প্রশ্ন-১। সিওডি (COD) এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তরঃ COD এর পূর্ণরূপ হচ্ছে- Chemical Oxygen Demand.
প্রশ্ন-২। কাপড় কাঁচা সোডা বা সোডা অ্যাস কীভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেটকে উত্তাপে বিয়োজিত করলে সোডা অ্যাস বা কাপড় কাঁচা সোডা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন-৩। বিক্রিয়া সংঘটিত হয় কেন?
উত্তরঃ সকল পদার্থ তার স্থিতিশীল অবস্থায় থাকতে চায়। মৌলসমূহ তার ব্যতিক্রম নয়। মৌলসমূহের সর্ববহিঃস্থ শক্তিস্তরে অষ্টক পূর্ণ হলে মৌলটি রাসায়নিকভাবে স্থিতিশীল হয়। এই স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্য মৌলসমূহ একে অপরের সাথে ইলেকট্রন আদান-প্রদান বা শেয়ারের মাধ্যমে অষ্টক পূর্ণ করে। মূলত স্থিতিশীলতা অর্জন করার জন্যই মৌলসমূহ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
প্রশ্ন-৪। বিযোজন ও দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ বিযোজন ও দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
বিযোজন বিক্রিয়ায় যৌগ সরল উপাদানে বিভক্ত হয়, কিন্তু কোন অধঃক্ষেপ পড়ে না। অপরদিকে, দ্বিবিযোজন বিক্রিয়ায় দুটি যৌগের পরস্পরের মধ্যে তাদের উপাদান পরমাণু বা মূলক বিনিময় করে এবং অধঃক্ষেপ উৎপন্ন করে।
বিযোজন বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য তাপ প্রয়োগ অপরিহার্য। কিন্তু, দ্বিবিযোজন বিক্রিয়া সংগঠনের জন্য তাপ প্রয়োগ অপরিহার্য নয়।
প্রশ্ন-৫। বিক্রিয়া সংগঠনের উপায় কি?
উত্তরঃ রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠনের উপায়গুলো নিম্নরূপঃ
সংস্পর্শ,
দ্রবণ,
তাপ,
আলো,
বিদ্যুৎ প্রবাহ,
চাপ ও আঘাত,
শব্দ কম্পন।
তবে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত করার প্রধান শর্ত হল- বিক্রিয়কসমূহকে পরস্পরের সংস্পর্শে আসতে হবে।
প্রশ্ন-৬। অক্সিজেন শব্দের অর্থ কি?
উত্তরঃ অক্সি শব্দের অর্থ অম্ল বা এসিড এবং জেন শব্দের অর্থ উৎপাদনকারী। অর্থাৎ অক্সিজেন শব্দের অর্থ দাঁড়ায় অম্ল উৎপাদনকারী।
প্রশ্ন-৭। ক্রুসিবল কি?
উত্তরঃ ক্রুসিবল চীনামাটির তৈরি একটি ঢাকনাযুক্ত খাড়া বাটি বিশেষ। উচ্চ তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থকে শুষ্ক করার জন্য ক্রুসিবল ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৮। উলফ বোতল কি?
উত্তরঃ উলফ বোতল একটি কাচের মোটা বোতল যার দুটি মুখ আছে। গ্যাস প্রস্তুত করতে এটি ব্যবহার করা হয়। আবিষ্কারকের নাম অনুসারে এই বোতলের নাম উলফ বোতল রাখা হয়েছে।
প্রশ্ন-৯। তাপ রাসায়নিক সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় তাপ শক্তি উৎপাদিত বা শোষিত হলে যে সমীকরণের সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তাকে ঐ সমীকরণের তাপ রাসায়নিক সমীকরণ বলে।
প্রশ্ন-১০। রাসায়নিক গতিবিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ রসায়নের যে শাখায়, রাসায়নিক বিক্রিয়ার বেগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাকে রাসায়নিক গতিবিদ্যা বলে। বিভিন্ন বিক্রিয়া সম্পন্ন হতে বিভিন্ন সময় প্রয়োজন হয়, যা নির্ভর করে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের বৈশিষ্ট্যে এবং বিক্রিয়ার শর্তের উপর। কোন কোন বিক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত গতিসম্পন্ন হয়, আবার কোন কোন বিক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিসম্পন্ন হয়।
প্রশ্ন-১১। বিজারক কি?
উত্তরঃ যেসব রাসায়নিক পদার্থ অন্য পদার্থকে বিজারিত করে এবং সেই সাথে নিজে জারিত হয় সেই পদার্থকে বিজারক বলে। জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং উৎপাদে ধনাত্মক আধানের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বিজারক পদার্থগুলি হচ্ছে সকল ধাতু, হাইড্রোজেন সালফাইড ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১২। বস্তু কাকে বলে?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয় রাসায়নিক সংযুতি ও ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থকে বস্তু বলে। যেমনঃ বিশুদ্ধ সোনা, বিশুদ্ধ পানি, বিশুদ্ধ লোহা ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৩। ট্রিফয়েল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে আন্তর্জাতিক চিহ্নের সাহায্যে অতিরিক্ত ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মিকে বোঝায় তাকে ট্রিফয়েল বলে।
প্রশ্ন-১৪। ইলেকট্রোলাইট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব যৌগ বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবহন করে এবং সেই সাথে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে তাদেরকে ইলেকট্রোলাইট বলে।
প্রশ্ন-১৫। অত্যানুকুল চাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে চাপে প্রয়োগে বিক্রিয়ার গতি বজায় রেখে সর্বোচ্চ পরিমাণে উৎপাদ পাওয়া যায়, সে চাপকে অত্যানুকুল চাপ বলে। যেমনঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে অত্যানুকুল চাপ হচ্ছে 200 atm. এই চাপে অ্যামোনিয়ার উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।
প্রশ্ন-১৬। অত্যানুকুল তাপমাত্রা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তাপমাত্রায় বিক্রিয়ার গতি বজায় রেখে সর্বোচ্চ পরিমাণ উৎপাদ পাওয়া সম্ভব, সে তাপমাত্রাকে অত্যানুকুল তাপমাত্রা বলে। যেমনঃ অ্যামোনিয়া উৎপাদনে অত্যানুকুল তাপমাত্রা হচ্ছে 450 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে 550 ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় অ্যামোনিয়ার উৎপাদন সর্বোচ্চ হয়।
প্রশ্ন-১৭। জারণ বিজারণের আধুনিক সংজ্ঞা কি?
উত্তরঃ যে বিক্রিয়ায় কোন রাসায়নিক সত্তা (অণু, পরমাণু, মূলক বা আয়ন) ইলেকট্রন প্রদান করে তাকে জারণ এবং যে বিক্রিয়ায় কোন রাসায়নিক সত্তা ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বলে। এটিই জারণ বিজারণের আধুনিক সংজ্ঞা।
প্রশ্ন-১৮। জারক ও বিজারক কাকে বলে?
উত্তরঃ জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে জারক এবং যে বিক্রিয়ক ইলেকট্রন বর্জন করে তাকে বিজারক বলে।
প্রশ্ন-১৯। তড়িৎ রাসায়নিক তুল্য ভর কাকে বলে?
উত্তরঃ তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় এক কুলম্ব তড়িৎ প্রবাহের ফলে কোন বস্তুর যে পরিমাণ অ্যানোড তড়িৎদ্বার হতে দ্রবীভূত হয় অথবা ক্যাথোড তড়িৎদ্বারে সঞ্চিত হয় তাকে ঐ বস্তুর তড়িৎ রাসায়নিক তুল্য ভর বলে।
প্রশ্ন-২০। জ্যাম তৈরির উপযোগী ফল কি কি?
উত্তরঃ আমাদের দেশে পাওয়া প্রায় সব ধরনের ফল থেকেই জ্যাম তৈরি করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফলগুলো হচ্ছে– আম, জাম, কাঁঠাল, আনারস, পেঁপে, তাল, বেল, লিচু, টমেটো ও কলা। গাঁজর, আলু, বাঙ্গি ও তরমুজ থেকেও জ্যাম তৈরি করা সম্ভব। জ্যাম উৎপাদনে এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এককভাবে এবং কখনও কখনও যৌথভাবে (যেমন- মিক্সড ফ্রুট জ্যাম) ব্যবহৃত হয়।