দ্বিতীয় অধ্যায় : গতি, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান

প্রশ্ন-১। পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কয়টি?

উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর সূত্র তিনটি।

 

প্রশ্ন-২। বেগের পরিবর্তন না হলে ত্বরণ কিরূপ হয়?

উত্তরঃ শূন্য।

 

প্রশ্ন-৩। ত্বরণের দিক কোন দিকে?

উত্তরঃ বেগ পরিবর্তনের দিকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। গাড়ির বেগ সাধারণত কী ধরনের বেগ?

উত্তরঃ অসম বেগ।

 

প্রশ্ন-৫। 45° অক্ষাংশে সমুদ্রে সমতলে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কত?

উত্তরঃ 9.80665 ms-2

 

প্রশ্ন-৬। পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর ওজন কত?

উত্তরঃ শূন্য।

 

প্রশ্ন-৭। একটি বাক্সকে ধাক্কা দিলে বাক্সটি না উল্টিয়ে যে গতি লাভ করে তাকে কী গতি বলে?

উত্তরঃ চলন গতি।

 

প্রশ্ন-৮। কোনো বস্তুর আদি অবস্থান ও শেষ অবস্থানের মধ্যবর্তী ন্যূনতম দূরত্বকে কী বলে?

উত্তরঃ সরণ।

 

প্রশ্ন-৯। সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে কি বলে?

উত্তরঃ দ্রুতি।

 

প্রশ্ন-১০। সমবেগে চলমান বস্তুর ত্বরণের মান কত?

উত্তরঃ শূন্য।

 

প্রশ্ন-১১। অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে কী বলে?

উত্তরঃ অভিকর্ষজ ত্বরণ।

 

প্রশ্ন-১২। g-এর আদর্শ মান কত?

উত্তরঃ 9.80665 ms-2

 

প্রশ্ন-১৩। পড়ন্ত বস্তুর দ্বিতীয় সূত্রটি লিখ।

উত্তরঃ স্থির অবস্থান হতে বিনা বাধায় পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত বেগ ঐ সময়ের সমানুপাতিক।

 

প্রশ্ন-১৪। স্থিতি কাকে বলে?

উত্তরঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে পারিপার্শ্বের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থান অপরিবর্তিত থাকাকে স্থিতি বলে।

 

প্রশ্ন-১৫। পরম গতি কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রকৃতপক্ষে স্থির রয়েছে এরূপ একটি বস্তুর সাপেক্ষে গতিশীল কোনো বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। সুষম দ্রুতি কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন বস্তুর গতিকালে যদি এর দ্রুতির পরিবর্তন না হয় অর্থাৎ যদি সমান সময়ে সমান পথ অতিক্রম করে তবে ঐ বস্তুর দ্রুতিকে সুষম দ্রুতি বলে।

 

প্রশ্ন-১৭। সরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ সময়ের সাথে নির্দিষ্ট দিকে কোনো বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনকে সরণ বলে।

 

 

প্রশ্ন-১৮। বেগ কাকে বলে? বেগ কোন ধরনের রাশি?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট দিকে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে বেগ বলে। বেগ একটি ভেক্টর রাশি।

 

প্রশ্ন-১৯। সুষম বেগ কাকে বলে?

উত্তরঃ যদি গতিশীল কোনো বস্তুর বেগের মান ও দিক সময়ের সাথে অপরিবর্তিত থাকে তাহলে সেই বস্তুর বেগকে সুষম বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-২০। অবস্থান কাকে বল?

উত্তরঃ প্রসঙ্গ কাঠামোর কোনো বিন্দুকে অবস্থান বলে।

 

প্রশ্ন-২১। চলন গতি কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বস্তু যদি এমনভাবে চলতে থাকে যাতে করে বস্তুর সকল কণা একই সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাহলে ঐ গতিকে চলন গতি বলে।

 

প্রশ্ন-২২। সুষম ত্বরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বস্তুর বেগ যদি নির্দিষ্ট দিকে সব সময় একই হারে বাড়তে থাকে তাহলে ঐ বেগ বৃদ্ধির হারকে সুষম ত্বরণ বলে।

 

প্রশ্ন-২৩। দ্রুতি কাকে বলে? দ্রুতি কি রাশি?

উত্তরঃ যেকোনো দিকে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের হারকে দ্রুতি বলে। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি।

 

প্রশ্ন-২৪। তাৎক্ষণিক দ্রুতি কাকে বলে?

উত্তরঃ সময়ের ব্যবধান খুবই ক্ষুদ্র হলে চলন্ত বস্তুর সরণের হারকে তাৎক্ষণিক দ্রুতি বলে।

 

প্রশ্ন-২৫। প্রসঙ্গ কাঠামো কি?

উত্তরঃ যে দৃঢ় বস্তুর সাপেক্ষে কোন বস্তুর অবস্থান ও গতি বর্ণনা করা হয় তাকে প্রসঙ্গ কাঠামো বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-২৬। মৌলিক রাশি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল রাশি স্বাধীন বা নিরপেক্ষ, যেগুলো অন্য রাশির উপর নির্ভর করে না বরং অন্যান্য রাশি এদের উপর নির্ভর করে তাদেরকে মৌলিক রাশি বলে।

প্রশ্ন-২৭। ভেক্টর রাশি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব ভৌত রাশির মান ও দিক দুই-ই আছে তাদেরকে ভেক্টর রাশি বা দিক রাশি বলে।

প্রশ্ন-২৮। স্কেলার রাশি ও ভেক্টর রাশির পার্থক্য কি?
উত্তরঃ স্কেলার রাশির শুধু মান আছে, দিক নেই কিন্তু ভেক্টর রাশির মান ও দিক উভয়ই আছে।

প্রশ্ন-২৯। সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর গতি কী ধরনের গতি? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ সূর্যের চারদিকে পৃথিবীর গতি পর্যাবৃত্ত গতি, কারণ প্রতি 365 দিনে পৃথিবী সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে এবং পুনরায় একই দিকে চলতে থাকে।

পড়ন্ত বস্তুর সূত্র কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ পড়ন্ত বস্তুর সূত্র তিনটি নিচে বিবৃত হল।

  • প্রথম সূত্রঃ নির্দিষ্ট উচ্চতায় স্থির অবস্থান হতে বিনা বাধায় পড়ন্ত সকল বস্তু সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে।
  • দ্বিতীয় সূত্রঃ নির্দিষ্ট উচ্চতায় স্থির অবস্থান হতে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত বেগ অতিক্রান্ত সময়ের সমানুপাতিক। অর্থাৎ v ∝ t
  • তৃতীয় সূত্রঃ নির্দিষ্ট উচ্চতায় স্থির অবস্থান হতে বিনা বাধায় পড়ন্ত কোন বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব অতিক্রান্ত সময়ের বর্গের সমানুপাতিক। অর্থাৎ h ∝ t2

সরল দোলকের গতি স্পন্দন গতি কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সরল দোলক তার গতিপথে কোনো নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে। সরল দোলক তার পর্যায়কালের অর্ধেক সময় কোনো নির্দিষ্ট দিকে এবং বাকি অর্ধেক সময় একই পথে তার বিপরীত দিকে চলে, যা স্পন্দন গতি নামে পরিচিত। তাই, সরল দোলকের গতি স্পন্দন গতি।

প্রশ্ন-৩০। সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না কেন?
উত্তরঃ বেগ একটি ভেক্টর রাশি, যার মান ও দিক দুই-ই আছে। তাই বেগের মান ও দিক উভয়ই অপরিবর্তিত থাকলে বলা যায় কণাটি সমবেগ সম্পন্ন। দ্রুতি একটি স্কেলার রাশি, যার শুধু মান আছে। ফলে বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকলে দ্রুতির মানও অপরিবর্তিত থাকবে। তাই সমবেগ সম্পন্ন কণার দ্রুতি অসম হতে পারে না।

প্রশ্ন-৩১। সমবেগে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে না কেন?
উত্তরঃ আমরা জানি কোন গতিশীল বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে। সমবেগে গতিশীল কোন বস্তু নির্দিষ্ট দিকে সবসময় একই বেগে চলতে থাকে। তার গতিপথে বেগের পরিবর্তন হয় না বলে সমবেগে চলমান বস্তুর ত্বরণ থাকে না।

প্রশ্ন-৩২। বৈদ্যুতিক পাখার সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে থেমে যাই না কেনো? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ গতি জড়তার কারণে সুইচ বন্ধ করার সাথে সাথে থেমে যাই না।

জড়তার ধারণা অনুসারে প্রত্যেক বস্তু যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকতে চায়। কোনো বস্তু যদি স্থির থাকে, তবে সেটি স্থিরই থাকতে চায়। আবার বস্তু গতিশীল থাকলে এটি গতিশীল থাকতে চায়। সুইচ চালু থাকলে বৈদ্যুতিক পাখার ঘূর্ণন গতি গতিশীল থাকে। সুইচ বন্ধ করে দিলে জড়তার কারণে পাখা তার ঘূর্ণন গতি বজায় রাখতে চায়। তাই বৈদ্যুতিক পাখা সাথে সাথে না থেমে কিছু সময় ঘুরতে থাকে।