্থিতে।
প্রশ্ন-৩. কয়টি পেশির সাহায্যে প্রতিটি চোখ অক্ষিকোটরে আটকে থাকে?
উত্তর : ছয়টি পেশির সাহায্যে প্রতিটি চোখ অক্ষিকোটরে আটকে থাকে।
প্রশ্ন-৪. পিনা কী?
উত্তর : মাংস ও কোমলাস্থি দিয়ে গঠিত কানের বাইরের অংশটি হলো পিনা।
প্রশ্ন-৫. আইরিশ কাকে বলে?
উত্তর : চোখের কর্নিয়ার পেছনের কালো পর্দাকে আইরিশ বলে।
প্রশ্ন-৬. নাসারন্ধ্র কাকে বলে?
উত্তর : নাকের যে ছিদ্র দিয়ে বাতাস ফুসফুসে ঢোকে তাকে নাসারন্ধ্র বলে।
প্রশ্ন-৭. অক্ষিগোলক কী কী নিয়ে গঠিত?
উত্তর : একটি অক্ষিগোলক তিনটি স্তর নিয়ে গঠিত। স্তরগুলো হলো- স্ক্লেরা, কোলয়েড এবং রেটিনা।
প্রশ্ন-৮. স্ক্লেরা কী? এর কাজ কী?
উত্তর : অক্ষিগোলকের বাইরের সাদা, শক্ত ও পাতলা স্তরটি হলো স্ক্লেরা। এটা চোখের আকৃতি রক্ষা করে। এটির ভেতর দিয়ে কোনো আলোকরশ্মি প্রবেশ করতে পারে না।
প্রশ্ন-৯. চোখের লেন্সের কাজ কী?
উত্তর : বাইরের পরিবেশ থেকে পাওয়া বস্তুর আকৃতির একটি ক্ষুদ্র ও উল্টো প্রতিবিম্ব রেটিনার উপর সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন-১০. চোখের রেটিনার কাজ কী?
উত্তর : রেটিনা চক্ষুগোলকে আলোকরশ্মি প্রবেশ, পুষ্টি সরবরাহ এবং চক্ষুগোলকের আকার বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন-১১. কর্নিয়া কী?
উত্তর : স্ক্লেরার সামনে চকচকে স্বচ্ছ অংশটিই হলো কর্নিয়া; যার মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করতে পারে।
প্রশ্ন-১২. স্ক্লেরার কাজ কী?
উত্তর : স্ক্লেরা চোখের আকৃতি রক্ষা করে।
প্রশ্ন-১৩. মানুষের চোখে কী ধরনের লেন্স থাকে
উত্তর : মানুষের চোখে দ্বি-উত্তল লেন্স থাকে।
প্রশ্ন-১৪. অক্ষিগোলকের সবচেয়ে ভেতরের স্তর কোনটি?
উত্তর : রেটিনা অক্ষিগোলকের সবচেয়ে ভেতরের স্তর।
প্রশ্ন-১৫. কানের অংশ কয়টি?
উত্তর : কানের তিনটি অংশ। যথাঃ বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ এবং অন্তঃকর্ণ।
প্রশ্ন-১৬. কোরয়েড কাকে বলে?
উত্তর : স্ক্লেরা স্তরের নিচের স্তরকে কোরয়েড বলে।
প্রশ্ন-১৭. কোরয়েড কোন ধরনের পদার্থের স্তর?
উত্তর : ঘন রঞ্জিত পদার্থের।
প্রশ্ন-১৮. চোখের কোন অংশে বন্ড রক্তনালি প্রবেশ করে?
উত্তর : কোরয়েড অংশে।
প্রশ্ন-১৯. ককলিয়া কাকে বলে?
উত্তর : অন্তঃকর্ণের শামুকের মতো দেখতে প্যাঁচানো নালিকার মতো অংশকে ককলিয়া বলে।
প্রশ্ন-২০. নাসারন্ধ্র কী?
উত্তর : নাকের যে ছিদ্র দিয়ে বাতাস দেহের ভেতর প্রবেশ করে তাই নাসারন্ধ্র।
প্রশ্ন-২১. মানবদেহে কয়টি সংবেদী অঙ্গ রয়েছে?
উত্তর : মানবদেহে পাঁচটি সংবেদী অঙ্গ রয়েছে।
প্রশ্ন-২২. লবণ বা চিনির কেমন স্বাদ তা কোন সংবেদী অঙ্গের সাহায্যে বুঝতে পারবে?
উত্তর : লবণ বা চিনির স্বাদ জিহ্বার মাধ্যমে বুঝতে পারব।
প্রশ্ন-২৩. হাতের চামড়ায় আলতো করে চিমটি কাটলে ব্যথার অনুভূতি কিসের মাধ্যমে জানতে পারবে?
উত্তর : হাতের চামড়ায় চিমটি কাটলে ব্যথা অনুভূত হবে। এটি ত্বকের মাধ্যমে জানা যায়।
প্রশ্ন-২৪. কনজাংটিভা কাকে বলে?
উত্তর : চোখের পাতা খুললেই চোখের যে অংশটুকু আমরা দেখতে পাই সে অংশটুকু একটা পাতলা পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকে, একে কনজাংটিভা বলে।
প্রশ্ন-২৫. স্যাকুলাস কি?
উত্তর : স্যাকুলাস হলো অন্তঃকর্ণের প্রকোষ্ঠ যার চেহারা অনেকটা শামুকের মত প্যাঁচানো নালিকার মতো।
প্রশ্ন-২৬. উপচর্ম কি?
উত্তর : উপচর্ম হচ্ছে ত্বকের বাইরের আবরণ। এই উপচর্ম থেকেই লোম, চুল ও নখের উৎপত্তি হয়। উপচর্মে লোমকূপও রয়েছে।
প্রশ্ন-২৭. অশ্রুর কাজ লেখো।
উত্তর : চোখে অবস্থিত অশ্রুগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরলকেই চোখের পানি বা অশ্রু বলে। অশ্রু সবসময় চোখকে ভেজা রাখে। বাইরের ধুলাবালি ও জীবাণু চোখে পড়লে তা ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন-২৮. মধ্যকর্ণের কাজ লিখ।
উত্তর : মধ্যকর্ণের কাজ:
i. শব্দ তরঙ্গ বা ঢেউ অন্তঃকর্ণে পৌছে দেয়।
ii. কর্ণপটহের বাইরের ও ভেতরের বায়ুর চাপ সমান রাখে।
প্রশ্ন-২৯. কানের যত্নে কী কী করতে হয়?
উত্তর : কানের যত্ন নেওয়ার জন্য যা করতে হবে, তা হলো—
i. নিয়মিত কান পরিষ্কার করা।
ii. গোসলের সময় কানে যেন পানি না ঢোকে সেদিকে সতর্ক থাকা।
iii. কানে বাইরের কোনো বস্তু বা পোকামাকড় ঢুকলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
iv. উচ্চ শব্দে গান না শোনা।
প্রশ্ন-৩০. জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয় কেন?
উত্তর : মুখ গহ্বরে অবস্থিত লম্বা পেশিবহুল অঙ্গটি হলো জিহ্বা। জিহ্বার উপর একটি আস্তরণ আছে, এতে স্বাদকোরক থাকে, যা জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে বিশেষ বিশেষ স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। যেমন, জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে মিষ্টি ও নোনতা, পাশের অংশ দিয়ে লবণ ও টক স্বাদ অনুভব হয়। জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক না থাকায় সেখানে কোনো স্বাদ অনুভব হয় না। এছাড়া জিহ্বার একেবারে পেছনের অংশে বড় আকারের কোরকগুলো তিতা বা তিক্ত স্বাদ অনুভব করতে সহায়তা করে। তাই জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয়।
প্রশ্ন-৩১. মস্তিষ্ককে দেহের চালক বলা হয় কেন?
উত্তর : আমরা চোখ দিয়ে দেখি, কান দিয়ে শুনি, জিহ্বা দিয়ে স্বাদ গ্রহণ করি, ত্বক দিয়ে গরম, ঠাণ্ডা, তাপ, চাপ অনুভব করি। এই সংবেদি অঙ্গগুলো বাইরের সব খবরা-খবর যোগাড় করে মস্তিষ্ককে জানায়। আর সেই অনুযায়ী মস্তিষ্ক আমাদের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রতঙ্গের কাজ পরিচালনা করে। তাই মস্তিষ্ককে দেহের চালক বলা হয়।
প্রশ্ন-৩২. ইউট্রিকুলাস বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ইউট্রিকুলাস অন্তঃকর্ণের উপর দিকের গোল প্রকোষ্ঠ। এটি তিনটি অর্ধবৃত্তাকার নালি দ্বারা গঠিত। এদের ভেতরে আছে খুব সূক্ষ্ম লোমের মতো স্নায়ু ও রস। নালির ভেতরের এ রস যখন নড়ে বা আন্দোলিত হয়, তখনই স্নায়ুগুলো উদ্দীপ্ত হয় এবং সে উদ্দীপনা মস্তিষ্কে পৌঁছায়।
প্রশ্ন-৩৩. চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গেলে কী ঘটবে?
উত্তর : চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গেলে বাইরের পরিবেশ থেকে পাওয়া বস্তুর কোন প্রতিবিম্ব রেটিনার ওপর তৈরি হবে না। ফলে কোনো দৃষ্টি উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ না হওয়ায় আমরা কোনো কিছু দেখতে পাব না।
প্রশ্ন-৩৪. চোখকে ছোট ক্যামেরা বলা হয় কেন?
উত্তর : আমরা চোখ দিয়ে সবকিছু দেখতে পাই। চোখ প্রকৃতপক্ষে চামড়া বা ত্বকের তৈরি। চামড়ার কোষগুলো চোখের কাছে এসে সামনে স্বচ্ছ কিন্তু পেছনে কালো হয়েছে ক্যামেরার মতো। তাই আমাদের চোখকে ছোট ক্যামেরার মতো বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৫. রেটিনা আলোকসংবেদি স্তর কেন?
উত্তর : রেটিনা রড ও কোন দুই ধরনের কোষ দ্বারা গঠিত। এগুলো আলোকসংবেদি কোষ। আলোকসংবেদি কোষ দ্বারা গঠিত বলেই রেটিনাকে আলোকসংবেদি স্তর বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৬. আমরা কীভাবে দেখতে পাই?
উত্তর : যে বস্তুর ওপর আলো পড়েছে সেই বস্তু থেকে আলোকরশ্মি চোখের পিউপিলের ভেতর দিয়ে লেন্সের মধ্য দিয়ে রেটিনার উপর ক্ষুদ্র ও উল্টো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে। আলোর এই উদ্দীপনা যখন অপটিক স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কে পৌছায় তখন আমরা বস্তুকে স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাই।
প্রশ্ন-৩৭. আমরা শুনতে পাই কেন?
উত্তর : কোথাও কোনো শব্দ হলে বায়ুতে যে তরঙ্গ সৃষ্টি হয় তা পিনা দিয়ে কর্ণকুহরে প্রবেশ করে কর্ণপটহে কম্পন সৃষ্টি করে। এই শব্দ তরঙ্গ মধ্যকর্ণে তীব্রতর হওয়ার ফলে অন্তঃকর্ণের তরলের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করে এবং স্নায়ু কোষগুলোয় উত্তেজনা বা উদ্দীপনা যোগায়, যা মস্তিষ্কে শ্রবণ স্নায়ুর সাহায্যে পৌছায়। তাই আমরা শুনতে পাই।
প্রশ্ন-৩৮. কীভাবে কোনো বস্তুর ঘ্রাণ অনুভব করা যায়?
উত্তর : আমাদের নাসাপথে অসংখ্য ঘ্রাণকোষ থাকে, যেগুলো এক বিশেষ স্নায়ুর সাহায্যে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে। যখন কোনো গন্ধযুক্ত বস্তু থেকে ঘ্রাণ নির্গত হয়। তখন তা ঘ্রাণ কোষগুলোর মাঝে উদ্দীপনা জাগায় এবং মস্তিষ্কে অনুভূতি পাঠায়। ফলে কোনো বস্তুর ঘ্রাণ অনুভব করা যায়।
প্রশ্ন-৩৯. জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্রিয় বলা হয় কেন?
উত্তর : জিহ্বার উপর একটি আস্তরণ আছে। এতে স্বাদকোরক থাকে, যা জিহ্বার সামনে, পেছনে, পাশে বিশেষ বিশেষ স্বাদ গ্রহণে সাহায্য করে। জিহ্বার মাঝখানে কোনো স্বাদকোরক না থাকায় সেখানে কোনো স্বাদ অনুভব হয় না। স্বাদকোরকের উপস্থিতিতে স্বাদ অনুভব করা যায় বলেই জিহ্বাকে স্বাদ ইন্দ্ৰিয় বলা হয়।
প্রশ্ন-৪০. ত্বকের যত্ন না নিলে কী হয়?
উত্তর : ত্বক আমাদের দেহের বাইরের আবরণ তৈরি করে। ত্বকের যত্ন না নিলে ত্বকে বিভিন্ন সংক্রামক জাতীয় রোগ হয়। এছাড়া চুলকানি, খুশকি, খোসপাঁচড়া, দাদ ইত্যাদির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে।