রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৭)

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। গ্যাস জার কাকে বলে?

উত্তরঃ পুরু কাঁচের তৈরি উপর-নীচ সমান ব্যাস বিশিষ্ট একমুখ বদ্ধ যন্ত্রকে গ্যাস জার বলে। পরীক্ষাগারে গ্যাস সংগ্রহ করতে গ্যাস জার ব্যবহার করা হয়।

 

প্রশ্ন-২। ত্রিপদী স্ট্যান্ড কি?

উত্তরঃ ত্রিপদী স্ট্যান্ড হচ্ছে লোহার তৈরি তিন পা বিশিষ্ট স্ট্যান্ড, যার উপর তারজালি রেখে কোন পাত্র বসানো যায় এবং প্রয়োজনে নিচ দিয়ে বার্নারের সাহায্যে তাপ দেওয়া যায়।

 

প্রশ্ন-৩। অর্থো হাইড্রোজেন কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো হাইড্রোজেনের অণুতে অবস্থিত প্রোটনদ্বয়ের ঘূর্ণন যদি একই দিকে হয়, তবে তখন তাকে অর্থো-হাইড্রোজেন বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। বিক্রিয়ার অর্ধায়ু কাকে বলে?

উত্তরঃ একটি বিক্রিয়া শুরু হওয়ার যত সময় পরে কোনো বিক্রিয়ার ঠিক অর্ধেক পরিমাণ বিক্রিয়ক নিঃশেষিত হয় (অর্থাৎ বাকি অর্ধেক অবশিষ্ট থাকে) তাকে বিক্রিয়ার অর্ধায়ু বলে।

 

প্রশ্ন-৫। সাম্যাঙ্ক কি?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট উষ্ণতায় কোনো উভমুখী বিক্রিয়ার উৎপাদ ও বিক্রিয়কসমূহের সক্রিয় ভরের অনুপাতকে ঐ বিক্রিয়ার সাম্যাঙ্ক বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৬। আয়োডিমিতিক ট্রাইট্রেশন কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে কোনো ধাতব আয়ন (যেমন- Cu2+) এর পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতিকে আয়োডিমিতিক ট্রাইট্রেশন বলে।

 

প্রশ্ন-৭। ‘হার্ডি শূলজে সূত্র’ কি?

উত্তরঃ হার্ডি শূলজে সূত্রটি হলো কোনো তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের কোয়াগুলেশন করার ক্ষমতা আয়নের চার্জ বা যোজ্যতার সাথে সমানুপাতিক।

 

প্রশ্ন-৮। কয়লা ব্যবহারে প্রধান সমস্যা কী?

উত্তরঃ বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বয়লারে স্টীম উৎপাদনে কয়লাকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে প্রচুর পরিমাণে ছাই (ash) উৎপন্ন হয় যাতে CaO থাকে। নদীর পানিতে বর্জ্য হিসেবে পরিত্যক্ত উক্ত CaO পানির সাথে বিক্রিয়ায় Ca(OH)2 এ পরিণত হয়। বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে বা নদীর পানিতে মিশে যাওয়ায় এ ধরনের কয়লা বর্জ্য নদীর ক্ষারকত্ব বৃদ্ধিসহ নদীর ভারসাম্য নষ্ট করে।

 

প্রশ্ন-৯। বিয়ার ল্যাম্বার্ট সূত্রটি লেখ।

উত্তরঃ বিয়ার-ল্যাম্বার্ট সূত্রটি হলো- কোনো স্বচ্ছ সেলে রাখা দ্রবণের মধ্যদিয়ে একবর্ণী আলোক তরঙ্গ প্রবাহিত করলে সেলের (স্বচ্ছ মাধ্যম) পুরুত্ব ও দ্রবণের ঘনমাত্রার সাথে আলোকের তীব্রতা হ্রাসের হার আলোকের তীব্রতার সমানুপাতিক হয়।

 

প্রশ্ন-১০। সার বলতে কী বুঝ? সারের উপাদান কি কি?

উত্তরঃ সার হল প্রাকৃতিক অথবা কৃত্রিমভাবে তৈরি করা এক ধরনের উপাদান যা মাটিতে কিংবা উদ্ভিদের টিস্যুতে প্রয়োগ করা হয় যাতে উদ্ভিদে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানের সরবরাহ নিশ্চিত হয়। সারের প্রধান উপাদানগুলো হচ্ছে– নাইট্রোজেন, সালফার, ফসফরাস, জিংক ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-১১। ক্ষার কাকে বলে?

উত্তরঃ ধাতু বা ধাতুর মতো ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের হাইড্রোক্সোইড যৌগ যা পানিতে দ্রবণীয় তাদেরকে ক্ষার বলে।

 

প্রশ্ন-১২। রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন রাসায়নিক সমীকরণ হতে সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া সম্পর্কে যা কিছু জানা যায় না, তাকে রাসায়নিক সমীকরণের সীমাবদ্ধতা বলে।

 

প্রশ্ন-১৩। অণু ধারণার প্রবর্তক কে?

উত্তরঃ অণু ধারণার প্রবর্তক হচ্ছেন অ্যাভোগেড্রো।

 

প্রশ্ন-১৪। অশর্করা বা নন সুগার কাকে বলে?

উত্তরঃ অদানাদার, অদ্রবণীয় এবং স্বাদহীন পলিস্যাকারাইডকে অশর্করা বা নন সুগার বলে। যেমনঃ স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-১৫। ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় মনােমার অণুসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত হবার সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণু যেমন: CO2, H2O, CH₃OH ইত্যাদি অপসারণ করে সেই পলিমারকরণ বিক্রিয়াকে ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়া বলে। ঘনীভবন পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় নাইলন 6 : 6 পলিমার তৈরি হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। ভর ক্রিয়া সূত্রটি লেখো।
উত্তরঃ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একটি বিক্রিয়ার গতিবেগ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি বিক্রিয়কের সক্রিয় ভরের (সক্রিয় ভর বলতে গ্যাসের ক্ষেত্রে আংশিক চাপ এবং তরলের ক্ষেত্রে মোলার ঘনমাত্রা বুঝায়) সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-১৭। পলির বর্জন নীতি কী?
উত্তরঃ একই পরমাণুতে যেকোনো দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনো একই হতে পারে না।

প্রশ্ন-১৮। বেনজিনের সমগোত্রক কাকে বলে?
উত্তরঃ বেনজিন অণু (C₆H₆) থেকে এক বা একাধিক H-পরমাণু সমসংখ্যক অ্যালকাইল মূলক দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে এক শ্রেণির অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন উৎপন্ন হয়, তাদেরকে বেনজিনের সমগোত্রক বলে।

প্রশ্ন-১৯। রেডন এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় গবেষণায় এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে রেডন ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন-২০। স্বতঃ জারণ-বিজারণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কখনও কখনও জারক বা বিজারকের উপস্থিতি ছাড়া একটি পদার্থ বিয়োজিত হয়ে এমন দুটো পদার্থে পরিণত হয় যার একটিতে মূল পদার্থটির একটি উপাদান মৌলের জারণ এবং অপরটিতে আর একটি উপাদান মৌলের বিজারণ ঘটতে দেখা যায়। একে স্বতঃ জারণ-বিজারণ বলে। যেমন, 2KClO= 2KCl + 3O2