মৌলের পর্যায়বৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন (Periodic Properties and Chemical Bonding of Elements)
প্রশ্ন-১। পর্যায় সারণির কোন শ্রেণিতে ক্ষার ধাতুর অবস্থান রয়েছে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির গ্রুপ IA তে ক্ষার ধাতুর অবস্থান রয়েছে।
প্রশ্ন-২। মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত (Cu, Ag, Au) মৌলগুলোকে মুদ্রা ধাতু বলে।
প্রশ্ন-৩। অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির d-ব্লক মৌলসমূহ যাদের সুস্থিত আয়নে d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।
প্রশ্ন-৪। হাইব্রিড অরবিটাল কাকে বলে?
উত্তরঃ সংকরায়নের মাধ্যমে উৎপন্ন অরবিটালকে হাইব্রিড অরবিটাল বলে।
প্রশ্ন-৫। পোলার যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ দুটি বিপরীত আধানযুক্ত প্রান্তবিশিষ্ট যৌগকে পোলার যৌগ বলে।
প্রশ্ন-৬। হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কত?
উত্তরঃ হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান হলো 2.2।
প্রশ্ন-৭। ক্ষার ধাতুসমূহ কোন ব্লকের মোল?
উত্তরঃ ক্ষার ধাতুগুলো হলো s-ব্লকের মোল।
প্রশ্ন-৮। মৃৎ-ক্ষারীয় ধাতু কাকে বললে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির গ্রুপ IA তে ক্ষার ধাতুর অবস্থান রয়েছে।
প্রশ্ন-২। মুদ্রা ধাতু কাকে বলে?
উত্তরঃ মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহৃত (Cu, Ag, Au) মৌলগুলোকে মুদ্রা ধাতু বলে।
প্রশ্ন-৩। অবস্থান্তর মৌল কাকে বলে?
উত্তরঃ পর্যায় সারণির d-ব্লক মৌলসমূহ যাদের সুস্থিত আয়নে d অরবিটাল ইলেকট্রন দ্বারা আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।
প্রশ্ন-৪। হাইব্রিড অরবিটাল কাকে বলে?
উত্তরঃ সংকরায়নের মাধ্যমে উৎপন্ন অরবিটালকে হাইব্রিড অরবিটাল বলে।
প্রশ্ন-৫। পোলার যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ দুটি বিপরীত আধানযুক্ত প্রান্তবিশিষ্ট যৌগকে পোলার যৌগ বলে।
প্রশ্ন-৬। হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান কত?
উত্তরঃ হাইড্রোজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতার মান হলো 2.2।
প্রশ্ন-৭। ক্ষার ধাতুসমূহ কোন ব্লকের মোল?
উত্তরঃ ক্ষার ধাতুগুলো হলো s-ব্লকের মোল।
প্রশ্ন-৮। মৃৎ-ক্ষারীয় ধাতু কাকে বললে?
প্রশ্ন-১৭। হাইড্রোজেন বন্ধন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে আকর্ষণ বলের প্রভাবে একটি অণুর হাইড্রোজেন একই বস্তুর অপর অণুর তড়িৎ ঋণাত্মক পরমাণুর সাথে সংযোজিত হয়ে বৃহদাকার আণবিক গুচ্ছ গঠন করে তাকে হাইড্রোজেন বন্ধন বলে।
প্রশ্ন-১৮। ক্যাটায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ ইলেকট্রন ত্যাগের পর কোন একটি পরমাণু ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত হলে তাকে ক্যাটায়ন বলে।
প্রশ্ন-১৯। সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণত একান্তর দ্বিবন্ধন বিশিষ্ট যৌগে ডিলোকালাইজেশনে অংশগ্রহণকারী π-ইলেকট্রনকে ডিলোকালাইজড বা সঞ্চারণশীল π-ইলেকট্রন বলে।
প্রশ্ন-২০। ধাতব ধর্ম এবং অধাতব ধর্ম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন বর্জন করে ক্যাটায়নে পরিণত হওয়ার প্রবণতাকে সেই মৌলের ধাতব ধর্ম বলে। অপরপক্ষে ইলেকট্রন গ্রহণ করে অ্যানায়ন হওয়ার প্রবণতাকে সেই মৌলের অধাতব ধর্ম বলে।
পোলার হয়।
ZnO কে উভধর্মী অক্সাইড বলা হয় কেন?
উত্তরঃ যেসব অক্সাইড অম্ল ও ক্ষার উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাদেরকে উভধর্মী অক্সাইড বলে।
ZnO একটি উভধর্মী অক্সাইড। কেননা এটি অম্ল ও ক্ষারের উভয়ের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে। ZnO অক্সাইড যখন কোনো অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে, তখন এটি ক্ষার হিসেবে আচরণ করে। আবার যখন কোনো ক্ষারের সাথে বিক্রিয়া করে তখন অম্ল হিসেবে ক্রিয়া করে।
ক্ষার হিসেবে ZnO : ZnO + 2HCl → ZnCl2 + H2O
এসিড হিসেবে ZnO : ZnO + 2NaOH → Na2ZnO2 + H2O
প্রশ্ন-৩০। শর্তসহ ফাযানের নিয়ম লেখো।
উত্তরঃ ফাযানের শর্তসমূহ হচ্ছে-
- ক্যাটায়নের আকার যত ক্ষুদ্র হবে পোলারন তত বৃদ্ধি পাবে এবং তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধিক হবে।
- অ্যানায়নের আকার যত বড় হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত বেশি হবে।
- ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জ যত বেশি হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধিক হবে।
- ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের d ও f অরবিটালে ইলেকট্রন থাকলে পোলারনের মাত্রা বেশি হয়। ফলে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন-৩২। AgF পানিতে দ্রবণীয় কিন্তু AgCl নয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সিলভার হ্যালাইডসমূহের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, AgF থেকে AgI পর্যন্ত দ্রাব্যতা কমতে থাকে। AgF পানিতে দ্রাব্য, কিন্তু AgCl অদ্রবণীয়। এখানে F- আয়নটি Cl- আয়নের তুলনায় অত্যন্ত ক্ষুদ্র। বৃহদাকার আয়ন হওয়ার প্রেক্ষিতে ক্লোরাইড আয়নের ইলেকট্রন মেঘ অধিকতর পোলারিত এবং AgF এর তুলনায় AgCl অধিকতর সমযোজী বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এ কারণে AgF পানিতে দ্রবণীয়, কিন্তু AgCl অদ্রবণীয়।
প্রশ্ন-৩৪। CaCl2 ও AlCl3 এর মধ্যে কোনটি অধিক সমযোজী এবং কেন?
উত্তরঃ CaCl2 ও AlCl3 যৌগদ্বয়ে একই অ্যানায়ন বিদ্যমান বলে ফাযানের সূত্রানুযায়ী অ্যানায়নের আকার ও চার্জ এখানে কোন প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু ক্যাটায়ন Ca2+ ও Al3+ এর মধ্যে Al3+ এ চার্জ ঘনত্ব বেশি হওয়ায় AlCl3 যৌগে পোলারায়ন ঘটে বেশি। এ কারণে CaCl2 অপেক্ষা AlCl3 অধিক সমযোজী প্রকৃতির হয়।
প্রশ্ন-৩৫। সমান সংখ্যক ইলেকট্রন থাকা সত্ত্বেও Cl- এর ব্যাসার্ধ K+ এর ব্যাসার্ধ অপেক্ষা বেশি হয় কেন?
উত্তরঃ K+ এবং Cl- আয়নে সমান সংখ্যক ইলেকট্রন থাকলেও এদের প্রোটন সংখ্যা যথাক্রমে থাকে 19 এবং 17। এই কারণে সর্ববহিঃস্থ ইলেকট্রন সমূহের প্রতি নিউক্লিয়াসে প্রোটনের আকর্ষণ Cl- আয়ন অপেক্ষা K+ আয়নে বেশি হয়। তাই CI- আয়নের ব্যাসার্ধ K+ আয়ন অপেক্ষা বেশি হবে।