আধুনিক অর্থনীতির জনক কে?
উত্তরঃ আধুনিক অর্থনীতির জনক হলেন, পল অ্যান্থনি স্যামুয়েলসন (Paul Anthony Samuelson)।
এ সম্পর্কিত আরও প্রশ্ন ও উত্তরঃ–
১। অর্থের সতর্কতামূলক চাহিদা কি?
উত্তরঃ মানুষের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। তাই অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ বা কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে পরিমাণ নগদ অর্থ জমা রাখে তাকে অর্থের সর্তকতা মূলক চাহিদা বলে।
২। অর্থ বাজার কি?
উত্তরঃ অর্থের চাহিদা ও যোগান সম্বলিত বাজারকে সাধারণত অর্থ বাজার বলা হয়।
৩। ভারল্য ফাঁদ কি?
উত্তরঃ সুদের নিম্নস্তর হারে অর্থের চাহিদা অসীম হলে তাকে তারল্য ফাঁদ বলে।
৪। সুদ কি?
উত্তরঃ নগদ অর্থ হাতছাড়া করার বিনিময়ে মানুষ তার মূল অর্থের সাথে যে অতিরিক্ত অর্থ পেয়ে থাকে তাকে সুদ বলে।
৫। সুদ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ সুদ প্রধানত দুই প্রকার। যথা:-
(ক) মোট সুদ
(খ) নীট সুদ
৬। মোট সুদ কি?
উত্তরঃ মূলধনের উৎপাদনশীলতা এবং অন্যান্য কারণে ঋণ ব্যবহারকারী ঋণের মালিকরে আসল অর্থ বাদে অতিরিক্ত যে অর্থ প্রদান করে তাকে মোট সুদ বলে।
৭। নীট সুদ কি?
উত্তরঃ শুধু মূলধন ব্যবহারের জন্য ঋণের ব্যবহারকারী যে সুদ প্রদান করা হয় তাকে নীট সুদ বলা হয়
৮। তারল্য ফাঁদের প্রবক্তা কে?
উত্তরঃ অধ্যাপক কেইন্স।
৯। সুদের নগদ পছন্দ তত্ত্বের প্রবক্তা কে?
উত্তরঃ লর্ড কেইন্স সুদের নগদ পছন্দ তত্ত্বের প্রবক্তা।
১০। দুই জন ক্ল্যাসিক্যাল অর্থনীতিবিদের নাম লেখ।
উত্তরঃ এ্যাডাম স্মিথ, মার্শাল।
১১। দুই জন নয়া ক্ল্যাসিক্যাল অর্থনীতিবিদের নাম লেখ।
উত্তরঃ উইকসেল ও রবার্টসন।
১২। মুদ্রা গুণক বা অর্থ গুণক কি?
উত্তরঃ শক্তিশালী মুদ্রার যোগান এক একক বাড়লে বা কমলে অর্থের যোগানের যে পরিবর্তন হয় তাকে অর্থ গুণক বা মুদ্রা গুণক বলে।
১৩। কারেন্সী কি?
উত্তরঃ: কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে পরিমাণ কাগজী মুদ্রা ও ধাতব মুদ্রার প্রচলন করে তার সমষ্টিকে কারেন্সি বলে।
১৪। মানি লন্ডারিং কি?
উত্তরঃ অবৈধ পথে অর্জিত আয়কে গোপন করার মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থের বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টাই হলো মানি লন্ডারিং।
১৫। অর্থ কি?
উত্তরঃ অর্থ হলো সবচেয়ে তরর সম্পদ যা বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য।
১৬। সংকীর্ণ মুদ্রা কি?
উত্তরঃ সাধারণ অর্থে সংকীর্ণ মুদ্রা বলতে আমরা ব্যাংক বহির্ভূত অর্থ অর্থাৎ জনগণের হাতের নগদ অর্থ এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকে রক্ষিত চাহিদা আমানতের যোগফলকে বুঝি।
১৭। বিস্তৃত মুদ্রা কি?
উত্তরঃ সংকীর্ণ অর্থের সাথে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মেয়াদী আমানত যোগ করলে যা পাওয়া যায় তাকে বিস্তৃত মুদ্রা বলে।
১৮। মুদ্রা সরবরাহের প্রধান উপাদান কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ মুদ্রা সরবরাহের প্রধান উপাদান তিনটি। যথা :
(ক) জনগণের হাতের মুদ্রা।
(খ) চাহিদা আমানত।
(গ) মেয়াদী আমানত।
১৯। কারা মুদ্রার সংঙ্গা দিয়েছেন?
উত্তরঃ সেয়ার্স, কোল ও ক্রাউধার।
২০। প্রকৃত মুদ্রা কি?
উত্তরঃ সমাজে বিনিময়ের কাজ সম্পাদনের জন্য মানুষ যে সকল অর্থ ব্যবহার করে থাকে তাকে প্রকৃত অর্থ বলে। যেমন- বাংলাদেশের সকল কাগজী নোট ও ধাতব মুদ্রা হল প্রকৃত মুদ্রা
২১। প্রায় মুদ্রা কি?
উত্তরঃ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে যে সম্পদ ব্যবহার করা হয় না কিন্তু প্রয়োজনানুযায়ী অর্থে রুপান্তর করা যায় সেগুলোকে প্রায় মুদ্রা বলে।
২২। অর্থের গতিশীল কার্যাবলী কি?
উত্তরঃ অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে যে কাজ জড়িত তাকে অর্থনীতির গতীশীল কার্যাবলী বলে।
২৩। অর্থের চাহিদা কি?
উত্তরঃ অর্থের চাহিদা বলতে কোন নির্দিষ্ট সময়ে সুদের হারের ভিত্তিতে জনগণ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ব্যাংক ব্যতীত) কর্তৃক নগদ অর্থ হাতে রাখাকে বোঝায়।
২৪। অর্থের যোগান কি?
উত্তরঃ একটি দেশে কোন নির্দিষ্ট সময়ে যে অর্থ প্রচলিত থাকে সেই অর্থের সাথে চাহিদা আমানতের সমষ্টি যোগ করলে তাকে অর্থের যোগান বলা হয়।
২৫। অর্থের ফটকা চাহিদা কি?
উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট সময়ে জনগণ যদি কম মূল্যে বন্ড বা ঋণপত্র ক্রয় করে জমা রাখে এবং তা পরবর্তিতে বেশি দামে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে তাকে অর্থের ফটকা উদ্দেশ্য জনিত চাহিদা বলে।
২৬। গ্রেসামস বিধিটি কখন প্রদান করা হয়?
উত্তরঃ ইংল্যান্ডের রাণী প্রথম এলিজাবেথের সময়ে।
২৭। M1 কি?
উত্তরঃ MI হলো সংকীর্ণ মুদ্রা।
২৮। M2 কি?
উত্তরঃ সংকীর্ণ মুদ্রার সাথে স্বল্প মেয়াদি আমানত যোগ করে পাওয়া যায় M2
২৯। M3 কি?
উত্তরঃ অর্থনীতিবিদ গুরলে এবং অধ্যাপক ‘শ’ M3 কে প্রসারিত দৃষ্টিতে মুদ্রা হিসেবে অবহিত করেন।
৩০। কয়টি উপায়ে নিকৃষ্ট মুদ্রা উৎকৃষ্ট মুদ্রাকে বিতারিত করে?
উত্তরঃ ৩টি উপায়ে । যথা : ১। মজুদ, ২। গলানো এবং ৩। বৈদেশিক দেনা পরিশোধ।
৩১। অর্থ সম্পর্কিত ওয়াকারের সংজ্ঞাটি প্রদান কর।
উত্তরঃ অর্থসংক্রান্ত ওয়াকারের সংজ্ঞাটি হল “Money is what money does” অর্থাৎ অর্থ তাই যা অর্থের কাজ করে।
৩২। অর্থ সম্পর্কিত ক্রাউধারের সজ্ঞাটি প্রদান কর।
উত্তরঃ অর্থনীতিবিদ জাউয়ারের মতে, ” অর্থ এমন একটি বস্তু যা বিনিময়ের মধ্যম হিসেবে সকলের নিকট গ্রহনযোগ্য এবং যা মূল্যের পরিমাপক ও সঞ্চয়ের ভান্ডার হিসেবে কাজ করে।”
৩৩। হিসাবী অর্থ কি?
উত্তরঃ যে নামের অর্থ দ্বারা একটি দেশের অর্থনৈতিক কাজকর্ম ও লেনদেনের হিসাব নিকাশ রাখা হয় তাকে হিসাবী অর্থ বলে। যেমন- বাংলাদেশের টাকার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাজকর্মের হিসাব রাখা হয়।
৩৪। বাংলাদেশের হিসাবী মুদ্রা কি?
উত্তরঃ বাংলাদেশের হিসাবী মুদ্রা ‘টাকা’।
৩৫। কাগজী মুদ্রা কি?
উত্তরঃ সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত কাগজি প্রতিশ্রুতি পরকে কাগজী মুদ্রা বলে।
৩৬। ঐচ্ছিক মুদ্রা কি?
উত্তরঃ যে সকল মুদ্রা গ্রহন করতে সমাজের মানুষকে আইন দ্বারা বাধ্য করা হয় না অথচ মানুষ লেনদেনের কাজে তা ব্যবহার করে তাকে ঐচ্ছিক মুদ্রা বলে।
৩৭। উৎকৃষ্ট মুদ্রা কি?
উত্তরঃ যে মুদ্রার লিখিত মূল্য তার ধাতব মূল্যের চেয়ে কম বা ধাতব মূল্য লিখিত মূল্যের চেয়ে বেশী তাকে উৎকৃষ্ট মুদ্রা বলে।
৩৮। বিহিত মুদ্রা কি ?
উত্তরঃ আইন দ্বারা স্বীকৃত এবং সমাজের সকল মানুষ যে বস্তুকে লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করতে বাধ তাকে বিহিত মুদ্রা বলে।
৩৯। নিকৃষ্ট মুদ্রা কি?
উত্তরঃ পুরনো ক্ষয়প্রাপ্ত মুদ্রাকে নিকৃষ্ট মুদ্রা বলে ।
৪০। প্রতীকী মুদ্ৰা কি?
উত্তরঃ যে মুদ্রার দৃশ্যমান মূল্য উহার প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশি তাকে প্রতীকি মুদ্রা বলে ।
৪১। ধাতব মুদ্রা কি?
উত্তরঃ যে সকল অর্থ ধাতব পদার্থ দ্বারা তৈরী এবং যার অন্তর্নিহিত মূল্য বিদ্যমান থাকে তাকে ধাতব মুদ্রা বলে।
৪২। ব্যাংক মুদ্রা কি?
উত্তরঃ ব্যাংকের হস্তান্তরযোগ্য চাহিদা আমানতকে ব্যাংক অর্থ বলে।
৪৩। শক্তিশালী মুদ্রা কি?
উত্তরঃ শক্তিশালী মুদ্রার অপর নাম আর্থিক ভিত্তি। শক্তিশালী মুদ্রা বলতে জনগণের হাতের মুদ্রা ও ব্যাংক রক্ষিত রিজার্ভ এ দুয়ের সমষ্টিকে বোঝায়।
৪৪। দ্রব্য বিনিময় প্রথা কি?
উত্তরঃ একটি দ্রব্যের বিনিময়ে অন্য আরেকটি দ্রব্য পরস্পর বিনিময় করা হলে তাকে দ্রব্য বিনিময় প্রথা বলে ।
৪৫। দ্রব্য বিনিময় প্রথার দুটি অসুবিধা লিখ।
উত্তরঃ দ্রব্যের অবিভাজ্যতা ও অভাবের অসামঞ্জস্যতা
৪৬। কালো টাকা কি?
উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট কর বছরে ব্যক্তি বা সংস্থা যে পরিমাণ অর্থের কর ফাঁকি দিয়ে থাকে তাকে কালো টাকা বলে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কর বছরে হিসাব বহির্ভূত আয়ই হচ্ছে কালো টাকা।