জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-২৩)

প্রশ্ন-১। রাইবোজোম কত প্রকার?

উত্তরঃ রাইবোজোম দু’প্রকার।

 

প্রশ্ন-২। প্রোটোপ্লাজম কি?

উত্তরঃ প্রোটোপ্লাজম হলো কোষঝিল্লি দ্বারা আবৃত এক ধরনের অর্ধস্বচ্ছ, অর্ধতরল, আঠালো, চটচটে জেলির ন্যায় কোষীয় পদার্থ।

 

প্রশ্ন-৩। কোষগহ্বর কাকে বলে?

উত্তরঃ সাইটোপ্লাজমে যে ফাঁকা জায়গা দেখা যায় তাকে কোষগহ্বর বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। কোষীয় অঙ্গাণু কী?

উত্তরঃ কোষের অভ্যন্তরে সাইটোপ্লাজমে ছড়ানো অবস্থায় থাকা প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম, রাইবোজোম, গলজি বস্তু প্রভৃতিই হলো কোষীয় অঙ্গাণু।

 

প্রশ্ন-৫। জীবনের মৌল ভিত্তি কি?

উত্তরঃ জীবনের মৌল ভিত্তি হলো প্রোটোপ্লাজম।

 

প্রশ্ন-৬। নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?

উত্তরঃ নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের কেন্দ্রে অবস্থান করে। কোষের যাবতীয় কার্যাবলি যেমন, কোষের গঠনগত ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের নিয়ন্ত্রণ, RNA ও রাইবোজোম গঠন, প্রোটিন সংশ্লেষণ, ক্রোমোজোম ধারণ, কোষ বিভাজনে অংশগ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই নিউক্লিয়াসকে কোষের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৭। মিউচুয়ালিজম বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যে আন্তঃসম্পর্কে পারস্পরিক সহাবস্থানে দু’টি জীব একে অন্যকে সহায়তা করে এবং দু’জনেই উপকৃত হয় তাই হলো মিউচুয়ালিজম। মিউচুয়ালিজমে কোনো জীবের ক্ষতির কোনো আশঙ্কা থাকে না। যেমন- লাইকেন। এখানে শৈবাল সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য তৈরি করে। আর, ছত্রাক শৈবালকে আবাস প্রদানসহ বায়ু থেকে জলীয়বাষ্প সংগ্রহ ও উভয়ের ব্যবহারের জন্য খনিজ লবণ সংগ্রহ করে।

 

প্রশ্ন-৮। সাইক্লোসিস কী?

উত্তরঃ প্রোটোপ্লাজমে জলস্রোতের মতো যে চলন দেখা যায় তাই সাইক্লোসিস।

 

প্রশ্ন-৯। যকৃত কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা কত?

উত্তরঃ যকৃত কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা ১০০০ বা ততোধিক।

 

প্রশ্ন-১০। অমরা কাকে বলে?

উত্তরঃ মাতৃ জরায়ুর টিস্যু এবং ভ্রূণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনকারী অঙ্গকে অমরা বলে।

 

প্রশ্ন-১১। ট্রান্সলেশন কী?

উত্তরঃ DNA থেকে RNA তৈরির প্রক্রিয়াই হলো ট্রান্সলেশন।

 

প্রশ্ন-১২। কোষ প্রাচীরের বৈশিষ্ট্য কী কী?

উত্তরঃ কোষ প্রাচীর শুধুমাত্র উদ্ভিদকোষে দেখা যায়। কোষপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত, জড়, শক্ত, ভেদ্য প্রাচীর। কোষপ্রাচীর কোষের দৃঢ়তা, আকার ও আয়তন নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ প্রাচীরে গৌণ স্তরের বিশেষ বিন্যাসের কারণে নানাবিধ অলঙ্করণ দেখা যায়।

 

প্রশ্ন-১৩। ক্যান্সার কীভাবে সৃষ্টি হয়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস কোষ বিভাজনের কারণেই ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিভিন্ন প্রকার প্যাপিলোমা ভাইরাস ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। হিউম্যান ভাইরাসের E6 এবং E7 নামের দু’টি জিন বিভাজন নিয়ন্ত্রক দু’টি প্রোটিন অণুকে স্থানচ্যুত করে। এতে কোষের বিভাজন নিয়ন্ত্রণকারী প্রোটিন অণুসমূহের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সৃষ্টি হয় ক্যান্সার কোষ।

 

প্রশ্ন-১৪। ‘অরি’ কী?

উত্তরঃ DNA দ্বিসূত্রকের এক বা একাধিক স্থানে রেপ্লিকেশনের সূচনা ঘটে, উক্ত স্থানই হলো ‘অরি’।

 

প্রশ্ন-১৫। ট্রিপলেট কোডন কাকে বলে?

উত্তরঃ অ্যামিনো অ্যাসিডের সংকেত গঠনকারী তিনটি নাইট্রোজেন বেসের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপকে ট্রিপলেট কোডন বলে। প্রতিটি জেনেটিক কোডই হলো এক একটি ট্রিপলেট কোডন। প্রতিটি ট্রিপলেট কোডন কোনো একটি সুনির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডকে নির্দেশ করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। মাইটোকন্ড্রিয়া কী?
উত্তরঃ কোষের শক্তি উৎপাদনকারী অঙ্গাণুই হলো মাইটোকন্ড্রিয়া।

প্রশ্ন-১৭। সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম আলাদা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সেন্ট্রোমিয়ার নিউক্লিয় বস্তু। এটি ক্রোমোসোমকে মাকুর সাথে যুক্ত রাখে এবং DNA ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত। সেন্ট্রোমিয়ার উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয় কোষের ক্রোমোসোমে অবস্থান করে। কিন্তু সেন্ট্রোসোম প্রধানত প্রাণিকোষে থাকে। এটি সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু যা RNA ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত। এতে সেন্ট্রিওল থাকে। তাই সেন্ট্রোমিয়ার ও সেন্ট্রোজোম এক নয়, আলাদা।

প্রশ্ন-১৮। গঠন ও কাজের ভিত্তিতে RNA কী কী ধরনের হতে পারে?
উত্তরঃ গঠন ও কাজের ভিত্তিতে RNA পাঁচ ধরনের হতে পারে। যথা : t-RNA, r-RNA, m-RNA, g-RNA ও মাইনর RNA।

প্রশ্ন-১৯। কোষ গহ্বর কীভাবে কোষকে সাহায্য করে?
উত্তরঃ কোষ গহ্বর কোষরসের অন্তর্ভুক্ত পানি, লবণ, দ্রবণীয় প্রোটিন, জৈব অ্যাসিড, শর্করা প্রভৃতি ছাড়া কয়েক প্রকার রঞ্জক পদার্থ এবং অ্যালিউরন দানা, বিভিন্ন প্রকার এনজাইম ও প্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ ধারণ করার মাধ্যমে কোষকে সাহায্য করে থাকে।

প্রশ্ন-২০। পিউরিন ও পাইরিমিডিন ক্ষারকগুলোর নাম লেখো।
উত্তরঃ পিউরিন ক্ষারক দুটি হচ্ছে— ১. অ্যাডেনিন ও ২. গুয়ানিন এবং
পাইরিমিডিন ক্ষারক তিনটি হচ্ছে ১. থাইমিন; ২. সাইটোসিন এবং ৩. ইউরাসিল।