প্রশ্ন-১। কোষ কি?
উত্তরঃ কোষ হলো জীবের মৌলিক গঠনগত ও কার্যগত একক। অধিকাংশ জীবের দেহ অসংখ্য কোষ দিয়ে গঠিত। যেসব কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু নেই তাদেরকে আদিকোষ (Prokaryotic cell) এবং যেসব কোষে এগুলো রয়েছে তাদের প্রকৃত কোষ (Eukaryotic cell) বলে।
প্রশ্ন-২। কোষরস কাকে বলে?
উত্তরঃ কোষস্থিত পানি ও দ্রবীভূত খনিজ লবণকে একসাথে কোষরস বলে।
প্রশ্ন-৩। কোষ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ কি?
উত্তরঃ কোষ শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ সেল (cell)।
প্রশ্ন-৪। সেল শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন?
উত্তরঃ সেল শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন বিজ্ঞানী রবার্ট হুক।
প্রশ্ন-৫। সেল শব্দটির অর্থ কি?
উত্তরঃ লাতিন সেল শব্দটি সেলুলা থেকে এসেছে, যার অর্থ একটি ছোট্ট কক্ষ।
প্রশ্ন-৬। রবার্ট হুক কোষের নাম সেল দেন কেন ?
উত্তরঃ রবার্ট হুক কোষের সাথে ধর্মীয় সাধু-সন্ন্যাসীদের ঘরের তুলনা করেছিলেন। এ থেকেই জীবের ক্ষুদ্রতম গাঠনিক ও কার্যকরী এককের নাম দিয়ে দেন সেল।
প্রশ্ন-৭। কোষ তত্ত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ কোষের গঠন ও কাজের উপর ভিত্তি করে কোষ সম্বন্ধে যে মতবাদ বা তত্ত্ব তৈরী হয়, তাকে কোষ তত্ত্ব বলে।
প্রশ্ন-৮। কে কে কোষ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ ১৮৩৯ সালে বিজ্ঞানী Matthias Jakob Schleiden এবং Theodor Schwann কোষ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন-৯। নিউক্লিয়াসের ধরনের উপর ভিত্তি করে কোষ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের ধরনের উপর ভিত্তি করে কোষ প্রধানত দুই প্রকার: আদি কোষ এবং প্রকৃত কোষ। আদি কোষ অনেকটা স্বাধীন, কিন্তু প্রকৃত কোষ বহুকোষী জীবের মধ্যে থেকে অন্যের সাথে মিলে কাজ করে।
প্রশ্ন-১০। প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃ সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিহীন এবং পর্দাবিহীন কোষ অঙ্গাণু দ্বারা গঠিত কোষকে প্রোক্যারিওটিক কোষ বলে। যেমন- নীলাভ সবুজ শৈবাল, ব্যাকটেরিয়া, মাইকোপ্লাজমা।
প্রশ্ন-১১। ইউক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃ সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত এবং পর্দাঘেরা কোষ অঙ্গাণু দ্বারা গঠিত কোষকে ইউক্যারিওটিক কোষ বলে।
প্রশ্ন-১২। মেসোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে?
উত্তরঃ সুগঠিত নিউক্লিয়াস যুক্ত এবং উভয় কোষের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন কোষকে মেসোক্যারিওটিক কোষ বলে। উদাহরণ পিরিডিনিয়াম, জিমনোডিনিয়াম।
প্রশ্ন-১৩। কোন ধরনের কোষ সাধারণত মৃত হয়?
উত্তরঃ যেসব কোষে কোষকেন্দ্র থাকে না, সেগুলি সাধারণত মৃত হয়। যেমন- উদ্ভিদের জাইলেম কলার কোষসমূহ।
প্রশ্ন-১৪। কিভাবে কোষের জন্য ব্যবহারোপযোগী শক্তি নির্গত হয়?
উত্তরঃ মাইটোকন্ড্রিয়নের ভেতরে কোষীয় শ্বসন প্রক্রিয়ার কিছু বিক্রিয়া সংঘটিত হয়, আর এর ফলেই কোষের জন্য ব্যবহারোপযোগী শক্তি নির্গত হয়।
প্রশ্ন-১৫। কিসের উপর ভিত্তি করে আদি কোষের সাথে প্রকৃত কোষের পার্থক্য করা হয়?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের গঠনের উপর ভিত্তি করে আদি কোষের সাথে প্রকৃত কোষের পার্থক্য করা হয়। বিশেষত নিউক্লীয় ঝিল্লি আছে কি নেই, তার উপর ভিত্তি করে।
শারীরবৃত্তীয় কাজের ভিত্তিতে কোষ কত প্রকার?
উত্তরঃ শারীরবৃত্তীয় কাজের ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার। যথা : ১। দেহ কোষ (Somatic cell), ২। জনন কোষ (Reproductive cell)।
নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ কত প্রকার?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের গঠনের ভিত্তিতে কোষ দুই প্রকার। যথা: ১। আদি কোষ (Prokaryotic cell), ২। প্রকৃত কোষ (Eukaryotic cell)।