জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব- ২৮)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। ডুমুরের ফুলের পরপরাগায়নের মাধ্যম কি?

উত্তরঃ ডুমুরের ফুলের পরপরাগায়নের মাধ্যম- কালো পিঁপড়া।

 

প্রশ্ন-২। কোন কোন উদ্ভিদে পতঙ্গের সাহায্যে পরাগায়ন হয়?

উত্তরঃ সরিষা, তুলসী, অর্কিড, কুমড়া ইত্যাদি উদ্ভিদে পতঙ্গের সাহায্যে পরাগায়ন হয়।

 

প্রশ্ন-৩। পরপরাগায়ন হয় কোন উদ্ভিদে?

উত্তরঃ অধিকাংশ উদ্ভিদে পরপরাগায়ন হয়। যেমন: ধান, গম, ভুট্টা, শিমুল ইত্যাদি।

 

 

প্রশ্ন-৪। কোন কোন উদ্ভিদে স্বপরাগায়ন হয়?

উত্তরঃ অল্প সংখ্যক উদ্ভিদে স্বপরাগায়ন হয়, যেমন: শিম, টমেটো, কানশিরা।

 

প্রশ্ন-৫। অণুজীবের মাধ্যমে কোন কোন জীবের প্রজনন হয়?

উত্তরঃ অণুজীবের মাধ্যমে শৈবাল, ছত্রাক, মস, ফার্ণের প্রজনন হয়।

 

প্রশ্ন-৬। অযৌন প্রজনন কত প্রকার ও কি কি?

উত্তরঃ অযৌন প্রজনন দুই প্রকার। যথা: ক.অনুজীবের মাধ্যমে; খ. দেহ অঙ্গের মাধ্যমে।

 

প্রশ্ন-৭। চোখের রেটিনাতে থাকে কোনটি?

উত্তরঃ চোখের রেটিনাতে থাকে রড ও কোনস নামে দুই ধরনের কোষ।

 

প্রশ্ন-৮। মানবদেহের অঙ্গতন্ত্রের সমন্বয় করে কোনটি?

উত্তরঃ মানবদেহের অঙ্গতন্ত্রের সমন্বয় করে স্নায়ুতন্ত্র।

 

প্রশ্ন-৯। অ্যান্টিবডি উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে কোনটি?

উত্তরঃ অ্যান্টিবডি উৎপাদনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আমিষ।

 

প্রশ্ন-১০। শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের জন্য কোন রোগ হতে পারে?

উত্তরঃ শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের জন্য করোনারি হার্ট ডিজিজ হতে পারে।

 

প্রশ্ন-১১। একটি পরিণত নিউরনের কতটি অংশ?

উত্তরঃ একটি পরিণত নিউরনের তিনটি অংশ।

 

প্রশ্ন-১২। ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভত হয় যে কলা তাকে কী বলে?

উত্তরঃ ভ্রূণীয় মেসোডার্ম থেকে উদ্ভত হয় যে কলা তাকে পেশী কলা বলে।

 

প্রশ্ন-১৩। RNA এর প্রধান কাজ কি?

উত্তরঃ RNA এর প্রধান কাজ প্রোটিন তৈরি করা।

 

প্রশ্ন-১৪। কানেকটিভ টিস্যু বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ কানেকটিভ টিস্যু বা যোজক কলা বলতে এক ধরনের টিস্যুকে বোঝায় যা প্রাণিদেহের বিভিন্ন টিস্যু এবং অঙ্গের মধ্যে সংযোগ সাধন করে। এই টিস্যু প্রধানত কঠিন, তরল ও মেদময়। যেমন– রক্ত, হাড়, তরুণাস্থি, মেদময় টিস্যু ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-১৫। প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয় কেন?

উত্তরঃ উদ্ভিদ জীবনে প্রস্বেদন একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদদেহ থেকে প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বেরিয়ে যায়। এতে উদ্ভিদের মৃত্যুও হতে পারে। তাই আপাতদৃষ্টিতে উদ্ভিদের জীবনে প্রস্বেদনকে ক্ষতিকর প্রক্রিয়া বলেই মনে হয়। এ জন্য প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। তারা মাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয় কেন?
উত্তরঃ তারা মাছের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দুই অংশে ভাগ করা যায়। এ জন্য তারা মাছকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলা হয়।

প্রশ্ন-১৭। কোষ প্রাচীর এর কাজ কি?
উত্তরঃ কোষ প্রাচীরের কাজ হচ্ছে–

  • কোষের সুনির্দিষ্ট আকার ও আকৃতি প্রদান করে।
  • বাইরের আঘাত থেকে কোষের ভেতরের সজীব বস্তুকে রক্ষা করে।
  • কোষকে যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে।
  • পানি ও খনিজ লবণ শোষণ ও পরিবহনে সহায়তা করে।
  • এক কোষকে অন্য কোষ থেকে আলাদা করে রাখা।

 

প্রশ্ন-১৮। পতঙ্গ প্রাণীদের কীভাবে চেনা যাবে?
উত্তরঃ পতঙ্গ প্রাণীরা আর্থ্রোপোডা পর্বের। এরা সব পরিবেশে বাস করতে পারে। এদের অনেকে ডানার সাহায্যে উড়তে পারে। এদের মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। এদের দ্বারাই পতঙ্গদের সহজে চেনা যায়।

প্রশ্ন-১৯। অঙ্কুরোদগম কাকে বলে?
উত্তরঃ বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে।

প্রশ্ন-২০। ক্যাপিলারিস (Capillaries) কাকে বলে?
উত্তরঃ পেশিতন্তুতে চুলের মতো অতি সূক্ষ রক্তনালী দেখা যায়, একে ক্যাপিলারিস (Capillaries) বলে।