কাঞ্চনমালা আর কাঁকনমালা গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলা

প্রশ্ন-১। রাজপুত্র কোথায় বসে রাখাল বন্ধুর বাঁশি শুনত?

উত্তর : রাজপুত্র আর রাখাল ছেলে দুই বন্ধু। ওরা একে–অন্যকে খুব ভালোবাসে। রাখাল ছেলে মাঠে গরু চরায়, রাজপুত্র গাছতলায় বসে তার জন্য অপেক্ষা করে। নিঝুম দুপুরে রাখাল ওই গাছতলায় আসে। বাঁশি বাজায়। রাজপুত্র সেই গাছতলায় বসে তাঁর বন্ধু রাখালের বাঁশি শুনত।

 

প্রশ্ন-২। রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায় কেন?

উত্তর : রাজপুত্র একদিন রাজা হয়। এরপর রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায়। কারণ, লোকলস্কর আর সৈন্যসামন্তে সব সময় মুখর থাকত রাজপুরী। রাজপুরী আলো করে থাকে রানি কাঞ্চনমালা। চারদিকে সুখ আর সুখ। এত সুখের মধ্যে রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কথা ভুলে যায়।

 

প্রশ্ন-৩। রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তার এই দশা?

উত্তর : রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কাছে একদিন প্রতিজ্ঞা করেছিল, বড় হয়ে রাজা হলে বন্ধুকে মন্ত্রী বানাবে। কিন্তু রাজপুত্র রাজা হওয়ার পর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরা জীবনে তার প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যায়। রাখাল বন্ধু শত চেষ্টা করেও গরিব হওয়ার কারণে বন্ধু রাজার দেখা পায় না। রক্ষীরা গরিব রাখালকে রাজপ্রসাদের ভেতরে ঢুকতে দেয় না। মনভরা কষ্ট নিয়ে সারা দিন প্রাসাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সে। দিন শেষে মনে কষ্ট নিয়ে দুঃখী রাখাল চলে যায়। এরপর হঠাৎ একদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে জাগার পর রাজা দেখে যে তার সারা শরীরে সুচ গেঁথে আছে। তখন তিনি মনে করলেন, রাখাল বন্ধুর সাথে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের অপরাধেই তার এই দশা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। তোমার মা বাড়িতে কী ধরনের পিঠা বানায়– লেখো।
উত্তর : আমার মা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানায়। মায়ের তৈরি এই পিঠাগুলো হলো ভাপা, পাটিসাপটা, চিতই, চন্দ্রপুলি, রসে ভেজা পিঠা।

প্রশ্ন-৫। অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?
উত্তর : অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে হয়তো রাজা আর কখনো সুস্থ হয়ে উঠত না। রানি কাঞ্চনমালাকেও সারা জীবন দাসী হয়ে থাকতে হতো। অচেনা লোকটির মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব সুচ নকল রানির চোখেমুখে বিঁধে যায়। রাজা সুস্থ হয়ে ওঠেন। কাঞ্চনমালার দুঃখের দিনও শেষ হয়।

প্রশ্ন-৬। তুমি কি মনে করো অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেল?
উত্তর : অচেনা লোকটির মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব সুচ নকল রানির চোখেমুখে বিঁধে যায়। লোকটা যদি রাজার প্রাণ রক্ষায় এগিয়ে না আসত, তাহলে রাজা হয়তো শেষ পর্যন্ত মারা যেত। আমি মনে করি, অচেনা লোকটির কারণেই রাজার প্রাণ রক্ষা পেয়েছে।