গণিত প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৫)

প্রশ্ন-১। বৃত্ত কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন সমতলে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট স্থির বিন্দু হতে সর্বদা সমান দূরত্ব বজায় রেখে অন্য একটি বিন্দু ঘুরে আসলে যে বক্ররেখা উৎপন্ন হয়, তাকে বৃত্ত (Circle) বলে।

 

প্রশ্ন-২। বৃত্তের ব্যাস কাকে বলে?

উত্তরঃ বৃত্তের এক প্রান্ত থেকে কেন্দ্রের ভিতর দিয়ে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত রেখাকে বৃত্তের ব্যাস বলে। এটি বৃত্তের কেন্দ্রগামী।

 

প্রশ্ন-৩। বৃত্তস্থ কোণ কি?

উত্তরঃ একটি কোণের শীর্ষবিন্দু কোনো বৃত্তের একটি বিন্দু হলে এবং কোণটির প্রত্যক বাহুতে শীর্ষবিন্দু ছাড়াও বৃত্তের একটি বিন্দু থাকলে কোণটিকে একটি বৃত্তস্থ কোণ বা বৃত্তে অন্তর্লিখিত কোণ বলা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। গুণিতক কোণ কি?

উত্তরঃ কোণো কোণকে পূর্ণ সংখ্যা দ্বারা গুণ করলে যে কোন পাওয়া যায় সেই কোণকে পূর্বের কোণের গুণিতক কোণ বলে। উদাহরণ : A কোণের গুণিতক কোণগুলি হল 2A, 3A, 4A ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-৫। যৌগিক কোণ কাকে বলে?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক কোণের সমষ্টি অথবা অন্তরফলকে যৌগিক কোণ বলে। যেমন, A + B, A – B, A + B – C, A – B – C ইত্যাদি যৌগিক কোণ।

 

প্রশ্ন-৬। সমান্তরাল বল কাকে বলে?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক বলের ক্রিয়ারেখাগুলি সমান্তরাল হলে বলগুলিকে সমান্তরাল বল বলে।

 

প্রশ্ন-৭। সদৃশ সমান্তরাল বল কাকে বলে?

উত্তরঃ দুইটি সমান্তরাল বলের দিক একই হলে বল দুইটিকে সদৃশ সমান্তরাল বল বলে।

 

প্রশ্ন-৮। অসদৃশ সমান্তরাল বল কাকে বলে?

উত্তরঃ দুইটি সমান্তরাল বলের দিক বিপরীতমুখী হলে বল দুইটিকে অসদৃশ সমান্তরাল বল বলে।

 

প্রশ্ন-৯। প্রতিস্থাপন পদ্ধতিতে সমাধান নির্ণয় করার ধাপগুলো লিখ।

উত্তরঃ প্রতিস্থাপন পদ্ধতিতে সমাধান নির্ণয় করার ধাপগুলো নিম্নরূপঃ

(১) যেকোনো সমীকরণ থেকে চলক দুইটির একটির মান অপরটির মাধ্যমে প্রকাশ করা।

(২) অপর সমীকরণে প্রাপ্ত চলকের মানটি স্থাপন করে এক চলক বিশিষ্ট সমীকরণ সমাধান কর।

(৩) নির্ণীত সমাধান প্রদত্ত সমীকরণ দুইটির যেকোনো একটিতে বসিয়ে অপর চলকের মান নির্ণয় করা।

 

প্রশ্ন-১০। সরল সহসমীকরণ বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ চলকের মান দ্বারা একাধিক সমীকরণ সিদ্ধ হলে, সমীকরণসমূহকে একত্রে সহসমীকরণ বলা হয় এবং চলক একঘাত বিশিষ্ট হলে তাকে সরল সহসমীকরণ বলে।

 

প্রশ্ন-১১। মুণকে কাকে বলে?

উত্তরঃ এক মণ মাল বহনে দক্ষ ব্যক্তি মুণকে বলে।

 

প্রশ্ন-১২। ধূলদন্তী কে?

উত্তরঃ ধূলদন্তী হলো সে, যে হিসাবী, গণিতজ্ঞ।

 

প্রশ্ন-১৩। হাতের পরিমাণ কত আঙ্গুল?

উত্তরঃ হাতের পরিমাণ ২৪ আঙ্গুল।

 

প্রশ্ন-১৪। রতি কি?

উত্তরঃ রতি হলো রক্তাবর্ণ কুঁচ। রতিকে লালও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১৫। দাধিকালি কী?

উত্তরঃ দাধিকালি হলো শুভঙ্করী নিয়মে দইয়ের পরিমাণ নির্ণয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। কত সেরে এক মণ?
উত্তরঃ বর্তমানে ৪০ সেরে এক মণ।

প্রশ্ন-১৭। আসল কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্যবসায়িক কাজের জন্য প্রদত্ত নগদ অর্থকে মূলধন বা আসল বলে।

প্রশ্ন-১৮। বিয়োজন বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ বিয়োজন বলতে বাদ দেয়া বুঝায়। সমান চিহ্নের উভয় পাশ থেকে কোনো কিছু বিয়োগ করা হলে তবে গনিতের ভাষায় সেটি বিয়োজন।

প্রশ্ন-১৯। গ.সা.গু. ও ল.সা.গু. কাকে বলে?
উত্তরঃ কয়েকটি সংখ্যার সাধারণ গুণনীয়ক বা উৎপাদকগুলির মধ্যে যেটি গরিষ্ঠ (বড়), তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির গ.সা.গু. বা গরিষ্ঠ সাধারণ গুণনীয়ক বলে।
অপরদিকে, দুই বা ততোধিক সংখ্যার সাধারণ গুণিতকগুলির মধ্যে যে গুণিতকটি ক্ষুদ্রতম, তাকে প্রদত্ত সংখ্যাগুলির ল.সা.গু. বা লঘিষ্ঠ সাধারণ গুণিতক বলে।

প্রশ্ন-২০। সমদ্বিবাহু ট্রাপিজিয়াম কাকে বলে?
উত্তরঃ যে ট্রাপিজিয়ামের একজোড়া বিপরীত বাহু পরস্পর সমান তাকে সমদ্বিবাহু ট্রাপিজিয়াম বলে। অন্যভাবে বলা যায়, ট্রাপিজিয়ামের দুইটি কর্ণ সমান হলে তাকে সমদ্বিবাহু ট্রাপিজিয়াম বলে।