পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১ : কী ধরনের খাবার ভিটামিন ও খনিজ লবণের উৎস?

 

উত্তর : যেকোনো ধরনের ফল যেমন: আম, আপেল, কমলা ইত্যাদি ভিটামিন ও খনিজ লবণের উৎস।

 

প্রশ্ন-২ : কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খেলে কী রোগ হয়?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উত্তর : কৃত্রিম রং মেশানো খাবার খেলে তিনটি রোগ হয়–

 

(১) ক্যানসার

 

(২) অমনোযোগিতা ও

 

(৩) অস্থিরতা।

 

প্রশ্ন-৩ : কীভাবে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া সম্ভব?

 

উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়।

 

প্রশ্ন-৪ : হিমাগারে কী সংরক্ষণ করা যায়?

 

উত্তর: হিমাগারে শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যায়।

 

প্রশ্ন-৫ : সঠিক পরিমাণ পুষ্টির উপাদান কেন প্রয়োজন?

 

উত্তর: কর্মক্ষম থাকার জন্য আমাদের সঠিক পরিমাণ পুষ্টির উপাদান প্রয়োজন।

 

প্রশ্ন-৬ : অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর কী হয়?

 

উত্তর: অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৭ : অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শিশুর কী হতে পারে?

উত্তর : অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে শিশুর ওজনজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রশ্ন-৮ : খাদ্য সংরক্ষণ কেন করতে হয়?

উত্তর : বছরের সব সময় সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায় না। তাই খাদ্যদ্রব্য নানাভাবে সংরক্ষণ করতে হয়।

প্রশ্ন-৯ : রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ হয় এমন খাদ্যের নাম লেখো।

উত্তর : রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায় এমন খাদ্য হলো চাল, ডাল ও গম।

বর্ণনামূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-১ : খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : কোনো কোনো ক্ষেত্রে খাবারে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়। এসব কৃত্রিম রং ও রাসায়নিক পদার্থ মেশানো খাবার খেলে মানুষের ক্যানসার, অমনোযোগিতা, অস্থিরতা ইত্যাদি রোগ সৃষ্টি করতে পারে। খাবার সংরক্ষণের জন্য ফরমালিন, ফল পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাদ্য গ্রহণের ফলে বৃক্ক ও যকৃৎ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। ক্যানসারের মতো রোগ হতে পারে।

প্রশ্ন-২ : খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হই।

উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা খাদ্যকে অপচয় ও দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করতে পারি। খাদ্য সংরক্ষণ খাবারে পচন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয়। খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে মৌসুমি খাদ্যদ্রব্য সারা বছর পাওয়া যায়। দূরের এলাকায় সহজে খাবার সরবরাহের জন্যও খাদ্য সংরক্ষণের দরকার হয়। এভাবে খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে আমরা উপকৃত হই।

প্রশ্ন-৩ : সুষম খাদ্য কী? আমাদের শরীরের জন্য সুষম খাদ্য প্রয়োজন কেন, তা চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর : যেসব খাদ্যে পরিমিত পরিমাণে শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি এই ছয়টি উপাদান উপস্থিত থাকে, তাকে সুষম খাদ্য বলে।

সুষম খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা নিচে দেওয়া হলো—

১. শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখার জন্য সুষম খাদ্যের প্রয়োজন।

২. দেহের ক্ষয়পূরণ ও শক্তি উৎপাদনে সুষম খাদ্য প্রয়োজন।

৩. দেহের বৃদ্ধি অর্থাৎ দৈহিক গঠনে সুষম খাদ্য প্রয়োজন।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুষম খাদ্য প্রয়োজন।

প্রশ্ন-৪ : খাদ্য সংরক্ষণ কী? খাদ্য সংরক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য লেখো। ফ্রিজে ফলমূল দীর্ঘদিন পচে না কেন?

উত্তর : খাদ্য সংরক্ষণ হলো একটি পদ্ধতি, যার মাধ্যমে খাবারে বিভিন্ন ধরনের অণুজীবের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হয় এবং খাবার সতেজ থাকে। খাদ্য সংরক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য হলো —

১. খাদ্যদ্রব্য পচনের হাত থেকে রক্ষা করা, টাটকা ও তাজা রাখা।

২. বছরের সব সময় যাতে সব রকম খাবার পাওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা।

ফ্রিজে তাপমাত্রা অনেক কম থাকে। এই কম তাপমাত্রায় জীবাণু বেঁচে থাকতে পারে না। এতে নতুন জীবাণু জন্মাতেও পারে না। ফলে ফলমূল জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় না এবং পচেও না