রসায়ন প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৩৩)

প্রশ্ন-১। ক্যাটায়ন কাকে বলে?

উত্তরঃ ধনাত্মক চার্জযুক্ত পরমাণু বা যৌগমূলককে ক্যাটায়ন বলে।

 

প্রশ্ন-২। সক্রিয় ও সুপ্ত যোজনীর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ সক্রিয় ও সুপ্ত যোজনীর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

 

কোন যৌগ গঠন করার সময় মৌলসমূহের ব্যবহৃত যোজনীকে সক্রিয় যোজনী বলে। অপরদিকে, মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী এবং সক্রিয় যোজনীর বিয়োগফলকে উক্ত যৌগে মৌলটির সুপ্ত যোজনী বলে।

সক্রিয় যোজনী শূন্য হতে পারে না। কিন্তু, সুপ্ত যোজনী শূন্য হতে পারে।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৩। পরিবর্তনশীল যোজনী কী?

উত্তরঃ কোন মৌল যখন ভিন্ন ভিন্ন যৌগে ভিন্ন ভিন্ন যোজনী প্রদর্শন করে তখন তার যোজনীকে পরিবর্তনশীল যোজনী বলে।

 

প্রশ্ন-৪। নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বিশেষ ধরনের বিক্রিয়ায় বড় নিউক্লিয়াস ভেঙে ছোট নিউক্লিয়াস তৈরি করে অথবা অসংখ্য ছোট ছোট নিউক্লিয়াস একসাথে যুক্ত হয়ে বড় নিউক্লিয়াস উৎপন্ন করে এবং বিক্রিয়ার সময় প্রচুর শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলে।

 

প্রশ্ন-৫। হেসের তাপ সমষ্টিকরণ সূত্র কী?

উত্তরঃ যদি প্রারম্ভিক ও শেষ অবস্থা স্থির বা একই থাকে, তবে যেকোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া এক বা একাধিক ধাপে সংঘটিত করা হোক না কেন প্রতি ক্ষেত্রে বিক্রিয়া তাপ সমান থাকবে।

 

প্রশ্ন-৬। কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)-এর আণবিক ভর কত?

উত্তরঃ কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2)-এর আণবিক ভর 44g।

 

প্রশ্ন-৭। পলিমারকে গঠনগত দিক থেকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তরঃ মনোমারের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে গঠনগত দিক থেকে পলিমারকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- i. Homopolymer ও ii. Co-polymer

 

Homopolymer : পলিমারকরণ বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী মনোমারগুলো যদি একই রকম হয় তবে তাদেরকে Homopolymer বলে। যেমন: (–N–N–N–N–)n এখানে শুধু মনোমার N দ্বারা পলিমার গঠিত হয়েছে।

Co-polymer : বিভিন্ন রকমের মনোমার মিলিত হয়ে যখন পলিমার গঠন করে তাদেরকে Co-polymer বলে। যেমন: (–N–M–N–M–)n এখানে N ও M এই দুই ধরনের মনোমার দ্বারা পলিমার গঠিত হয়েছে।

প্রশ্ন-৮। সক্রিয়তা সিরিজ কাকে বলে?

উত্তরঃ অধিক সক্রিয় ধাতুকে উপরে এবং তা অপেক্ষা কম সক্রিয় ধাতুকে নিচে বসিয়ে একটি সিরিজ পাওয়া যায়। এ সিরিজকে ধাতুসমূহের সক্রিয়তা সিরিজ বলে।

 

প্রশ্ন-৯। ব্লু-ভিট্রিওলে পানির শতকরা পরিমাণ কত?

উত্তরঃ 36.o8%।

প্রশ্ন-১০। সর্বপ্রথম কারা কাগজ তৈরি করে?

উত্তরঃ মিসরীয়রা।

প্রশ্ন-১১। কাগজের মূল উপাদান কি?

উত্তরঃ সেলুলোজ।

প্রশ্ন-১২। সিরামিকে কত ধরনের ডেকোরেশন করা হয়?

উত্তরঃ ২ ধরনের।

প্রশ্ন-১৩। কাচের প্রধান উপাদান কি?

উত্তরঃ সিলিকন ডাইঅক্সাইড।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৪। প্যারা-হাইড্রোজেন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো হাইড্রোজেনের অণুতে অবস্থিত প্রোটনদ্বয়ের ঘূর্ণন যদি পরস্পরের বিপরীত দিকে হয়, তখন তাকে প্যারা-হাইড্রোজেন বলে।
প্রশ্ন-১৫। অর্থো-হাইড্রোজেন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো হাইড্রোজেনের অণুতে অবস্থিত প্রোটনদ্বয়ের ঘূর্ণন যদি একই দিকে হয়, তখন তাকে অর্থো-হাইড্রোজেন বলে।
প্রশ্ন-১৬। ত্রিপদী স্ট্যান্ড কাকে বলে?
উত্তরঃ লোহার তৈরি তিন পা বিশিষ্ট স্ট্যান্ড, যার উপর তারজালি রেখে কোন পাত্র বসানো যায় এবং প্রয়োজনে নিচ দিয়ে বার্নারের সাহায্যে তাপ দেওয়া যায়, তাকে ত্রিপদী স্ট্যান্ড বলে।
প্রশ্ন-১৭। শীতক কি?
উত্তরঃ শীতক মূলত সমঅক্ষ বিশিষ্ট দুটি কাচ নল। বাইরে নলের উভয় প্রান্ত ভেতরের নলের সাথে সীল করা থাকে এবং বাইরের নলের উভয় প্রান্তের কাছাকাছি স্থানে একটি করে নির্গমন নল যুক্ত থাকে। নিচের নির্গমন নল দিয়ে ঠান্ডা পানি নলের ভিতরে প্রবেশ করে এবং উপরের নির্গমন নল দিয়ে গরম পানি বের হয়ে আসে। কোন গ্যাসীয় পদার্থ এই নলের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘনীভূত হয়ে তরলে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন-১৮। বায়োফুয়েলকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলা হয় কেন?
উত্তরঃ উদ্ভিদ বা প্রাণী থেকে কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত জৈব যৌগসমূহ যেগুলোকে জ্বালানিরূপে ব্যবহার করা যায় তাদেরকে বায়োফুয়েল বলে। বায়োফুয়েলকে বিভিন্ন উৎস থেকে অফুরন্তভাবে পাওয়া (সূর্য শক্তি ও বায়ুর শক্তির মত) না গেলেও এর পুনঃউৎপাদন করা যায়। তাই বায়োফুয়েলকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলা হয়।
প্রশ্ন-১৯। ভরের নিত্যতা সূত্র কে এবং কত সালে আবিষ্কার করে?
উত্তরঃ ভরের নিত্যতা সূত্রটি ফরাসি বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়ে 1774 খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার করে।
প্রশ্ন-২০। অসমসত্ব প্রভাবন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক, উৎপাদ ও প্রভাবক যদি একই ভৌত অবস্থায় না থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভৌত অবস্থায় থাকলে তাকে অসমসত্ব প্রভাবন বলে